সাপ্তাহিক বাংলাদেশ উদযাপন করলো যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস
- প্রকাশের সময় : ০৯:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯
- / ৫০০ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বণার্ঢ্য উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাপÍাহিক বাংলাদেশ উদযাপন করলো যুক্তরাষ্ট্রের মহান স্বাধীনতার ২৪৩তম দিবস। ৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকাস্থ নিজস্ব কার্যালয়ের সবুজ চত্বরে আয়োজিত ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠান সবার নজর কাড়ে। বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ছাড়াও মূলধারার নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে মিলন মেলায় পরিণত হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানের শুরুতে আমেরিকার উন্নয়ন ও শান্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ।
সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডাঃ ওয়াজেদ এ খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সমবেত অতিথিদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডা. খান বলেন, আমেরিকা আমাদের স্বপ্নের দেশ। আমাদের উচিত এদেশের প্রতিটি জাতীয় অনুষ্ঠান উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করা। বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবস। তিনি বলেন, আজ যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৩তম স্বাধীনতা দিবস। মহান এ দিবসটি উদযাপন করতে পেরে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। আমাদের উন্নত জীবন জীবিকার নিশ্চয়তার পাশাপাশি অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে আমেরিকা। এদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের যেমন সব অধিকার রয়েছে তেমনি রয়েছ্ েএদেশের প্রতি অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি বাংলাদেশী আমেরিকানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সাপ্তাহিক বাংলাদেশ উপদেষ্টা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা এবং অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় পাশে ছিলেন পত্রিকাটির চীফ রিপোর্টার এস এম সোলায়মান ও আকাশ রহমান। নিউইয়র্ক স্টেট এ্যাসেম্বলী কুইন্স ডিস্ট্র্ক্টি-২৪ এর জুডিশিয়াল ডেলিগেট মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন ও নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরো কমিউনিটি বোর্ড-৮ এর সদস্য ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের যৌথ উপস্থাপনায় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও অতিথিবর্গ আলোচনায় অংশ নেন। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন বিশেষ অতিথি নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় কাউন্সিলম্যান কস্টা কনস্টানন্টিনিডিস।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধে আতœদানকারীদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে কাউন্সিলম্যান কস্টা বলেন, এদেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার। ইমিগ্রান্টরা এদেশের গর্ব। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে ইমিগ্র্যান্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের জন্য ইমিগ্রান্টদের অধিকতর সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। কাউন্সিলম্যান কস্টা সাপ্তাহিক বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করায়।
উপস্থাপনাকালে স্থানীয় জুডিশিয়াল ডেলিগেট মোঃ সাবুল উদ্দিন বাংলাদেশী আমেরিকানদের ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্প্রীতির মাধ্যমে ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটিকে এগিয়ে যেতে হবে। কমিউনিটি বোর্ড-৮ এর সদস্য বিশিষ্ট কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার সাপ্তাহিক বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। তিনি বলেন, এদেশের মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং প্রতিটি সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ করে নিজেদেও দাবি দাওয়া পেশ করতে হবে। এজন্য সবাইকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন অতিথিদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্টের স্বাধীনতার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা এবং সম্মান প্রদর্শন করতেই আজকের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সাপ্তাহিক বাংলাদেশ। তিনি পত্রিকাটির এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্টের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মহতি উদ্যোগের জন্য সাপ্তাহিক বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সবাইকে এ দিবসটি উদযাপনে ভবিষ্যতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বক্তাগণ। তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইমিগ্র্যান্টদের জন্য অপার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। নাগরিক হিসেবে ইমিগ্রান্টদেরকেও তার প্রতিদান দিতে হবে। বক্তাগণ ইমিগ্রান্টদের ভোটাধিকার এবং নিজেদের মধ্য থেকে জন প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যাপারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টিভির প্রধান নির্বাহী আবু তাহের, বিশিষ্ট ডেমোক্র্যাট মোর্শেদ আলম, মোঃ তৈয়বুর রহমান হারুন, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, জয় চৌধুরী, রিপাবলিকান নাসির আলী খান পল, সমাজ বিজ্ঞানী ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, জাতিসংঘের সিনিয়র ইকনোমিস্ট সাহিত্যিক জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ডা. সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারী মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গণি, ফার্মাসিস্ট আব্দুল আউয়াল সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, প্রকৌশলী সুফিয়ান খন্দকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী সামসুল ইসলাম, বিশিষ্ট রিয়েলটর শরাফ সরকার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আহসান হাবীব, জুলকার হায়দার, ব্যবসায়ী রেজাউল করিম চৌধুরী, আকাশ রহমান প্রমুখ।
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এখন সময় সম্পাদক কাজী শামসুল হক, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মনোয়ার হোসেন, টাইম টেলিভিশন-এর অন্যতম পরিচালক (কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স) সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, বার্তা সংস্থা ইউএনএ’র সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদে, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ডা. রেজাউল করিম, ডা. কাজী শরীফুল ইসলাম, ডা. সিকদার মাছুদ, ডা. রাসেল আল আমিন, ডা. হুমায়ুন কবির, প্লাসিড এক্সপ্রেসের মোঃ ফজলুল হক, হ্যারিটেজ ট্রাভেলসের সুলতান আহমেদ, জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির কর্মকর্তা ছদরুন নূর, ফার্মাসিস্ট মোহাম্মদ কবির, ফার্মাসিস্ট মোশতাক আহমেদ, এডভোকেট জহিরুল ইসলাম, কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট মাকসুদ চৌধুরী, লুৎফর রহমান, অধ্যাপিকা হোসনে আরা বেগম, নজরুল একাডেমীর ডানা ইসলাম, শিরিন আহমেদ, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট জসিম চৌধরী, আনোয়ার হোসেন, মোঃ বুখারী, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, আফরোজা রোজী সহ বিপুল সংখ্যক অতিথি।
অতিথিদেরকে চা-নাস্তা ও নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাপ্তাহিক বাংলাদেশ কার্যালয়কে সাজানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা দিয়ে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।