নিউইয়র্ক ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৫২ হাজার ডলার বা তদুর্ধ পাওনা থাকলে পাসপোর্ট নবায়ন বা ইস্যু হবে না

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০১৯
  • / ৫০৮ বার পঠিত

প্রফেসর এহতেশামুল হক: যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পাশাপাশি এবার ট্যাক্স প্রদানকারীদের মধ্যে যাদের কাছে ষ্টেট বা ফেডারেল ৫২ হাজার ডলার বা তদুর্ধ ট্যাক্স পাওনাা থাকবে তাদের পাসপোর্ট নবায়ন বা ইস্যু করা হবে না। প্রয়োজনে সংশ্লিস্ট নাগরিকের পাসপোর্ট ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক রিভোক হতে পারে অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ট্রাভেলের সময় সীমাবদ্ধতার আওতায় পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) অতি সম্প্রতি ট্যাক্স প্রদানকারীদের জন্য এমন হুশিয়ারী দিয়েছে।
আইআরএসএ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারী থেকে কার্যকর আইআরএস ‘ফিক্সিং আমেরিকান সারফেস ট্রান্সপোর্টেশন’ (ফাস্ট) অ্যাক্ট-এর আওতায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই আইনে ষ্টেট বা ফেডারেল ৫২ হাজার ডলার বা তদুর্ধ ট্যাক্স পাওনাা থাকলে তাদের পাসপোর্ট-এর আবেদন ডিনাই বা নবায়ন করা হবে না। প্রয়োজনে সংশ্লিস্ট নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাদের ভ্রমণের ব্যাপারেও বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে।
উল্লেখযোগ্য যেসব কারণে উল্লেখিত আইন কার্যকর হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে- সময়মত ফুল পেমেন্ট পরিশোধ না করা, পূর্ব চুক্তি মোতাবেক সময়মত ইন্সটলমেন্ট না দেওয়া, জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ অঙ্গীকার রক্ষা না করা, কালেকশন ডিপার্টমেন্টের দেনা পরিশোধ না করা প্রভৃতি।
উল্লেখিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে হলে সংশ্লিস্ট ট্যাক্সদাতা-কে পেমেন্ট এগ্রিমেন্ট, কম্প্রোমাইজিং অফার যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
যখন কোন ট্যাক্সদাতা উল্লেখিত আইনের আওতায় পড়বেন তখন তিনি প্রথমত আইআরএস থেকে একটি নোটিশ (সিপি৫০৮সি) পাবেন। নোটিশে কিভাবে দেনা-পাওনার সমস্যা সমাধান করা যাবে তা উল্লেখ থাকবে। এব্যাপারে প্রয়োজনে টেলিফোনে আইআরএস কর্তৃপক্ষের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
ট্যাক্স বিষয়ক সমস্যা মোকাবেলায় বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিয়ে বড় ধরণের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখিত সমস্যার শিকার হয়ে অনেকেই বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। (সূত্র: বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

৫২ হাজার ডলার বা তদুর্ধ পাওনা থাকলে পাসপোর্ট নবায়ন বা ইস্যু হবে না

প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০১৯

প্রফেসর এহতেশামুল হক: যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পাশাপাশি এবার ট্যাক্স প্রদানকারীদের মধ্যে যাদের কাছে ষ্টেট বা ফেডারেল ৫২ হাজার ডলার বা তদুর্ধ ট্যাক্স পাওনাা থাকবে তাদের পাসপোর্ট নবায়ন বা ইস্যু করা হবে না। প্রয়োজনে সংশ্লিস্ট নাগরিকের পাসপোর্ট ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক রিভোক হতে পারে অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ট্রাভেলের সময় সীমাবদ্ধতার আওতায় পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) অতি সম্প্রতি ট্যাক্স প্রদানকারীদের জন্য এমন হুশিয়ারী দিয়েছে।
আইআরএসএ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারী থেকে কার্যকর আইআরএস ‘ফিক্সিং আমেরিকান সারফেস ট্রান্সপোর্টেশন’ (ফাস্ট) অ্যাক্ট-এর আওতায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই আইনে ষ্টেট বা ফেডারেল ৫২ হাজার ডলার বা তদুর্ধ ট্যাক্স পাওনাা থাকলে তাদের পাসপোর্ট-এর আবেদন ডিনাই বা নবায়ন করা হবে না। প্রয়োজনে সংশ্লিস্ট নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাদের ভ্রমণের ব্যাপারেও বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে।
উল্লেখযোগ্য যেসব কারণে উল্লেখিত আইন কার্যকর হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে- সময়মত ফুল পেমেন্ট পরিশোধ না করা, পূর্ব চুক্তি মোতাবেক সময়মত ইন্সটলমেন্ট না দেওয়া, জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ অঙ্গীকার রক্ষা না করা, কালেকশন ডিপার্টমেন্টের দেনা পরিশোধ না করা প্রভৃতি।
উল্লেখিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে হলে সংশ্লিস্ট ট্যাক্সদাতা-কে পেমেন্ট এগ্রিমেন্ট, কম্প্রোমাইজিং অফার যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
যখন কোন ট্যাক্সদাতা উল্লেখিত আইনের আওতায় পড়বেন তখন তিনি প্রথমত আইআরএস থেকে একটি নোটিশ (সিপি৫০৮সি) পাবেন। নোটিশে কিভাবে দেনা-পাওনার সমস্যা সমাধান করা যাবে তা উল্লেখ থাকবে। এব্যাপারে প্রয়োজনে টেলিফোনে আইআরএস কর্তৃপক্ষের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
ট্যাক্স বিষয়ক সমস্যা মোকাবেলায় বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিয়ে বড় ধরণের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখিত সমস্যার শিকার হয়ে অনেকেই বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। (সূত্র: বাংলা পত্রিকা)