নিউইয়র্ক ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাক্ষাৎ না পাওয়া আর নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা হতাশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৪৫১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশন যোগদান উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কের ৭দিন সফল শেষে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন। তিনি গত ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় ৮টা ২০ মিনিনে বৃটিশ এয়ারওয়েজ-এর একটি বিমানে লন্ডনের উদ্দেশে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩ সেপ্টেম্বর রোববার লন্ডন থেকে নিউজার্সী হয়ে নিউইয়র্ক আসেন। ঐদিন তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের একাধিক ইভেন্টে যোগদেন। প্রধানমন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন। এরপর দিন ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক অবস্থানকালে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা যায়।
এদিকে গ্র্যান্ড হায়াত হোটেল প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই হোটেলেই তাঁর সফর সঙ্গীরাও অবস্থান করে। তবে অতীতের চেয়ে এবার হোটেলে নিরাপত্তা জনিত কারণে বেশ কড়াকড়ি দেখা যায় এবং এর ফলে সহজেই প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ হয়নি। সূত্রমতে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে ব্যস্ত থাকায় এবার তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ দিতে পারেননি। তবে এরমধ্যে দলের কয়েকজন নেতা ও কয়েকটি দলীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও অধিকাংশ নেতা-কর্মী সাক্ষাতের সময় না পাওয়ায় তার হতাশ হয়েছেন। এছাড়াও হতাশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও নতুন কমিটি দাবীদার অনেক নেতা-কর্মী।
প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রীর সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসু হয়েছে। এছাড়াও সংবর্ধনা সভা সফল হওয়ায় তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যা তার ভাষণ ও বক্তব্যে একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগকে আবার বিজয়ী করতে তিনি প্রবাসীদের ভোট চেয়েছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ও সংবর্ধনা সভায় হৈচৈকারীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোন মন্তব্য করেছেন কিনা এমন বিষয়ে ড. সিদ্দিক কোন মন্তব্য না করে বলেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তারা ভালো কাজ করেননি, খুব খারাপ কাজ করেছেন।
আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করতে পেরেছি। এটাই আমাদের বড় সফলতা। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবার জয়ী হতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে বলেছেন। (বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

সাক্ষাৎ না পাওয়া আর নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা হতাশ

প্রকাশের সময় : ০৫:২২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৮

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশন যোগদান উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কের ৭দিন সফল শেষে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন। তিনি গত ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় ৮টা ২০ মিনিনে বৃটিশ এয়ারওয়েজ-এর একটি বিমানে লন্ডনের উদ্দেশে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩ সেপ্টেম্বর রোববার লন্ডন থেকে নিউজার্সী হয়ে নিউইয়র্ক আসেন। ঐদিন তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের একাধিক ইভেন্টে যোগদেন। প্রধানমন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন। এরপর দিন ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক অবস্থানকালে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা যায়।
এদিকে গ্র্যান্ড হায়াত হোটেল প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই হোটেলেই তাঁর সফর সঙ্গীরাও অবস্থান করে। তবে অতীতের চেয়ে এবার হোটেলে নিরাপত্তা জনিত কারণে বেশ কড়াকড়ি দেখা যায় এবং এর ফলে সহজেই প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ হয়নি। সূত্রমতে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে ব্যস্ত থাকায় এবার তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ দিতে পারেননি। তবে এরমধ্যে দলের কয়েকজন নেতা ও কয়েকটি দলীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও অধিকাংশ নেতা-কর্মী সাক্ষাতের সময় না পাওয়ায় তার হতাশ হয়েছেন। এছাড়াও হতাশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও নতুন কমিটি দাবীদার অনেক নেতা-কর্মী।
প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রীর সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসু হয়েছে। এছাড়াও সংবর্ধনা সভা সফল হওয়ায় তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যা তার ভাষণ ও বক্তব্যে একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগকে আবার বিজয়ী করতে তিনি প্রবাসীদের ভোট চেয়েছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ও সংবর্ধনা সভায় হৈচৈকারীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোন মন্তব্য করেছেন কিনা এমন বিষয়ে ড. সিদ্দিক কোন মন্তব্য না করে বলেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তারা ভালো কাজ করেননি, খুব খারাপ কাজ করেছেন।
আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করতে পেরেছি। এটাই আমাদের বড় সফলতা। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবার জয়ী হতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে বলেছেন। (বাংলা পত্রিকা)