নিউইয়র্ক ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮
  • / ১৩৬৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: কলকাতার গীটার ও হারমোনিকা বাদক তাপস কুমার দত্ত। সঙ্গীত ভুবনে যিনি মার্কো নামেই পরিচিত। কলকাতায় জন্ম। সেই ১৯৭৭ সালে ৭/৮ বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে যোগদান। এরপর ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন-এর উপর ডিপ্লোমাধারী। লেখাপড়ার জন্য মাঝে সঙ্গীত জগত থেকে দূরে থাকেন। পরবর্তীতে কিছুদিন চাকুরী করার পর আবার সঙ্গীত জগতে ফিরে আসা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিশেন ইউএসএ’র আমন্ত্রণে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন। গত ২৫-২৭ মে টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। গত ১ জুন শুক্রবার নিউইয়র্কে এই প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে জানান তার সঙ্গীত ভুবনের কথা।
এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কো বলেন, ৯০ দশক থেকে পুরোপুরি সঙ্গীত জগতের সাথে সম্পৃক্ত। ছোট বেলার সখ হিসেবে ২০০০ সালে সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু। ২০১৭ সালে কলকাতায় বিভিন্ন শিল্পীর দূর্গা পূজার গানের ২৫টির মতো গাওয়া গান ছিলো আমার সুরকরা। যা রেকর্ড মনে করছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের ভালো শিল্পীরা চাচ্ছেন নিজস্বতা গড়ে তুলতে। ফেসবুক ইউটিউব আসার পর শিল্পীর প্রচার সহজ হয়েছে। আগে প্রচারের জন্য প্রচন্ড লড়াই করতে হতো, এখন আর সেই অবস্থা নেই। জানান, অনুষ্ঠান করতে এই প্রথম তার যুক্তরাষ্ট্র আগমন। এর আগে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ-এ অনুষ্ঠান করেছেন। জানান, বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম।
গীতিকার লক্ষিকান্ত রায়-এর লেখা আমার সুর করা আর মহুয়া ব্যানার্জীর কন্ঠে গাওয়া ‘ওগো জন্মভূমি তুমি মা’ অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। গানটি দেশ মাতৃকা নিয়ে তৈরী। যেকোন দেশেরই নাগরিক গানটি তার দেশের জন্য গাইতে পারবে। এছাড়াও অসংখ্য গানের সুরকার মার্কো অনেক সিনেমায় যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের এলআরবি গ্রুপের গান তার অন্যতম প্রিয় গান।
এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কো বলেন, নতুন নতুন গান তৈরী করাই আমার লক্ষ্য। পশ্চিমা গানের দাসত্ব থেকে বাংলা গানকে মুক্ত করতে হবে। বাংলা গানের ঐতিহ্য আর সুর ফিরিয়ে আসতে হবে। বলেন, রাম প্রসাদ, বর্মন, লালন ফকির, আব্বাস উদ্দিন, সলিল চৌধুরী প্রমুখদের গানের ধারাই আলাদা ছিলো। সেই ধারা জাগিয়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, এখন পাঁচ মিশালী গানের ধারা চলছে। ফলে গান আর গান থাকছে না। কার কোন গান তা চেনা যায় না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালী অডিয়েন্স দারুন লেগেছে। মনে হলো কলকাতার চেয়ে প্রবাসী বাঙালীরাই বেশী বাংলা গান শুনেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সস্তা জনপ্রিয়তা নয়, কঠোর অনুশীলন আর গুরু নির্বাচন করেই শিল্পী হতে হবে। হিন্দী গানের জোয়ারে যখন বাংলা গান কোনঠাসা হওয়ার পথে তখন মনের মধ্যে জেগে উঠে বাংলা গান জাগাতে হবে। নতুন সুরে, নতুন গান গাইতে ইচ্ছুক শিল্পীরা তার সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ (কলকাতায় ফোন: ০৯৮৩০৭২০৫৫৪) জানান। (বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম

প্রকাশের সময় : ১১:২০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮

হককথা ডেস্ক: কলকাতার গীটার ও হারমোনিকা বাদক তাপস কুমার দত্ত। সঙ্গীত ভুবনে যিনি মার্কো নামেই পরিচিত। কলকাতায় জন্ম। সেই ১৯৭৭ সালে ৭/৮ বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে যোগদান। এরপর ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন-এর উপর ডিপ্লোমাধারী। লেখাপড়ার জন্য মাঝে সঙ্গীত জগত থেকে দূরে থাকেন। পরবর্তীতে কিছুদিন চাকুরী করার পর আবার সঙ্গীত জগতে ফিরে আসা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিশেন ইউএসএ’র আমন্ত্রণে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন। গত ২৫-২৭ মে টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। গত ১ জুন শুক্রবার নিউইয়র্কে এই প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে জানান তার সঙ্গীত ভুবনের কথা।
এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কো বলেন, ৯০ দশক থেকে পুরোপুরি সঙ্গীত জগতের সাথে সম্পৃক্ত। ছোট বেলার সখ হিসেবে ২০০০ সালে সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু। ২০১৭ সালে কলকাতায় বিভিন্ন শিল্পীর দূর্গা পূজার গানের ২৫টির মতো গাওয়া গান ছিলো আমার সুরকরা। যা রেকর্ড মনে করছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের ভালো শিল্পীরা চাচ্ছেন নিজস্বতা গড়ে তুলতে। ফেসবুক ইউটিউব আসার পর শিল্পীর প্রচার সহজ হয়েছে। আগে প্রচারের জন্য প্রচন্ড লড়াই করতে হতো, এখন আর সেই অবস্থা নেই। জানান, অনুষ্ঠান করতে এই প্রথম তার যুক্তরাষ্ট্র আগমন। এর আগে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ-এ অনুষ্ঠান করেছেন। জানান, বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম।
গীতিকার লক্ষিকান্ত রায়-এর লেখা আমার সুর করা আর মহুয়া ব্যানার্জীর কন্ঠে গাওয়া ‘ওগো জন্মভূমি তুমি মা’ অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। গানটি দেশ মাতৃকা নিয়ে তৈরী। যেকোন দেশেরই নাগরিক গানটি তার দেশের জন্য গাইতে পারবে। এছাড়াও অসংখ্য গানের সুরকার মার্কো অনেক সিনেমায় যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের এলআরবি গ্রুপের গান তার অন্যতম প্রিয় গান।
এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কো বলেন, নতুন নতুন গান তৈরী করাই আমার লক্ষ্য। পশ্চিমা গানের দাসত্ব থেকে বাংলা গানকে মুক্ত করতে হবে। বাংলা গানের ঐতিহ্য আর সুর ফিরিয়ে আসতে হবে। বলেন, রাম প্রসাদ, বর্মন, লালন ফকির, আব্বাস উদ্দিন, সলিল চৌধুরী প্রমুখদের গানের ধারাই আলাদা ছিলো। সেই ধারা জাগিয়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, এখন পাঁচ মিশালী গানের ধারা চলছে। ফলে গান আর গান থাকছে না। কার কোন গান তা চেনা যায় না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালী অডিয়েন্স দারুন লেগেছে। মনে হলো কলকাতার চেয়ে প্রবাসী বাঙালীরাই বেশী বাংলা গান শুনেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সস্তা জনপ্রিয়তা নয়, কঠোর অনুশীলন আর গুরু নির্বাচন করেই শিল্পী হতে হবে। হিন্দী গানের জোয়ারে যখন বাংলা গান কোনঠাসা হওয়ার পথে তখন মনের মধ্যে জেগে উঠে বাংলা গান জাগাতে হবে। নতুন সুরে, নতুন গান গাইতে ইচ্ছুক শিল্পীরা তার সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ (কলকাতায় ফোন: ০৯৮৩০৭২০৫৫৪) জানান। (বাংলা পত্রিকা)