নিউইয়র্ক ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জ্যামাইকায় বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ : বাংলাদেশী-আমেরিকান সহ সকল দেশের ইমিগ্র্যান্টদের পাশে থাকার অঙ্গীকার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৯৪৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক সিটির পাঁচ বরোর অন্যতম কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ আগামীতে সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী। তার প্রাইমারী নির্বাচনের অংশ হিসেবে কুইন্সের জ্যামাইকার বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি অতীতের মতো আগামী দিনেও তাকে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা অতীতের মতো আগামী দিনেও কুইন্সবাসীদের পাশে থেকে অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য হিসেকে নিউইয়র্ক সিটির সকল কাজে বাংলাদেশী-আমেরিকান সহ সকল দেশের ইমিগ্র্যান্টদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে বলেছেন, আমরা সবাই মিলে নিউইয়র্কে আরো অভিবাসী বান্ধব সিটিতে পরিণত করবো। অভিবাসীরা হচ্ছেন নিউইয়র্ক সিটি ও কুইন্সের সম্পদ। তাদের সুরক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ইমিগ্রেশন-বিরোধী’ নীতি কখনো বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, কুইন্সের ‘হেইট ক্রাইম বন্ধ’সহ মুসলিম কমিউনিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ‘সিটি ও বোরো’ প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-এর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, জ্যামাইকার বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রাণের দাবী ‘শহীদ মিনার প্রকল্প’ বাস্তবায়নে জন্য সিটি প্রশাসন দেড়/দুই মিলিয়ন ডলার মঞ্জুর করেছে। তবে কোন আদলে শহীদ মিনার প্রকল্প বাস্তবয়িত হবে তা তিনি পরিষ্কার করেননি।
‘বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি ফর মেলিন্ডা ক্যাটজ’ ব্যানারে আয়োজিত এক ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে বরো প্রেসিডেন্ট উপরোক্ত কথা বলেন। গত ৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার ইকরা কমিউনিটি সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাবেক সভাপতি ডা. ওয়াহিদুর রহমান ও আইনজীবী এন মজুমদার। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে এসময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান ওয়েলকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট রিয়াল এস্টেট ব্যবসায়ী এবিএম ওসমান গনি, এনওয়াই ইন্স্যুরেন্স-এর প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন।
কুইন্স বরো কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, মূলধারার রাজনীতিক দীলিপ নাথ, ফ্রেন্ডস সোসাইটির উপদেষ্টা হুসনে আরা বেগম, সভাপতি শেখ হায়দার আলী, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট খোরশেদ খন্দকার, রোকেয়া আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেলিন্ডা ক্যাটজ-কে ফুলের তোরা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে মেলিন্ডা ক্যাটজ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন বিরোধী নীতির কড়া সমালোচনা করে বলেন, সেনচুয়ারি সিটি হিসেবে খ্যাত নিউইয়র্কের অভিবাসীদের সুরক্ষায় সর্বদা সোচ্চার থাকবেন, তিনি ও তার প্রশাসন। তিনি বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটি যেমন তার পাশে রয়েছেন, তেমনী আগামী দিনেও তিনি যেখানেই থাকেন না কেনো বাংলাদেশী কমিউনিটির পাশে থাকবেন।
পরে বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ উপস্থিত সুধীবৃন্দের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন। কাজী আশরাফ হোসেন নয়নের এক প্রশ্নের উত্তরে মেলিন্ডা ক্যাটজ বলেন, মুসলিম অভিবাসীদের নিরাপত্তা জোরদার এবং হেইট-ক্রাইম বন্ধে সিটি ও বোরো প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতার পর মেলিন্ডা ক্যাটজ তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ২০১৩ সালে প্রথম জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির একুশে ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং সেই অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডস সোসাইটির পক্ষ থেকে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার জ্যামাইকা তথা নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার দাবী জানান। সেই সময় ফ্রেন্ডস সোসাইটির দাবীর প্রেক্ষিতে মেলিন্ডা ক্যাটজ বলেন, নির্বাচিত হলে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি ভূমিকা রাখবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তিনি পরপর দু’বার বরো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে বরো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি সিটি মেয়র হিসেবে ডেমোক্রেট দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশী। ছবি: মোহাম্মদ সোলায়মান

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

জ্যামাইকায় বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ : বাংলাদেশী-আমেরিকান সহ সকল দেশের ইমিগ্র্যান্টদের পাশে থাকার অঙ্গীকার

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক সিটির পাঁচ বরোর অন্যতম কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ আগামীতে সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী। তার প্রাইমারী নির্বাচনের অংশ হিসেবে কুইন্সের জ্যামাইকার বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি অতীতের মতো আগামী দিনেও তাকে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা অতীতের মতো আগামী দিনেও কুইন্সবাসীদের পাশে থেকে অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য হিসেকে নিউইয়র্ক সিটির সকল কাজে বাংলাদেশী-আমেরিকান সহ সকল দেশের ইমিগ্র্যান্টদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে বলেছেন, আমরা সবাই মিলে নিউইয়র্কে আরো অভিবাসী বান্ধব সিটিতে পরিণত করবো। অভিবাসীরা হচ্ছেন নিউইয়র্ক সিটি ও কুইন্সের সম্পদ। তাদের সুরক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ইমিগ্রেশন-বিরোধী’ নীতি কখনো বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, কুইন্সের ‘হেইট ক্রাইম বন্ধ’সহ মুসলিম কমিউনিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ‘সিটি ও বোরো’ প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-এর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, জ্যামাইকার বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রাণের দাবী ‘শহীদ মিনার প্রকল্প’ বাস্তবায়নে জন্য সিটি প্রশাসন দেড়/দুই মিলিয়ন ডলার মঞ্জুর করেছে। তবে কোন আদলে শহীদ মিনার প্রকল্প বাস্তবয়িত হবে তা তিনি পরিষ্কার করেননি।
‘বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি ফর মেলিন্ডা ক্যাটজ’ ব্যানারে আয়োজিত এক ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে বরো প্রেসিডেন্ট উপরোক্ত কথা বলেন। গত ৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার ইকরা কমিউনিটি সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাবেক সভাপতি ডা. ওয়াহিদুর রহমান ও আইনজীবী এন মজুমদার। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে এসময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান ওয়েলকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট রিয়াল এস্টেট ব্যবসায়ী এবিএম ওসমান গনি, এনওয়াই ইন্স্যুরেন্স-এর প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন।
কুইন্স বরো কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, মূলধারার রাজনীতিক দীলিপ নাথ, ফ্রেন্ডস সোসাইটির উপদেষ্টা হুসনে আরা বেগম, সভাপতি শেখ হায়দার আলী, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট খোরশেদ খন্দকার, রোকেয়া আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেলিন্ডা ক্যাটজ-কে ফুলের তোরা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে মেলিন্ডা ক্যাটজ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন বিরোধী নীতির কড়া সমালোচনা করে বলেন, সেনচুয়ারি সিটি হিসেবে খ্যাত নিউইয়র্কের অভিবাসীদের সুরক্ষায় সর্বদা সোচ্চার থাকবেন, তিনি ও তার প্রশাসন। তিনি বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটি যেমন তার পাশে রয়েছেন, তেমনী আগামী দিনেও তিনি যেখানেই থাকেন না কেনো বাংলাদেশী কমিউনিটির পাশে থাকবেন।
পরে বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ উপস্থিত সুধীবৃন্দের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন। কাজী আশরাফ হোসেন নয়নের এক প্রশ্নের উত্তরে মেলিন্ডা ক্যাটজ বলেন, মুসলিম অভিবাসীদের নিরাপত্তা জোরদার এবং হেইট-ক্রাইম বন্ধে সিটি ও বোরো প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতার পর মেলিন্ডা ক্যাটজ তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ২০১৩ সালে প্রথম জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির একুশে ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং সেই অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডস সোসাইটির পক্ষ থেকে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার জ্যামাইকা তথা নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার দাবী জানান। সেই সময় ফ্রেন্ডস সোসাইটির দাবীর প্রেক্ষিতে মেলিন্ডা ক্যাটজ বলেন, নির্বাচিত হলে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি ভূমিকা রাখবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তিনি পরপর দু’বার বরো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে বরো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি সিটি মেয়র হিসেবে ডেমোক্রেট দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশী। ছবি: মোহাম্মদ সোলায়মান