নিউইয়র্ক ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চট্টগ্রাম সমিতি : হৈচৈ-হাতাহাতির ঘটনা : সভাপতির হানায় সা. সম্পাদকের সাংবাদিক সম্মেলন পন্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ১২৬৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নেতৃত্বের কোন্দল, আর্থিক অনিয়ম আর বহিস্কার পাল্টা বহিস্কারের ঘটনায় জর্জিরত চট্টগ্রাম সমিতিতে এবার সভাপতির নেতৃত্বে হানা দেয়ার ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক আহুত সাংবাদিক সম্মেলন পন্ড হয়ে গেছে। এসময় উভয় ব্যাপক হৈচৈ, বাক বিতন্ডা আর হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পুলিশী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও প্রবাসের অন্যতম সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি অব নর্থ আমেরিকা ইনক সদস্যদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এদিকে সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে পরষ্পরকেই দায়ী করেছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে চট্টগ্রাম সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল হোসেন মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম-এর নেতৃত্বে সমিতির উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী আজম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আসন নেয়ার পর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম লিখিত বক্তব্য পাঠ শুরু করার কিছুক্ষনের মধ্যেই সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া ও ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে তাদের সমর্থকরা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রথমে সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করার দাবী জাননয় এবং এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাদের দাবীর পরও মোহাম্মদ সেলিম তার বক্তব্য পাঠ করতে থাকেন। এই পর্যায়ে পিছন দিক থেকে একজন এসে মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং কেউ কেউ সাংবাদিক সম্মেলন মঞ্চে উঠে দখল সহ ব্যানার টেনে নেয়ার চেষ্টা চালায়। ফলে শুরু হয় তুমুল বাক-বিতন্ডা, হৈচৈ। ঘটনা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং ৪/৫ মিনিট চরম উত্তেজনা চলে। এসময় পালকি পার্টি সেন্টার কর্তৃপক্ষ পুলিশ কল করার হুমকী দেওয়ার পরও বিচ্ছিন্নভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি বাক-বিতন্ড চলতে থাকে এবং সভাপতির পক্ষের লোকজন সাংবাদিক সম্মেলনের ব্যানার ও মাইক্রোফন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় পালকি পার্টি সেন্টারের অন্যতম স্বত্তাধিকারী হারুণ ভূঁইয়া ও কামরুজ্জামান উভয় পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে পুলিশ কল করেন।
ঘটনার এক ফাঁকে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ও তার লোকজন মঞ্চ দখলে রেখেই ব্যানার উদ্ধার করে তা সাঁটিয়ে পুনরায় সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্যোগ নিলে সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া ও ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদের মুখে সাংবাদিক সম্মেলনটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। এই পর্যায়ে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে সবাইকে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে হানা এবং পন্ড করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী আজম এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমার সময় সমিতিতে ৪২ হাজার ডলার ফান্ডে রেখেছিলাম। সমিতিতে এখন লুটপাটের রাজত্ব চলছে। প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের নিয়ে যে করেই হোক এই লুটপাট বন্ধ করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, চট্টগ্রাম সমিতির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতেই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ‘সন্ত্রাসী’দের হামলার কারণে তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা কোন অশান্তি চাই না বলেই কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি দাবী করেন যে, তারা সমিতির কোন অর্থ আতœসাৎ করেননি।
ঘটনার ব্যাপারে সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া বলেন, মোহাম্মদ সেলিম-রাসেল সমিতির ৪৪,৬২২ ডলার আতœসাৎ করেছে। সমিতির অর্থ অবিলম্বে তাদেরকে সমিতির ফান্ডে ফেরৎ দিতে হবে।
ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ বলেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ও কোষাধ্যক্ষ মীর কাদের রাসেল সমিতির ৪৪ হাজার ডলার আতœসাৎ করেছে বলে আমরা তাদেরকে সমিতি থেকে বহিস্কার করেছি। এরা বহিস্কৃত বলেই সমিতির ব্যানার ব্যবহার করতে পারে না। এরা চোর। যার জন্য তাদের সাংবাদিক সম্মেলনে আমরা বাধা দিয়েছি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি নর্থ আমেরিকা’র অভ্যন্তরীন কোন্দল আবার চরম আকার ধারণ করেছে। নেতৃত্বের কোন্দল আর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ সদস্যবৃন্দ। উদ্ভুত পরিস্থিতে ‘সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে’ অতি সম্প্রতি সংগঠনের একদিকে এক পক্ষ সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া ও সিনিয়র সহ সভাপতি খোকন কে চৌধুরীকে, অপরদিকে অপর পক্ষ সাধারণ সম্পাদক মো: সেলিম ও কোষাধ্যক্ষকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে বহিষ্কার করেছে।
এদিকে সমিতির এক সভায় সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আশ্রাব আলী খান লিটনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং সমাজকল্যাণ ও আপ্যায়ন সম্পাদক মতিউর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ মনোনতি করে সংগঠন পরিচালনা করছেন বলে দাবী করেছেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম নেতৃত্বাধীন কমিটি সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের অন্যতম সদস্য কামাল হোসেন মিঠু-কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত করে সংগঠন পরিচালনা করছেন বলে দাবী করেছেন।
জানা গেছে, সমিতির গত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই মূলত: চট্টগ্রাম সমিতিতে বিরোধ-বিভক্তি আর নেতৃত্বের কোন্দল শুরু হয়। সেই সময় সমিতির নিজস্ব ভবন দখল, পাল্টা দখলের ঘটনাও ঘটে। বিভক্তির কারণে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সমিতির এসব কর্মকান্ডে বিব্রত সাধারণ প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী। সংশ্লিষ্টদের মতে সমিতির বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যকার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, নেতৃত্বের কোন্দল, মত পার্থক্য প্রভৃতি কারনে ‘চরম খেসারত’ দিতে হচ্ছে প্রবাসের এক সময়ের সুনামধন্য সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতিকে। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

চট্টগ্রাম সমিতি : হৈচৈ-হাতাহাতির ঘটনা : সভাপতির হানায় সা. সম্পাদকের সাংবাদিক সম্মেলন পন্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

নিউইয়র্ক: নেতৃত্বের কোন্দল, আর্থিক অনিয়ম আর বহিস্কার পাল্টা বহিস্কারের ঘটনায় জর্জিরত চট্টগ্রাম সমিতিতে এবার সভাপতির নেতৃত্বে হানা দেয়ার ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক আহুত সাংবাদিক সম্মেলন পন্ড হয়ে গেছে। এসময় উভয় ব্যাপক হৈচৈ, বাক বিতন্ডা আর হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পুলিশী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও প্রবাসের অন্যতম সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি অব নর্থ আমেরিকা ইনক সদস্যদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এদিকে সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে পরষ্পরকেই দায়ী করেছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে চট্টগ্রাম সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল হোসেন মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম-এর নেতৃত্বে সমিতির উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী আজম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আসন নেয়ার পর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম লিখিত বক্তব্য পাঠ শুরু করার কিছুক্ষনের মধ্যেই সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া ও ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে তাদের সমর্থকরা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রথমে সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করার দাবী জাননয় এবং এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাদের দাবীর পরও মোহাম্মদ সেলিম তার বক্তব্য পাঠ করতে থাকেন। এই পর্যায়ে পিছন দিক থেকে একজন এসে মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং কেউ কেউ সাংবাদিক সম্মেলন মঞ্চে উঠে দখল সহ ব্যানার টেনে নেয়ার চেষ্টা চালায়। ফলে শুরু হয় তুমুল বাক-বিতন্ডা, হৈচৈ। ঘটনা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং ৪/৫ মিনিট চরম উত্তেজনা চলে। এসময় পালকি পার্টি সেন্টার কর্তৃপক্ষ পুলিশ কল করার হুমকী দেওয়ার পরও বিচ্ছিন্নভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি বাক-বিতন্ড চলতে থাকে এবং সভাপতির পক্ষের লোকজন সাংবাদিক সম্মেলনের ব্যানার ও মাইক্রোফন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় পালকি পার্টি সেন্টারের অন্যতম স্বত্তাধিকারী হারুণ ভূঁইয়া ও কামরুজ্জামান উভয় পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে পুলিশ কল করেন।
ঘটনার এক ফাঁকে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ও তার লোকজন মঞ্চ দখলে রেখেই ব্যানার উদ্ধার করে তা সাঁটিয়ে পুনরায় সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্যোগ নিলে সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া ও ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদের মুখে সাংবাদিক সম্মেলনটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। এই পর্যায়ে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে সবাইকে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে হানা এবং পন্ড করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী আজম এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমার সময় সমিতিতে ৪২ হাজার ডলার ফান্ডে রেখেছিলাম। সমিতিতে এখন লুটপাটের রাজত্ব চলছে। প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের নিয়ে যে করেই হোক এই লুটপাট বন্ধ করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, চট্টগ্রাম সমিতির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতেই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ‘সন্ত্রাসী’দের হামলার কারণে তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা কোন অশান্তি চাই না বলেই কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি দাবী করেন যে, তারা সমিতির কোন অর্থ আতœসাৎ করেননি।
ঘটনার ব্যাপারে সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া বলেন, মোহাম্মদ সেলিম-রাসেল সমিতির ৪৪,৬২২ ডলার আতœসাৎ করেছে। সমিতির অর্থ অবিলম্বে তাদেরকে সমিতির ফান্ডে ফেরৎ দিতে হবে।
ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ বলেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ও কোষাধ্যক্ষ মীর কাদের রাসেল সমিতির ৪৪ হাজার ডলার আতœসাৎ করেছে বলে আমরা তাদেরকে সমিতি থেকে বহিস্কার করেছি। এরা বহিস্কৃত বলেই সমিতির ব্যানার ব্যবহার করতে পারে না। এরা চোর। যার জন্য তাদের সাংবাদিক সম্মেলনে আমরা বাধা দিয়েছি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি নর্থ আমেরিকা’র অভ্যন্তরীন কোন্দল আবার চরম আকার ধারণ করেছে। নেতৃত্বের কোন্দল আর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ সদস্যবৃন্দ। উদ্ভুত পরিস্থিতে ‘সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে’ অতি সম্প্রতি সংগঠনের একদিকে এক পক্ষ সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া ও সিনিয়র সহ সভাপতি খোকন কে চৌধুরীকে, অপরদিকে অপর পক্ষ সাধারণ সম্পাদক মো: সেলিম ও কোষাধ্যক্ষকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে বহিষ্কার করেছে।
এদিকে সমিতির এক সভায় সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আশ্রাব আলী খান লিটনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং সমাজকল্যাণ ও আপ্যায়ন সম্পাদক মতিউর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ মনোনতি করে সংগঠন পরিচালনা করছেন বলে দাবী করেছেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম নেতৃত্বাধীন কমিটি সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের অন্যতম সদস্য কামাল হোসেন মিঠু-কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত করে সংগঠন পরিচালনা করছেন বলে দাবী করেছেন।
জানা গেছে, সমিতির গত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই মূলত: চট্টগ্রাম সমিতিতে বিরোধ-বিভক্তি আর নেতৃত্বের কোন্দল শুরু হয়। সেই সময় সমিতির নিজস্ব ভবন দখল, পাল্টা দখলের ঘটনাও ঘটে। বিভক্তির কারণে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সমিতির এসব কর্মকান্ডে বিব্রত সাধারণ প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী। সংশ্লিষ্টদের মতে সমিতির বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যকার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, নেতৃত্বের কোন্দল, মত পার্থক্য প্রভৃতি কারনে ‘চরম খেসারত’ দিতে হচ্ছে প্রবাসের এক সময়ের সুনামধন্য সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতিকে। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)