নিউইয়র্ক ১০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সুমি ঘটনার জের শেষ না হতেই : নিউইয়র্কে বাংলাদেশী পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৭৮৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে আত্মহত্যার শিকার নাদিয়া আফরোজ সুমির শোকের রেশ না কাটতেই নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের সম্ভবনায় তরুণ অফিসার মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন সরকার (২৬) আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক অশান্তির জের হিসেবে তিনি মুত্যুকে নিজেই আলিঙ্গন করেন বলে অভিযোগ করেছেন নিকট আত্মীয়রা। গত রোববার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে নিজ ঘরে নিজের উপর গুলি চালান তিনি। এতে ঘটনাস্থালেই তার মৃত্যু ঘঠে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। সোমবার বাদ মাগরিব জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে তার নামাজে জানাজা।
হেমায়েত উদ্দীন সরকার (৩২) স্ত্রী ও তিন বছরের একমাত্র শিশু সন্তানকে রেখে গেছেন। তাদের বাড়ী সিরাজগঞ্জ বলে জানা গেছে। হেমায়েত উদ্দীন সরকার এন.ওয়াই.পি.ডি’র ট্রাফিক পুলিশের সদস্য হিসেবে প্রথমে কাজ করেছেন। পরে অফিসার হিসেবে এনওয়াইপিডিতে যোগদান করেন তিনি।
জানা গেছে, বেশ দীর্ঘদিন থেকে হেমায়েত উদ্দীনের স্ত্রীর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য ছিল। হেমায়েত উদ্দীনের পরিবারের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, গত রোববার তিনি ঘরেই ছিলেন। এর আগে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নিজ বাসার বেসমেন্টে তিনি নিজেই নিজেকে গুলি করেন। গুলির শব্দে স্ত্রী সহ অনেকেই ভীত হয়ে পড়েন। বেইসমেন্টে গেলে দেখা যায় ভেতর থেকে দরজা লক। এই অবস্থায় পুলিশ ডাকা হলে তারা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে গিয়ে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
হেমায়েত হোসেন সরকার মাত্র কয়েক মাস আগে বাড়ীটি কিনেছিলেন। এর আগে এন.ওয়াই.পি.ডি’র ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে তিনি অফিসার হিসেবে পুলিশে যোগদেন। ২০০২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এন.ওয়াই.পি.ডি’র অফিসার হিসেবে ব্রুকলীনের হাউজিং-২ শাখায় তিনি কাজ করতেন। মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবর স্থানে (বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কবরস্থান) তার দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ অফিসার হেমায়ত সরকার বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফার্মাসিস্ট সৈয়দ টিপু সুলতানের ভাগ্নি জামাই এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কার্যকরী সদস্য খোরশেদ আলমের শ্যালক।
এদিকে এই ঘটনার পর পরই কমিউনিটিতে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার আতœ্হত্যার খবর পেয়ে নিহত পুলিশ অফিসার হেমায়েত হোসেনের বাড়ীতে ছুটে যান অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি এম এ আজিজ, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী এবং কার্যকরী সদস্য আজাদ বাকিরসহ বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।(বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

সুমি ঘটনার জের শেষ না হতেই : নিউইয়র্কে বাংলাদেশী পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৭

নিউইয়র্ক: গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে আত্মহত্যার শিকার নাদিয়া আফরোজ সুমির শোকের রেশ না কাটতেই নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের সম্ভবনায় তরুণ অফিসার মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন সরকার (২৬) আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক অশান্তির জের হিসেবে তিনি মুত্যুকে নিজেই আলিঙ্গন করেন বলে অভিযোগ করেছেন নিকট আত্মীয়রা। গত রোববার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে নিজ ঘরে নিজের উপর গুলি চালান তিনি। এতে ঘটনাস্থালেই তার মৃত্যু ঘঠে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। সোমবার বাদ মাগরিব জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে তার নামাজে জানাজা।
হেমায়েত উদ্দীন সরকার (৩২) স্ত্রী ও তিন বছরের একমাত্র শিশু সন্তানকে রেখে গেছেন। তাদের বাড়ী সিরাজগঞ্জ বলে জানা গেছে। হেমায়েত উদ্দীন সরকার এন.ওয়াই.পি.ডি’র ট্রাফিক পুলিশের সদস্য হিসেবে প্রথমে কাজ করেছেন। পরে অফিসার হিসেবে এনওয়াইপিডিতে যোগদান করেন তিনি।
জানা গেছে, বেশ দীর্ঘদিন থেকে হেমায়েত উদ্দীনের স্ত্রীর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য ছিল। হেমায়েত উদ্দীনের পরিবারের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, গত রোববার তিনি ঘরেই ছিলেন। এর আগে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নিজ বাসার বেসমেন্টে তিনি নিজেই নিজেকে গুলি করেন। গুলির শব্দে স্ত্রী সহ অনেকেই ভীত হয়ে পড়েন। বেইসমেন্টে গেলে দেখা যায় ভেতর থেকে দরজা লক। এই অবস্থায় পুলিশ ডাকা হলে তারা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে গিয়ে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
হেমায়েত হোসেন সরকার মাত্র কয়েক মাস আগে বাড়ীটি কিনেছিলেন। এর আগে এন.ওয়াই.পি.ডি’র ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে তিনি অফিসার হিসেবে পুলিশে যোগদেন। ২০০২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এন.ওয়াই.পি.ডি’র অফিসার হিসেবে ব্রুকলীনের হাউজিং-২ শাখায় তিনি কাজ করতেন। মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবর স্থানে (বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কবরস্থান) তার দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ অফিসার হেমায়ত সরকার বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফার্মাসিস্ট সৈয়দ টিপু সুলতানের ভাগ্নি জামাই এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কার্যকরী সদস্য খোরশেদ আলমের শ্যালক।
এদিকে এই ঘটনার পর পরই কমিউনিটিতে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার আতœ্হত্যার খবর পেয়ে নিহত পুলিশ অফিসার হেমায়েত হোসেনের বাড়ীতে ছুটে যান অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি এম এ আজিজ, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী এবং কার্যকরী সদস্য আজাদ বাকিরসহ বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।(বাংলা পত্রিকা)