সিরাজের জানাজায় হাজারো মানুষ : মরদেহ দেশে প্রেরণ
- প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০১৭
- / ১০৭৩ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশী অধ্যুষিত নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের স্ক্যাফোল্ড থেকে পড়ে নিহত বাংলাদেশী সিরাজুল হকের মরদেহ নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ২৭ জুন মঙ্গলবার আমিরাত এয়ারলাইন্সের রাতের ফ্লাইটে তার বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এর আগে গত ২৩ জুন শুক্রবার বাদ জুমা ব্রুকলীনের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত মরহুমের জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেন। উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন ব্রুকলীনের একটি কন্সট্রাকশন কাজে স্ক্যাফোল্ড ভেঙ্গে পড়ে নিহত হন সিরাজুল হক। মরহুমের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানায়। খবর ইউএনএ’র।
নিহত নির্মাণকর্মী সিরাজুল হকের নামাজে জানাজার জন্য শুক্রবার জুমা নামাজের আগেই তার মরদেহ বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রুকলীনের সর্ববৃহৎ মসজিদ ‘বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার’ প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ দিনের পরিচিত ও প্রিয় মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ, সন্দ্বীপ ও কোম্পানীগঞ্জ সোসাইটি’সহ ব্রুকলীনের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ শত শত মানুষ সমবেত হন। বাদ জুমা হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে মরহুমের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে এক বৈঠকে মরহুমের মরদেহ ২৭ জুন মঙ্গলবার বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য স্থানীয় কমিউনিটি ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে সিরাজুল হকের জানাজা ঘিরে ও কর্মক্ষেত্রে অনাকাংঙ্খিত মৃত্যুর প্রতিবাদে মসজিদ প্রাঙ্গনে মৌন কর্মসূচি পালিত হয়। সাউথ এশিয়ান মানবাধিকার সংগঠন ‘ড্রাম’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনারও সৃষ্টি হয় এবং উপস্থিত স্থানীয় গণ্যমান্য বক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মৌন কর্মসূচিতে ড্রাম কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেন যে- কেবল বাংলাদেশী সিরাজুল হকই নন, কনস্ট্রাকশন মালিকদের গাফিলতির কারণেই এমন অনেকই মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ছেন কিংবা পড়ছেন। এ ধরণের অনাকাংখিত পরিস্থিতি আর যাতে কাউকে পড়তে না হয় সে জন্য সচতেনা বৃদ্ধি’সহ নির্মাণ শ্রমিক ও মালিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার দাবী উঠে ।
নোয়াখালী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু জানান, জানাজা পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে সিরাজুল হকের মরদেহ দেশে পাঠানো সহ যাবতীয় বৈঠকে বসতে আব্দুল কাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তিনি সে আমন্ত্রণে সারা দেননি। অপরদিকে যে বিল্ডিং-এর প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে সিরাজুল হক নিহত হন, সেই প্রজেক্টের মালিক আব্দুল কাদের মিয়া জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিহতের সকল ক্ষতিপূরণ বহন করবেন।