বর্ণমালার ‘বাংলা উৎসব’ তামাশায় পরিণত

- প্রকাশের সময় : ০৬:০৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০১৭
- / ১২৪৭ বার পঠিত
ওয়াশিংটন ডিসি: অবশেষে বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গন স্কুলের ‘বাংলা উৎসব’ নামের দু’দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবের নামে তামাশায় পরিণত হয়েছে। গত ১৩-১৪ মে ভার্জেনিয়ার একটি স্কুলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণমালা স্কুলের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা আর লাগামহীন চাঁদাবাজির বিষয়টি কমিউনিটির অনেকের কাছেই এখন পরিস্কার হয়ে গেছে। ৮০ হাজার ডলারের বিশাল বাজেট ও দুই দিনের অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকে কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিলো। অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিলো না বললেই চলে।
সবার কাছে বিশাল ও জাঁকজমক অনুষ্ঠান হবে-এমনটি প্রচার করা হলেও বাস্তবে এরকম ফ্লপ বা বাজে আয়োজন কখনো হয়নি। নির্ধারিত সময়ে দর্শক উপস্থিত না হওয়ায় আয়োজকরা প্রথম হোঁচট খায়। বেশ বিলম্বে অনুষ্ঠান শুরু হলেও গ্যালারিতে দর্শক ছিলো হাতে গোনা। অনুষ্ঠানের আগে আয়োজকরা প্রচার করে, বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পি গান পরিবেশন করবেন। কিন্তু সেই সব শিল্পীদের কাউকেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।
ছবি: অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতার গ্যালারীর দৃশ্য
অনুষ্ঠানে যে অল্প কয়েকজন দর্শক-শ্রোতা এসেছিলেন পরবর্তীতে তাদেরকে হতাশ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে। হাতে গোনা যে ৬০/৭০ জন উপস্থিত ছিলো তাদের প্রায় সবাই আয়োজক ও তাদের পরিবারের সদস্য। অর্থাৎ অনুষ্ঠানটি অবশেষে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। অনুষ্ঠানের এমন বেহাল ও নাজুক অবস্থা দেখে কেউ কেউ ক্ষোভের সাথে বলেন, মিথ্যা প্রচারণা, কেন বিশাল বাজেট? জনমনে প্রশ্ন এসবের মানে কি?
অনুষ্ঠানে আগত এক বাংলাদেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমেরিকায় দীর্ঘ প্রবাস জীবনে কোন অনুষ্ঠানে তিনি এত কম দর্শক দেখেননি। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে একজন দর্শক আয়োজক সেলিমকে অন্য শিল্পী আসেনি কেন প্রশ্ন করলে তিনি তার সদউত্তর না দিয়ে বরং উত্তেজিত হয়ে উঠেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আয়োজক সেলিম উপস্থিত সবার সামনেই ঐ দর্শক-শ্রোতার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। দেশ হতে আগত শিল্পী আব্দুল লতিফ উপস্থিত দর্শক দেখে হতাশা প্রকাশ করেন।
ছবি: অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতার গ্যালারীর দৃশ্য
ভবিষ্যতে কতিপয় ব্যক্তিরা যাতে অনুষ্ঠানের নামে তামাশা করতে না পারে সেদিকে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীকে সতর্ক থাকতেও অনুরোধ জানান কেউ কেউ। পাশাপাশি এ ধরনের অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজী বন্ধে কমিউনিটির নেতাদের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। অনেকেরই প্রশ্ন এতো বড় বাজেটের এতো বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের নেপথ্যেই বা কি?