নিউইয়র্ক ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘যৌন জিহাদের নামে মেয়েদের ভোগ করেছে সন্ত্রাসীরা’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪
  • / ১১৮৯ বার পঠিত

যৌন জিহাদের নামে সন্ত্রাসীরা মেয়েদের যথেচ্ছা ভোগ করেছে বলে দাবি করেছে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। প্রবাসে থাকা নারীবাদী এ লেখিকা বৃহস্পতিবার তার ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি লেখা প্রকাশ করেছেন।

তসলিমা নাসরিন তার লেখায় ধর্ম ও কমুনিজমের সমালোচনার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে নাৎসি মতবাদ ঘৃণিত এবং নিষিদ্ধ হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসীদের মানুষ জবাই, গুলি করে হত্যা এবং পাকিস্তানের শিশু হত্যার বিষয় তুলে ধরেছেন।

যা লিখছেন তসলিমা
‘১৫০ জন মেয়েকে সেদিন খুন করেছে ইসলামি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএস। কারণ ওই মেয়েরা সন্ত্রাসীদের বিয়ে করতে চায়নি। যৌন জিহাদের নামে মেয়েদের এতদিন যথেচ্ছা ভোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। তাদের এখন বিয়ের শখ হয়েছে। `আল্লাহু আকবর` বলে চেঁচিয়েছে আর জবাই করেছে বিয়েতে রাজি না হওয়া মেয়েদের। ১৫০ জন মেয়ে এখন ইরাকের গণকবরে।’

‘এদিকে পাকিস্তানের ইসলামি সন্ত্রাসীরা ১৩২ শিশু-কিশোরকে হত্যা করেছে মঙ্গলবার। হত্যা করার সময় `আল্লাহু আকবর` বলে চেঁচিয়েছে। ‘‘আল্লাহু আকবর’’ মানে আল্লাহ মহান।’

‘১৪০০ বছর ধরে কী হচ্ছে, সে না হয় বাদ দিচ্ছি। গত কয়েক মাসের দিকেই তাকাই। ইসলামি সন্ত্রাসীরা হাজারো মানুষকে আল্লাহ মহান, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ দয়ালু, আল্লাহ এক বলে নিরীহ মানুষদের জবাই করেছে। তাদের মাথা লক্ষ করে গুলি করেছে। মাথার খুলি নিয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে। এসব বর্বরতা আর নৃশংসতা আল্লাহকে ভালোবেসেই করেছে। এখনো করছে।’

‘কোনো একটা মতবাদ বা আদর্শ বা বিশ্বাসের কারণে যদি মানুষ মানুষকে হত্যা করে, তবে সেই আদর্শ বা মতবাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়, সেই মতবাদকে নিন্দা করা হয়, মানবতার স্বার্থে এমন কী নিষিদ্ধও করা হয়। যেমন, নাৎসি মতবাদ। পৃথিবীজুড়ে আজ নাৎসি মতবাদ ঘৃণিত এবং নিষিদ্ধ।’

‘কমুনিজমের নামে বা কমুনিস্ট আদর্শের কারণে কমুনিস্টরা মানুষ মেরেছে। লোকে তখন শুধু কমুনিস্টদের দোষ দেয়নি। কমুনিজমকেও দোষ দিয়েছে। কমুনিজমের মধ্যেই গলদ খুঁজে পেয়েছে।’

কিন্তু ইসলামি সন্ত্রাসীরা যখন ইসলামের নামে বা ইসলামের আদর্শের কারণে মানুষ মারে, অধিকাংশ লোক তখন শুধু সন্ত্রাসীদের দোষ দেয়, ইসলামকে দোষ দেয় না। ইসলামের সমালোচনা তো করেই না, বরং বলে ইসলাম ভালো, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করেছে সন্ত্রাসীরা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ভন্ডামিটা, ন্যাকামিটা, হিপক্রিসিটা যতদিন চলবে, ততদিন সন্ত্রাসীরা মনের সুখে সন্ত্রাস চালিয়ে যেতে পারবে, সন্দেহ নেই।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

‘যৌন জিহাদের নামে মেয়েদের ভোগ করেছে সন্ত্রাসীরা’

প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪

যৌন জিহাদের নামে সন্ত্রাসীরা মেয়েদের যথেচ্ছা ভোগ করেছে বলে দাবি করেছে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। প্রবাসে থাকা নারীবাদী এ লেখিকা বৃহস্পতিবার তার ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি লেখা প্রকাশ করেছেন।

তসলিমা নাসরিন তার লেখায় ধর্ম ও কমুনিজমের সমালোচনার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে নাৎসি মতবাদ ঘৃণিত এবং নিষিদ্ধ হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসীদের মানুষ জবাই, গুলি করে হত্যা এবং পাকিস্তানের শিশু হত্যার বিষয় তুলে ধরেছেন।

যা লিখছেন তসলিমা
‘১৫০ জন মেয়েকে সেদিন খুন করেছে ইসলামি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএস। কারণ ওই মেয়েরা সন্ত্রাসীদের বিয়ে করতে চায়নি। যৌন জিহাদের নামে মেয়েদের এতদিন যথেচ্ছা ভোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। তাদের এখন বিয়ের শখ হয়েছে। `আল্লাহু আকবর` বলে চেঁচিয়েছে আর জবাই করেছে বিয়েতে রাজি না হওয়া মেয়েদের। ১৫০ জন মেয়ে এখন ইরাকের গণকবরে।’

‘এদিকে পাকিস্তানের ইসলামি সন্ত্রাসীরা ১৩২ শিশু-কিশোরকে হত্যা করেছে মঙ্গলবার। হত্যা করার সময় `আল্লাহু আকবর` বলে চেঁচিয়েছে। ‘‘আল্লাহু আকবর’’ মানে আল্লাহ মহান।’

‘১৪০০ বছর ধরে কী হচ্ছে, সে না হয় বাদ দিচ্ছি। গত কয়েক মাসের দিকেই তাকাই। ইসলামি সন্ত্রাসীরা হাজারো মানুষকে আল্লাহ মহান, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ দয়ালু, আল্লাহ এক বলে নিরীহ মানুষদের জবাই করেছে। তাদের মাথা লক্ষ করে গুলি করেছে। মাথার খুলি নিয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে। এসব বর্বরতা আর নৃশংসতা আল্লাহকে ভালোবেসেই করেছে। এখনো করছে।’

‘কোনো একটা মতবাদ বা আদর্শ বা বিশ্বাসের কারণে যদি মানুষ মানুষকে হত্যা করে, তবে সেই আদর্শ বা মতবাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়, সেই মতবাদকে নিন্দা করা হয়, মানবতার স্বার্থে এমন কী নিষিদ্ধও করা হয়। যেমন, নাৎসি মতবাদ। পৃথিবীজুড়ে আজ নাৎসি মতবাদ ঘৃণিত এবং নিষিদ্ধ।’

‘কমুনিজমের নামে বা কমুনিস্ট আদর্শের কারণে কমুনিস্টরা মানুষ মেরেছে। লোকে তখন শুধু কমুনিস্টদের দোষ দেয়নি। কমুনিজমকেও দোষ দিয়েছে। কমুনিজমের মধ্যেই গলদ খুঁজে পেয়েছে।’

কিন্তু ইসলামি সন্ত্রাসীরা যখন ইসলামের নামে বা ইসলামের আদর্শের কারণে মানুষ মারে, অধিকাংশ লোক তখন শুধু সন্ত্রাসীদের দোষ দেয়, ইসলামকে দোষ দেয় না। ইসলামের সমালোচনা তো করেই না, বরং বলে ইসলাম ভালো, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করেছে সন্ত্রাসীরা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ভন্ডামিটা, ন্যাকামিটা, হিপক্রিসিটা যতদিন চলবে, ততদিন সন্ত্রাসীরা মনের সুখে সন্ত্রাস চালিয়ে যেতে পারবে, সন্দেহ নেই।’