নিউইয়র্ক ০৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আবারো তুষারঝড়ের আশঙ্কায় নিউইয়র্ক : জরুরী অবস্থা জারী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • / ৬৭৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: মৌসুমের শেষ তুষারঝড় ঘিরে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে নিউইয়র্ক সহ আশপাশের অঙ্গরাজ্যগুলো। সোমবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতের পর বা মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দিনব্যাপী বড় ধরণের তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে ১৮ ইঞ্চি তুষারপাতের আশংকা করা হয়েছে। ফলে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে নিইইয়র্ক সিটিতে। মঙ্গলবার জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুতে বারণ করেছেন মেয়র বিল ডি ব্লাজিও।
নিউইয়র্কের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই উপকূলীয় এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়। এর সঙ্গে তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাবে। এর মধ্যেই গত তিন দিন থেকে নিউইয়র্কের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। তুষারপাতে সড়কপথ বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে সতর্ক করে সিটিবাসীদের ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহন ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে সম্ভাব্য তুষাপাত যাতে জমাট বাঁধতে না পারে সেজন্য সিটিতে ৬৮৯টি লবণ ছড়ানো গাড়ি প্রস্তত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কোথাও কোথাও লবন ছড়ানো শুরু হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ী/অ্যাপার্টমেন্টের সামনের রাস্তায় আগেভাগেই লবন ছড়ানো হয়েছে। অপরদিকে সমুদ্র ও বীচ সংলগ্ন গৃহহীনদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সিটি প্রশাসন জানিয়েছে।
এদিকে গল বছরই মৌসুমের শেষ দিকে এসে প্রায় ৩০ ইঞ্চির উপরে তুষারস্তুপে ঢেকে যায় নিউইয়র্ক’সহ যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট-কোস্টের কয়েকটি রাজ্যে। বিদায়ী বছরের ২১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ তুষার ঝড়ের পর নিউইয়র্ক’সহ ট্রাই ষ্টেট অঙ্গরাজ্যের জনজীবনের নেমে আসে বিপর্যয়। এবারো সে রকম কিছুর আশঙ্কা করছে নিউইয়র্ক সিটি, রাজ্য প্রশাসন’সহ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই আগ থেকেই সিটির বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে মূলধারার গণমাধ্যম’সহ আবহাওয়া বার্তা বিভাগ থেকে। একই সাথে নদী তীরবর্তী এরিয়ার বাসিন্দাদের নিরাপদে ও সতকর্তা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) হাল্কা ও মাঝারি তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে। চলছে শৈত প্রবাহ।
অপরদিকে মঙ্গলবারে সম্ভাব্য তুষারপাতের আশংকায় সোমবার সিটিবাসীদের প্রস্তুতি হিসেবে বড় বড় শপিংমল সহ গ্রোসারী স্টোরগুলোতে ব্যাপক কেনাকাটা করতে দেখা যায়। খাবার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা করেন ক্রেতারা।
NY Snow_BBCবিবিসি’র খবরে প্রকাশ তুষারপাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর অনেক এলাকা বরফের নিচে ঢাকা পড়তে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে পরদিন পর্যন্ত টানা তুষারপাতের সঙ্গে বইবে বাতাস। এরই মধ্য একটি বাড়ি বরফে ঢাকা পড়েছে। সেই ছবি আলোকচিত্রী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও অনেকে ভাবছেন এটি বানানো ছবি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লেক অন্টারিওর তীরে একটি বাড়ি বরফে ঢাকা পড়েছে। বরফ ঢাকা বাড়ির সেই ছবি স্থানীয় এক আলোকচিত্রী তুলেছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বরফে আচ্ছাদিত এ বাড়ির ছবি যে আসল তা কেউ বিশ্বাস করছেন না। আলোকচিত্রী জন কুক্কু বলেন, বিস্ময়কর ব্যাপার, লোকজন মনে করছে আমি ফেনা স্প্রে করে বাড়ির এ ছবি তুলেছি। এরপর প্রমাণ হিসেবে আমি ভিডিও ফুটেজ আপলোড করেছি।
খবরের প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবিটি ১০ মার্চ শুক্রবারের। ছবিটি তুলেছেন ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আবারো তুষারঝড়ের আশঙ্কায় নিউইয়র্ক : জরুরী অবস্থা জারী

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

নিউইয়র্ক: মৌসুমের শেষ তুষারঝড় ঘিরে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে নিউইয়র্ক সহ আশপাশের অঙ্গরাজ্যগুলো। সোমবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতের পর বা মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দিনব্যাপী বড় ধরণের তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে ১৮ ইঞ্চি তুষারপাতের আশংকা করা হয়েছে। ফলে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে নিইইয়র্ক সিটিতে। মঙ্গলবার জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুতে বারণ করেছেন মেয়র বিল ডি ব্লাজিও।
নিউইয়র্কের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই উপকূলীয় এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়। এর সঙ্গে তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাবে। এর মধ্যেই গত তিন দিন থেকে নিউইয়র্কের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। তুষারপাতে সড়কপথ বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে সতর্ক করে সিটিবাসীদের ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহন ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে সম্ভাব্য তুষাপাত যাতে জমাট বাঁধতে না পারে সেজন্য সিটিতে ৬৮৯টি লবণ ছড়ানো গাড়ি প্রস্তত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কোথাও কোথাও লবন ছড়ানো শুরু হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ী/অ্যাপার্টমেন্টের সামনের রাস্তায় আগেভাগেই লবন ছড়ানো হয়েছে। অপরদিকে সমুদ্র ও বীচ সংলগ্ন গৃহহীনদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সিটি প্রশাসন জানিয়েছে।
এদিকে গল বছরই মৌসুমের শেষ দিকে এসে প্রায় ৩০ ইঞ্চির উপরে তুষারস্তুপে ঢেকে যায় নিউইয়র্ক’সহ যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট-কোস্টের কয়েকটি রাজ্যে। বিদায়ী বছরের ২১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ তুষার ঝড়ের পর নিউইয়র্ক’সহ ট্রাই ষ্টেট অঙ্গরাজ্যের জনজীবনের নেমে আসে বিপর্যয়। এবারো সে রকম কিছুর আশঙ্কা করছে নিউইয়র্ক সিটি, রাজ্য প্রশাসন’সহ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই আগ থেকেই সিটির বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে মূলধারার গণমাধ্যম’সহ আবহাওয়া বার্তা বিভাগ থেকে। একই সাথে নদী তীরবর্তী এরিয়ার বাসিন্দাদের নিরাপদে ও সতকর্তা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) হাল্কা ও মাঝারি তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে। চলছে শৈত প্রবাহ।
অপরদিকে মঙ্গলবারে সম্ভাব্য তুষারপাতের আশংকায় সোমবার সিটিবাসীদের প্রস্তুতি হিসেবে বড় বড় শপিংমল সহ গ্রোসারী স্টোরগুলোতে ব্যাপক কেনাকাটা করতে দেখা যায়। খাবার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা করেন ক্রেতারা।
NY Snow_BBCবিবিসি’র খবরে প্রকাশ তুষারপাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর অনেক এলাকা বরফের নিচে ঢাকা পড়তে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে পরদিন পর্যন্ত টানা তুষারপাতের সঙ্গে বইবে বাতাস। এরই মধ্য একটি বাড়ি বরফে ঢাকা পড়েছে। সেই ছবি আলোকচিত্রী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও অনেকে ভাবছেন এটি বানানো ছবি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লেক অন্টারিওর তীরে একটি বাড়ি বরফে ঢাকা পড়েছে। বরফ ঢাকা বাড়ির সেই ছবি স্থানীয় এক আলোকচিত্রী তুলেছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বরফে আচ্ছাদিত এ বাড়ির ছবি যে আসল তা কেউ বিশ্বাস করছেন না। আলোকচিত্রী জন কুক্কু বলেন, বিস্ময়কর ব্যাপার, লোকজন মনে করছে আমি ফেনা স্প্রে করে বাড়ির এ ছবি তুলেছি। এরপর প্রমাণ হিসেবে আমি ভিডিও ফুটেজ আপলোড করেছি।
খবরের প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবিটি ১০ মার্চ শুক্রবারের। ছবিটি তুলেছেন ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী