বাংলাদেশ ডেস্ক : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টয়লেটের কমোডে এক নারী সন্তান প্রসব করার পর পাইপ ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৭ মে) বিকেলে হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। নবজাতকের বাবা নেয়ামত উল্লাহ পেশায় জেলে ও মা শিল্পী বেগম গৃহবধূ। তারা পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠির গণমান শেখপাড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা।
পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম আজ রবিবার (৮ মে) বলেন, ওই নারী প্রস্রাব করতে গিয়েছিলেন। তখনি সন্তান প্রসব হয়ে যায়। তারপর টয়লেটের পাইপের ভিতরে গিয়ে আটকে যায় নবজাতক শিশুটি। পরে পাইপ ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করে তারই পিতা।
তিনি বলেন, শিশুটিকে নবজাতক বিশেষ সেবা ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মা শিল্পী বেগম প্রসূতি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের চিকিৎসায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ওই টয়লেটটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
নবজাতকের বাবা নেয়ামত বলেন, আমার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষে ডাক্তার রাতে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেলে অপারেশনের ওষুধ কিনে আনতে বললে আমি সেগুলো কিনে আনতে যাই। ওষুধ নিয়ে ফিরে এসে দেখি টয়লেটে অনেক লোকজন ভিড় করে আছেন। আমার স্বজনেরা কান্নাকাটি করছেন।
তিনি বলেন, অন্য লোকজন আমাকে জানায় আমার স্ত্রী টয়লেটেই সন্তান প্রসব করে দিয়েছেন। হাসপাতালের একজন আমাকে টয়লেটের মধ্যে হাত দিতে বলেন। আমি পুরো হাত ঢুকিয়ে দিয়েও কিছু পাইনি। কান দিয়ে শুনি টয়লেটের পাইপের মধ্য থেকে কান্নার আওয়াজ আসছে। হাসপাতালের লোকজন জানায়, ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়েছে। আমি কারও অপেক্ষা না করে দ্রুত দোতলায় গিয়ে টয়লেটের পাইপ ভেঙে আমার মেয়ে সন্তানকে বের করে নিয়ে আসি।
তিনি আরো বলেন, ‘ডেলিভারির পর মাইয়াডা কেমনে পাইপের মধ্যে গেল! এতটুকু বাচ্চা পাইপের মধ্যে ক্যামনে বাইচ্চা ছিল আল্লাই ভালো জানেন। আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া।’ খবর সাম্প্রতিক দেশকাল
হককথা/এমউএ