নিউইয়র্ক ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সম্পাদকীয় : শুরু হলো শোকের মাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪৯ বার পঠিত

আজ ১ আগস্ট। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালীর শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলসহ তাঁর পরিবার-স্বজনরা ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার হন।
চলতি বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে আমরা উদযাপন করছি স্বাধীনতার ৫০ বছর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চোখে একটি সোনালি স্বপ্ন ছিল। পুরো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাঁর সেই স্বপ্ন সফল হলে বাংলাদেশ হতো সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার চেয়েও উন্নত ও পরিচ্ছন্ন একটি দেশ। ১৫ই আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড সংঘটিত না হলে আজকের বাংলাদেশের বিপর্যস্ত চেহারা দেখতে হতো না। বাংলাদেশ হতো শোষণ ও অপশাসনমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত একটি জনকল্যাণমূলক দেশ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তিনি এত সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে ঠিকই সোনার বাংলা অর্জনের পথেই হাঁটছিলেন। তিনি অল্প সময়েই সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও শিক্ষা কমিশন গঠন তাঁর কৃতিত্ব। তিনি স্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
আজ শোকের মাসের শুরুতেই আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে আরো আন্তরিক ও তৎপর হতে হবে। বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন ও আদর্শের নাম। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-দর্শন আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতিতে ভয়াবহ অবক্ষয় দূর করাই এখন আমাদের প্রধান কাজ। নতুন প্রজন্মের কাছে পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। যদিও অতিমারিকালে আমাদের যাতায়াত সীমিত থাকছে, তার পরও এই সময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করা যেতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আজ আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে সারা দেশে নতুন প্রজন্মের কাছে। এই শোকের মাস থেকেই শুরু হোক নতুন যাত্রা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হোক। (কালের কন্ঠ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সম্পাদকীয় : শুরু হলো শোকের মাস

প্রকাশের সময় : ১০:০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

আজ ১ আগস্ট। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালীর শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলসহ তাঁর পরিবার-স্বজনরা ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার হন।
চলতি বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে আমরা উদযাপন করছি স্বাধীনতার ৫০ বছর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চোখে একটি সোনালি স্বপ্ন ছিল। পুরো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাঁর সেই স্বপ্ন সফল হলে বাংলাদেশ হতো সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার চেয়েও উন্নত ও পরিচ্ছন্ন একটি দেশ। ১৫ই আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড সংঘটিত না হলে আজকের বাংলাদেশের বিপর্যস্ত চেহারা দেখতে হতো না। বাংলাদেশ হতো শোষণ ও অপশাসনমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত একটি জনকল্যাণমূলক দেশ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তিনি এত সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে ঠিকই সোনার বাংলা অর্জনের পথেই হাঁটছিলেন। তিনি অল্প সময়েই সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও শিক্ষা কমিশন গঠন তাঁর কৃতিত্ব। তিনি স্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
আজ শোকের মাসের শুরুতেই আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে আরো আন্তরিক ও তৎপর হতে হবে। বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন ও আদর্শের নাম। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-দর্শন আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতিতে ভয়াবহ অবক্ষয় দূর করাই এখন আমাদের প্রধান কাজ। নতুন প্রজন্মের কাছে পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। যদিও অতিমারিকালে আমাদের যাতায়াত সীমিত থাকছে, তার পরও এই সময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করা যেতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আজ আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে সারা দেশে নতুন প্রজন্মের কাছে। এই শোকের মাস থেকেই শুরু হোক নতুন যাত্রা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হোক। (কালের কন্ঠ)