নিউইয়র্ক ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সম্পাদকীয় : করোনার এক বছর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
  • / ৬২ বার পঠিত

বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পূর্ণ হলো। গত বছরের ৮ মার্চ গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম জানানো হয় তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যু ঘটে রাজধানীর মিরপুরের টোলারবাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করে খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের ৮ মার্চ থেকে শুরু করে গত ৭ মার্চ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৩৩০ জন। এর মধ্যে মারা গেছে আট হাজার ৪৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার তিনজন। শনিবার পর্যন্ত পজিটিভ রোগী ছিল ৩৯ হাজার ৩০৭ জন। গত ২০ জানুয়ারী দেশে আসে করোনাভাইরাসের টিকা। ২৭ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ওই টিকা দেশের মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার উদ্বোধন করেন। গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৪৯ লাখ দুই হাজার ৯৪৮ জন। ওই দিন দুপুর পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্ব এবং নির্দেশনায় অন্য দেশের তুলনায় দ্রæত সময়ের মধ্যেই দেশ আবার স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে আসতে শুরু করে। কভিড মহামারি মোকাবেলায় নিজ দেশে অসাধারণ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রাখায় কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে শীর্ষ তিনজনের অন্যতম নেতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভয়কে জয় করে সাহস নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মানুষ। তবে সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। অনেক দেশে করোনা মহামারি প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পর নতুন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। টিকা এলেও সব ভেরিয়েন্ট বা ধরনের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষ এখন করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের মতোই প্রায় স্বাভাবিক জীবনে চলে গেছে। এমনকি মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও মানুষের ব্যাপক অনীহা দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মার্চের প্রথম দিকেই বাংলাদেশে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
যত দিন করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণে না আসছে, তত দিন সব দেশই সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবে। তাই মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তবে স্বস্তির বিষয় এই যে দেশে মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বাড়ছে। বাড়ছে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা। সবার টিকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সম্পাদকীয় : করোনার এক বছর

প্রকাশের সময় : ১২:৩০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১

বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পূর্ণ হলো। গত বছরের ৮ মার্চ গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম জানানো হয় তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যু ঘটে রাজধানীর মিরপুরের টোলারবাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করে খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের ৮ মার্চ থেকে শুরু করে গত ৭ মার্চ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৩৩০ জন। এর মধ্যে মারা গেছে আট হাজার ৪৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার তিনজন। শনিবার পর্যন্ত পজিটিভ রোগী ছিল ৩৯ হাজার ৩০৭ জন। গত ২০ জানুয়ারী দেশে আসে করোনাভাইরাসের টিকা। ২৭ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ওই টিকা দেশের মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার উদ্বোধন করেন। গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৪৯ লাখ দুই হাজার ৯৪৮ জন। ওই দিন দুপুর পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্ব এবং নির্দেশনায় অন্য দেশের তুলনায় দ্রæত সময়ের মধ্যেই দেশ আবার স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে আসতে শুরু করে। কভিড মহামারি মোকাবেলায় নিজ দেশে অসাধারণ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রাখায় কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে শীর্ষ তিনজনের অন্যতম নেতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভয়কে জয় করে সাহস নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মানুষ। তবে সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। অনেক দেশে করোনা মহামারি প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পর নতুন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। টিকা এলেও সব ভেরিয়েন্ট বা ধরনের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষ এখন করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের মতোই প্রায় স্বাভাবিক জীবনে চলে গেছে। এমনকি মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও মানুষের ব্যাপক অনীহা দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মার্চের প্রথম দিকেই বাংলাদেশে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
যত দিন করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণে না আসছে, তত দিন সব দেশই সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবে। তাই মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তবে স্বস্তির বিষয় এই যে দেশে মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বাড়ছে। বাড়ছে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা। সবার টিকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।