ট্রাম্পের জয় : যুক্তরাষ্ট্রে জনতুষ্টিবাদের চমক
- প্রকাশের সময় : ০১:০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৮ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সুস্পষ্ট ব্যবধানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে বিশ্বকে চমকে দিয়ে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসেন জনতুষ্টিবাদকে সম্বল করে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অবলম্বন করে তিনি শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের প্রশংসা কুড়ান। তবে তাঁর উগ্রনীতি মার্কিন জনমনে বিভক্তি সৃষ্টি করে। তার পরিণতিতে ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যান ডেমেক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণত প্রত্যাখ্যান করা হয় না। কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর পাশাপাশি উদারমনা শ্বেতাঙ্গদের অসন্তুষ্টি বেড়ে ওঠার পরিণতিতে তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যান। সে ফলাফল মেনে নিতে ট্রাম্প সমর্থকরা যে আচরণ করেন, তা নজিরবিহীন। এমনকি সন্ত্রাসের আশ্রয় নেয় তাঁর অনুসারীরা। তারপরও বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের শাসনক্ষমতায় ট্রাম্প আবারও আসার সুযোগ পেলেন, একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা এবং জনতুষ্টিবাদকে সম্বল করে। ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসনের ক্ষেত্রে আরও কড়া হবে, তা একরকম নিশ্চিত। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি কোনো বিশেষ প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের ওপর সাধারণত নির্ভরশীল নয়। তবে ট্রাম্পের আমলে তিনি বৈদেশিক বিষয়ে কম মাথা ঘামাবেন, এমনটিই মনে করা হয়। সেদিক থেকে তাঁর জয় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে অবদান রাখতে পারে এমনটিই মনে করা হচ্ছে। ভারতের প্রতি তাঁর পক্ষপাত বাড়লে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন দাঁড়ায়, তা-ও দেখার বিষয়। ট্রাম্পের আমলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চÐাল নীতির অবসান হয় কি না, তা দেখার বিষয়। ট্রাম্পের বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা আশা করেছেন দুই দেশের ঘনিষ্ঠতা আরও উচ্চতায় উঠবে। গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশের ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে, এমনটিও দেখতে চায় পদ্মা মেঘনা যমুনা বুড়িগঙ্গাপারের মানুষ। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)