নিউইয়র্ক ০৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪

কমলা ও ট্রাম্পের রুদ্ধশ্বাস লড়াই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১২ বার পঠিত

বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি এখন যুক্তরাষ্ট্র। এ দেশটি বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তিও। বলা হয়ে থাকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে তো বটেই, বড়মাপে স্নায়ুযুদ্ধের পর বিশ্বরাজনীতির নিয়ন্ত্রক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ সবকিছু যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা-অনিচ্ছার অনুষঙ্গ এমন কথাও সুবিদিত। এহেন যুক্তরাষ্ট্রে আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তাঁর শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান প্রার্থীর মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ নির্বাচনে কে জিতবে তা ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত অনুমান করা কঠিন। ভিন্ন ধরনের এক নির্বাচনব্যবস্থার কারণে পপুলার ভোট অর্থাৎ মোট ভোটে অনেক বেশি এগিয়ে থেকেও জয়ের বদলে হার হতে পারে প্রতিদ্ব›দ্বী যেকোনো প্রার্থীর। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মারপ্যাঁচে। ৫০টি রাষ্ট্র বা রাজ্য নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্র নামের দেশটি। প্রতিটি রাজ্যের রয়েছে আলাদা আইন। যার একটির সঙ্গে আরেকটির মিল নেই। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। কোনো প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট পদে বসতে হলে এর অর্ধেকের বেশি ২৭০টি ভোট পেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রার্থী একটি রাজ্যে পপুলার ভোট একটি বেশি পেলেই সেই রাজ্যের জন্য বরাদ্দ সব ইলেকটোরাল ভোট তার পক্ষে যায়। ফলে কোনো প্রার্থী ২৫টি রাজ্যে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দ্বিগুণ ভোটে জিতেও বাদবাকি ২৫টি রাজ্যে সামান্য ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে দূরে যেতে পারেন ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির মারপ্যাঁচে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস অশ্বেতাঙ্গ ভোট প্রভাবিত করতে পারলে তার জয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। অন্যদিকে অশ্বেতাঙ্গ ভোটে ভাঙন ধরলে নির্বাচনে জিতে আসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আসলে কী ঘটছে তা দেখার জন্য আরও এক দিন অপেক্ষা করতে হবে বিশ্ববাসীকে। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪

কমলা ও ট্রাম্পের রুদ্ধশ্বাস লড়াই

প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি এখন যুক্তরাষ্ট্র। এ দেশটি বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তিও। বলা হয়ে থাকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে তো বটেই, বড়মাপে স্নায়ুযুদ্ধের পর বিশ্বরাজনীতির নিয়ন্ত্রক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ সবকিছু যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা-অনিচ্ছার অনুষঙ্গ এমন কথাও সুবিদিত। এহেন যুক্তরাষ্ট্রে আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তাঁর শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান প্রার্থীর মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ নির্বাচনে কে জিতবে তা ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত অনুমান করা কঠিন। ভিন্ন ধরনের এক নির্বাচনব্যবস্থার কারণে পপুলার ভোট অর্থাৎ মোট ভোটে অনেক বেশি এগিয়ে থেকেও জয়ের বদলে হার হতে পারে প্রতিদ্ব›দ্বী যেকোনো প্রার্থীর। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মারপ্যাঁচে। ৫০টি রাষ্ট্র বা রাজ্য নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্র নামের দেশটি। প্রতিটি রাজ্যের রয়েছে আলাদা আইন। যার একটির সঙ্গে আরেকটির মিল নেই। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। কোনো প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট পদে বসতে হলে এর অর্ধেকের বেশি ২৭০টি ভোট পেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রার্থী একটি রাজ্যে পপুলার ভোট একটি বেশি পেলেই সেই রাজ্যের জন্য বরাদ্দ সব ইলেকটোরাল ভোট তার পক্ষে যায়। ফলে কোনো প্রার্থী ২৫টি রাজ্যে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দ্বিগুণ ভোটে জিতেও বাদবাকি ২৫টি রাজ্যে সামান্য ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে দূরে যেতে পারেন ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির মারপ্যাঁচে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস অশ্বেতাঙ্গ ভোট প্রভাবিত করতে পারলে তার জয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। অন্যদিকে অশ্বেতাঙ্গ ভোটে ভাঙন ধরলে নির্বাচনে জিতে আসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আসলে কী ঘটছে তা দেখার জন্য আরও এক দিন অপেক্ষা করতে হবে বিশ্ববাসীকে। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)