জয়ের ধারা অব্যাহত থাক
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
- প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৫ বার পঠিত
দীর্ঘ দেড় দশক পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। ১০১ রানের ব্যবধানে কিংসটনে টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা আনে টাইগার বাহিনী। শেষটা করেন নাহিদ রানা। ইয়র্কারে ভাঙেন শামার জোসেফের স্ট্যাম্প। বাংলাদেশ পেয়ে যায় জয়ের মুহূর্ত। শেষ টেস্টে মেহেদী হাসান মিরাজদের এ দারুণ জয় প্রাণের উল্লাসে উদযাপন করেছে জাতি। কিংসটনে এ বিজয়ের আরেক বড় মাহাত্ম্য দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। টিম বাংলাদেশকে অভিনন্দন। ১৫ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিজয় অর্জন করা টেস্ট দলের কেউ আর এখন নেই। তারপরও তারুণ্যদীপ্ত নবীন শক্তিতে দৃপ্ত বাংলাদেশ দল ২০০৯ সালের গ্রেনাডা টেস্টের দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী পার করে এসে, ক্যারিবীয়দের তাদেরই মাটিতে হারাতে পারল। দেশ-বিদেশ মিলিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতল ছয় বছর পর। প্রথম ইনিংসে খুবই কম রান করেও টেস্ট জিতে দলকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন পেসাররা। সাবিনা পার্কে দাপট ছিল পেসারদেরই। বাঁ-হাতি স্পিনে তাইজুল দেখিয়েছেন চোখধাঁধানো চমক। পেস দাপটের এই ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংস ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। বিধ্বংসী বোলিংয়ে তাঁর পাশে ছিলেন নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদরাও। সিরিজ সেরা তাসনিক, মহাকাব্যিক ইনিংস খেলা জাকের আলী মহিমান্বিত করেছেন দলের মর্যাদা। একে তো দেশের বাইরে, তারপরও চাপ শুষে, পরিস্থিতি বুঝে, শানিত বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে জাকের যে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখিয়েছেন, দেশের টেস্ট ইতিহাসে তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সিরিজ জয় না হোক, সিরিজে পরাজিতও হয়নি বাংলাদেশ। শেষ টেস্ট জিতে ১৫ বছরের ব্যর্থতার গøানি ঘুচিয়েছে। এটাকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তবে এ অর্জন শুধু বাইশ গজ দাপানো সাদা পোশাকের ওই এগারো দামালেরই নয়, পেছনে প্রেরণার শক্তি জুগিয়েছে ১৮ কোটি মানুষের অশেষ আবেগ, প্রাণঢালা শুভকামনা। প্রতিটি চার-ছয়, উইকেট শিকারে যারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেছেন, উল্লাসে লাফিয়ে উঠেছেন। জয়ের এ ধারা ধরে রেখে ক্রিকেটবিশ্বে দলের মর্যাদা অনন্য উচ্চতায় স্থাপন এবং জাতির মুখোজ্জ্বল করুক টাইগার বাহিনী। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)