নিউইয়র্ক ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৫৫ বছরেও মেলেনি জাতীয় শিক্ষক দিবসের স্বীকৃতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১২৫ বার পঠিত

ডোন্ট ফায়ার! আই সে, ডোন্ট ফারায়! কোনো ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন আমার গায়ে গুলি লাগে। ১৯৬৯ সালের আজকের এই দিনে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাদের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে এমনই উচ্চারণ করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তৎকালীন প্রক্টর ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। সত্যিই সেদিন শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি লাগার আগে তার বুক ঝাঁঝরা হয়েছিল।

ড. জোহার রক্ত ঝরার মধ্য দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। পতন ঘটে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও বেশি ভিত্তি দেয় ড. জোহার আত্মত্যাগ। তার আত্মত্যাগের ৩৯ বছর পর ২০০৮ সালে রাষ্ট্র তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে এবং তার নামে একটি স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করে। তবে এর বেশি সম্মান আর দেওয়া হয়নি তাকে।

ড. জোহার শাহাদতের পর থেকে রাবি প্রশাসন এই দিবসটিকে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে। প্রতিবছর এই দিনে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানালেও দীর্ঘ ৫৫ বছরেও মেলেনি সেই স্বীকৃতি। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি যথাযথ জায়গায় বিষয়টি উপস্থাপনে নিজেদেরও ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ড. জোহা স্যারের উৎসর্গটা ছোট নয়। তিনি আমাদের দেশের প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী। রাষ্ট্রপতি রাবির আচার্য্য, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীও বটে। আমরা উনার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করব। সূত্র : যুগান্তর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৫৫ বছরেও মেলেনি জাতীয় শিক্ষক দিবসের স্বীকৃতি

প্রকাশের সময় : ১০:৫০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ডোন্ট ফায়ার! আই সে, ডোন্ট ফারায়! কোনো ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন আমার গায়ে গুলি লাগে। ১৯৬৯ সালের আজকের এই দিনে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাদের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে এমনই উচ্চারণ করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তৎকালীন প্রক্টর ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। সত্যিই সেদিন শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি লাগার আগে তার বুক ঝাঁঝরা হয়েছিল।

ড. জোহার রক্ত ঝরার মধ্য দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। পতন ঘটে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও বেশি ভিত্তি দেয় ড. জোহার আত্মত্যাগ। তার আত্মত্যাগের ৩৯ বছর পর ২০০৮ সালে রাষ্ট্র তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে এবং তার নামে একটি স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করে। তবে এর বেশি সম্মান আর দেওয়া হয়নি তাকে।

ড. জোহার শাহাদতের পর থেকে রাবি প্রশাসন এই দিবসটিকে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে। প্রতিবছর এই দিনে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানালেও দীর্ঘ ৫৫ বছরেও মেলেনি সেই স্বীকৃতি। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি যথাযথ জায়গায় বিষয়টি উপস্থাপনে নিজেদেরও ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ড. জোহা স্যারের উৎসর্গটা ছোট নয়। তিনি আমাদের দেশের প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী। রাষ্ট্রপতি রাবির আচার্য্য, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীও বটে। আমরা উনার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করব। সূত্র : যুগান্তর।