সিনেটে প্রশংসিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
- প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৮ বার পঠিত
ভার্জিনিয়া স্টেট সিনেটে প্রশংসিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। ১৮ জানুয়ারি বুধবার সিনেটে আলোচিত হয় অত্যন্ত সুনামের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টির এগিয়ে চলার কথা। ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স স্টেট সিনেটর জন চ্যাপম্যান পিটারসন তার উপস্থাপনায় তুলে ধরেন নিজের নির্বাচনী এলাকার এই বিশ্ববিদ্যালটির কথা। সেখানে ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৪০ টি ডিস্ট্রিক্টের স্টেট সিনেটরের সকলেই। ছিলেন অতিথিরা। অধিবেশন পরিচালনা করেন লেফট্যান্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল সিয়ার্স।
বেলা ১২টায় পার্লামেন্ট হলে আসতে থাকেন সিনেটররা। আসেন অতিথিরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এতে যোগ দেন। এতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, বিজনেস স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস এর অ্যাসিসট্যান্ট ডাইরেক্টর ড. হুয়ান লি ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এমএসআইটি’র ছাত্র নাঈম হাসান।
স্টেট সিনেটর চ্যাপ পিটারসন প্রথমেই পরিচয় করিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে। পরে তিনি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতিত্বের সাথে এগিয়ে চলার কথা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রযুক্তিদক্ষতা নির্ভর উচ্চ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়টি সেরা অবদান রেখে চলেছে।
সিনেটরের উপস্থাপনার পর লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল সিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় করতালির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে শুভেচ্ছা জানান স্টেট অ্যাসেম্বলির সকল সিনেটর ও অতিথিরা। অ্যাসেম্বলিতে বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্টের সিনেটররা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকেও তাদের অবদানের জন্য এই অ্যাসেম্বলিতে স্বীকৃতি জানান। তবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতি এই স্বীকৃতি ছিলো ভিন্নমাত্রার।
এর আগে চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক চ্যাপ পিটারসনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এসময় আলোচনায় তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে এক হাজার দুই শ’ জনের বেশি শিক্ষার্থী অ্যাকাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যত কর্মবাজারের জন্য তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেওয়ার পর এই দক্ষতা দিয়ে সরাসরি মধ্য কিংবা উচ্চ পর্যায়ের পদে কাজে যোগ দিতে পারবেন এবং তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ই নিশ্চিত করছে ‘রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট’- এসব কথাও উঠে আসে বৈঠকে। পরে লেফট্যান্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল সিয়ার্সের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এসময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন