নিউইয়র্ক ০২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রূপচর্চায় মধু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৬২ বার পঠিত

মধুর খাদ্যগুণ নিয়ে বহু বছর ধরে বিভিন্ন গবেষণা হয়ে চলেছে। চিনির বদলে মধু খেতে পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসকই।

মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কারণে কোনও বাধা (যেমন ডায়াবেটিস) না থাকলে রোজ সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা–চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।

আয়ুর্বেদ মতে, মধু এমন এক উপকরণ, যার গুণের শেষ নেই, সৌন্দর্যচর্চায় মধু অতুলনীয়।

কিন্তু ত্বকের সুরক্ষায় মধুর ভূমিকা কী হতে পারে সে খবর আমরা রাখি না সেভাবে। জেনে রাখা দরকার যে মধুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিংয়ের বৈশিষ্ট্য। তাই এটি ত্বকের যত্নে প্রয়োগ করা এবং আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য একটি দুর্দান্ত উপাদান।

একবার ত্বকে প্রয়োগ করা হলে, এটি চামড়ার উপরের স্তরগুলোকে নরম করতে এবং ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে যাতে ত্বকের নিচের স্তরগুলোও আর্দ্রতা না হারায়।

জেনে নেই রূপচর্চায় মধুর কিছু ব্যবহার-

১. মধুতে রয়েছে প্রদাহবিরোধী এক বৈশিষ্ট্য। যা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে ও লোমকূপে জমা ময়লা পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে মধু বিশেষ জরুরি।

২. জৈব মধুতে অবস্থিত স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অবস্থা, স্ফীত ত্বক ও বিভিন্ন ধরনের দাগ আর লালচে ভাব- এই ধরনের অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

৩. প্রোপোলিসসহ কাঁচা মধুর সাময়িক প্রয়োগ ত্বকের স্ট্রেচ মার্কের দৃশ্যমানতা হ্রাস করতে পারে। যেহেতু এটি একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, তাই ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে পুষ্টও করতে সক্ষম মধু।

৪. মধু ত্বকে প্রযুক্ত হলে সেই অংশের আশেপাশের থেকে আর্দ্রতা আটকাতে পারে। তাই নখের কিউটিকলের উপর ও তার চারপাশে এটি প্রয়োগ করে আপনি নখ ভেঙে যাওয়া অথবা অবাঞ্ছিত শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে পারেন।

৫. রোদে পোড়া ত্বকের ফলাফল হল লাল ভাব, আর্দ্রতার অভাব। অনেকক্ষণ রোদের মধ্যে থাকলে ত্বক ফুলে উঠতেও পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ঠান্ডা করতে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি কাঁচা মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরার মিশ্রণটি লাগানো উচিত। এমনকি ইদানীং আগুনে পুড়ে যাওয়া দেহের চিকিৎসাতেও মধুর প্রলেপ ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা যায়।

সতর্কতা

– অন্য কোনও উপকরণ ছাড়া সরাসরি মধু রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করবেন না।

– মধুতে অ্যালার্জি থাকলে অবশ্যই তা পরিহার করুন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রূপচর্চায় মধু

প্রকাশের সময় : ১২:২০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

মধুর খাদ্যগুণ নিয়ে বহু বছর ধরে বিভিন্ন গবেষণা হয়ে চলেছে। চিনির বদলে মধু খেতে পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসকই।

মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কারণে কোনও বাধা (যেমন ডায়াবেটিস) না থাকলে রোজ সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা–চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।

আয়ুর্বেদ মতে, মধু এমন এক উপকরণ, যার গুণের শেষ নেই, সৌন্দর্যচর্চায় মধু অতুলনীয়।

কিন্তু ত্বকের সুরক্ষায় মধুর ভূমিকা কী হতে পারে সে খবর আমরা রাখি না সেভাবে। জেনে রাখা দরকার যে মধুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিংয়ের বৈশিষ্ট্য। তাই এটি ত্বকের যত্নে প্রয়োগ করা এবং আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য একটি দুর্দান্ত উপাদান।

একবার ত্বকে প্রয়োগ করা হলে, এটি চামড়ার উপরের স্তরগুলোকে নরম করতে এবং ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে যাতে ত্বকের নিচের স্তরগুলোও আর্দ্রতা না হারায়।

জেনে নেই রূপচর্চায় মধুর কিছু ব্যবহার-

১. মধুতে রয়েছে প্রদাহবিরোধী এক বৈশিষ্ট্য। যা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে ও লোমকূপে জমা ময়লা পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে মধু বিশেষ জরুরি।

২. জৈব মধুতে অবস্থিত স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অবস্থা, স্ফীত ত্বক ও বিভিন্ন ধরনের দাগ আর লালচে ভাব- এই ধরনের অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

৩. প্রোপোলিসসহ কাঁচা মধুর সাময়িক প্রয়োগ ত্বকের স্ট্রেচ মার্কের দৃশ্যমানতা হ্রাস করতে পারে। যেহেতু এটি একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, তাই ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে পুষ্টও করতে সক্ষম মধু।

৪. মধু ত্বকে প্রযুক্ত হলে সেই অংশের আশেপাশের থেকে আর্দ্রতা আটকাতে পারে। তাই নখের কিউটিকলের উপর ও তার চারপাশে এটি প্রয়োগ করে আপনি নখ ভেঙে যাওয়া অথবা অবাঞ্ছিত শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে পারেন।

৫. রোদে পোড়া ত্বকের ফলাফল হল লাল ভাব, আর্দ্রতার অভাব। অনেকক্ষণ রোদের মধ্যে থাকলে ত্বক ফুলে উঠতেও পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ঠান্ডা করতে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি কাঁচা মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরার মিশ্রণটি লাগানো উচিত। এমনকি ইদানীং আগুনে পুড়ে যাওয়া দেহের চিকিৎসাতেও মধুর প্রলেপ ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা যায়।

সতর্কতা

– অন্য কোনও উপকরণ ছাড়া সরাসরি মধু রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করবেন না।

– মধুতে অ্যালার্জি থাকলে অবশ্যই তা পরিহার করুন।