নিউইয়র্ক ০২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৫১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার কমই আছে। স্বাস্থ্যের জন্য ডিম দারুন উপকারী। ডিমে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যারোটিনয়েডস, লিউটিন, জিয়াজ্যান্থিন ইত্যাদি রয়েছে। এসব উপাদান একত্রিত হয়ে ডিমকে একটি দারুণ পুষ্টিকর খাদ্যে পরিণত করে। এ কারণে নিয়মিত ডিম খেতে বলেন পুষ্টিবদরা। তবে বর্তমানে ডিম নিয়ে বিভিন্ন মত উঠে আসছে। দিনে অনেকগুলি ডিম খেলে শরীরে নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। এ কারণে দিনে কয়টা ডিম খাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে অনায়াসে ডিম খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দিনে গোটা ১টি ডিম খেতে পারেন। তবে এর বেশি একদিনে খেতে যাবেন না। তবে ডিমের সাদা অংশে শুধু প্রোটিন থাকে। মোটামুটি একটি ডিমে ৬ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। তাই সুস্থ ব্যক্তিরা চাইলে দিনে ৩ থেকে ৪টা ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে কোনও সমস্যা হয় না।

আরোও পড়ুন। সেহরিতে যে ৬টি খাবার খেলে থাকবে না ক্লান্তি-দুর্বলতা

 আজকাল অনেকেই নিয়মিত জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান। এই ব্যক্তিদের জন্যও প্রোটিনের উৎস হিসাবে ডিম হতে পারে প্রথম পছন্দ। আসলে ডিমের প্রোটিন শরীর খুব সহজে গ্রহণ করে নেয়। ফলে পেশির সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই শরীরচর্চা করলে দিনে ১০টি বা তারও বেশি ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যায়। তবে খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আপনার ওজন অনুযায়ী সঠিক সংখ্যাটি বলে দিতে পারবেন।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোলেস্টেরল রোগীদের ডিমের কুসুম খাওয়া ঠিক নয়। চাইলে তারা ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে দিনে ১টি ডিমের সাদা অংশ খাওয়াই যায়। তবে এর বেশি খেতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে শরীরে লিপিডের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই ডিমের কুসুম নয়। চাইলে দিনে একটি ডিমের সাদা অংশ খান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম খেতে হবে সিদ্ধ। ডিম সিদ্ধ করে খেলে তার সমস্ত পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এছাড়া চাইলে ননস্টিক কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে ডিমের পোচ করতে পারেন। তবে ডিম অর্ধ সিদ্ধ অবস্থায় খাবেন না। অর্ধসিদ্ধ ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি জীবাণু থাকতে পারে। এর থেকে পেটের সমস্যা যেমন- ডায়ারিয়া, বমি হতে পারে। অনেকের ডিম থেকে অ্যালার্জি হয়। তাদেরকে ডিম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ডিম খেলে তাদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ?

প্রকাশের সময় : ১২:৪২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

হককথা ডেস্ক : ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার কমই আছে। স্বাস্থ্যের জন্য ডিম দারুন উপকারী। ডিমে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যারোটিনয়েডস, লিউটিন, জিয়াজ্যান্থিন ইত্যাদি রয়েছে। এসব উপাদান একত্রিত হয়ে ডিমকে একটি দারুণ পুষ্টিকর খাদ্যে পরিণত করে। এ কারণে নিয়মিত ডিম খেতে বলেন পুষ্টিবদরা। তবে বর্তমানে ডিম নিয়ে বিভিন্ন মত উঠে আসছে। দিনে অনেকগুলি ডিম খেলে শরীরে নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। এ কারণে দিনে কয়টা ডিম খাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে অনায়াসে ডিম খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দিনে গোটা ১টি ডিম খেতে পারেন। তবে এর বেশি একদিনে খেতে যাবেন না। তবে ডিমের সাদা অংশে শুধু প্রোটিন থাকে। মোটামুটি একটি ডিমে ৬ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। তাই সুস্থ ব্যক্তিরা চাইলে দিনে ৩ থেকে ৪টা ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে কোনও সমস্যা হয় না।

আরোও পড়ুন। সেহরিতে যে ৬টি খাবার খেলে থাকবে না ক্লান্তি-দুর্বলতা

 আজকাল অনেকেই নিয়মিত জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান। এই ব্যক্তিদের জন্যও প্রোটিনের উৎস হিসাবে ডিম হতে পারে প্রথম পছন্দ। আসলে ডিমের প্রোটিন শরীর খুব সহজে গ্রহণ করে নেয়। ফলে পেশির সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই শরীরচর্চা করলে দিনে ১০টি বা তারও বেশি ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যায়। তবে খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আপনার ওজন অনুযায়ী সঠিক সংখ্যাটি বলে দিতে পারবেন।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোলেস্টেরল রোগীদের ডিমের কুসুম খাওয়া ঠিক নয়। চাইলে তারা ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে দিনে ১টি ডিমের সাদা অংশ খাওয়াই যায়। তবে এর বেশি খেতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে শরীরে লিপিডের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই ডিমের কুসুম নয়। চাইলে দিনে একটি ডিমের সাদা অংশ খান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম খেতে হবে সিদ্ধ। ডিম সিদ্ধ করে খেলে তার সমস্ত পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এছাড়া চাইলে ননস্টিক কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে ডিমের পোচ করতে পারেন। তবে ডিম অর্ধ সিদ্ধ অবস্থায় খাবেন না। অর্ধসিদ্ধ ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি জীবাণু থাকতে পারে। এর থেকে পেটের সমস্যা যেমন- ডায়ারিয়া, বমি হতে পারে। অনেকের ডিম থেকে অ্যালার্জি হয়। তাদেরকে ডিম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ডিম খেলে তাদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সুমি/হককথা