নিউইয়র্ক ০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কাঁচা আমের কত গুণ!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ৫৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি পেতে আমপোড়া শরবত খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। সরাসরি কিংবা চাটনিতে দিয়েও কাঁচা আম খান অনেকেই। কিন্তু জানেন কি বাঙালির অতিপ্রিয় এই কাঁচা আম শুধু স্বাদ নয়, খেয়াল রাখে স্বাস্থ্যেরও? দেখে নিন কী কী উপকার মিলতে পারে কাঁচা আম থেকে।
১। গরম থেকে বাঁচতে: প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাঁচা আম। কাঁচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাঁচা আম।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে: কাঁচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৩। পেটের গোলযোগ কমাতে: অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাঁচা আম। কাঁচা আম খাদ্যনালীতে বিভিন্ন পাচক উৎসেচকের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাঁচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
৪। চোখের সমস্যায়: কাঁচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫। মুখের হরেক সমস্যায়: যেহেতু কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।
তবে প্রত্যেকের শরীর ও সমস্যা আলাদা। তাই কোনও খাবার এক জনের জন্য উপকারী হলেও অন্য কারও শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই যে কোনও খাবার পথ্য হিসাবে খেতে হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়। সূত্র: আনন্দবাজার
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কাঁচা আমের কত গুণ!

প্রকাশের সময় : ০৫:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২

হককথা ডেস্ক : গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি পেতে আমপোড়া শরবত খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। সরাসরি কিংবা চাটনিতে দিয়েও কাঁচা আম খান অনেকেই। কিন্তু জানেন কি বাঙালির অতিপ্রিয় এই কাঁচা আম শুধু স্বাদ নয়, খেয়াল রাখে স্বাস্থ্যেরও? দেখে নিন কী কী উপকার মিলতে পারে কাঁচা আম থেকে।
১। গরম থেকে বাঁচতে: প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাঁচা আম। কাঁচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাঁচা আম।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে: কাঁচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৩। পেটের গোলযোগ কমাতে: অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাঁচা আম। কাঁচা আম খাদ্যনালীতে বিভিন্ন পাচক উৎসেচকের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাঁচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
৪। চোখের সমস্যায়: কাঁচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫। মুখের হরেক সমস্যায়: যেহেতু কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।
তবে প্রত্যেকের শরীর ও সমস্যা আলাদা। তাই কোনও খাবার এক জনের জন্য উপকারী হলেও অন্য কারও শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই যে কোনও খাবার পথ্য হিসাবে খেতে হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়। সূত্র: আনন্দবাজার
হককথা/এমউএ