করোনায় ডিম খাওয়ার উপকারিতা

- প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
- / ৪৮ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : ডিম সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার। ডিমে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন আছে যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে এবং অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগীদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ডিমের নানা পুষ্টি গুণাগুন শরীরকে রাখবে সতেজ ও শক্তিতে ভরপুর। তাই কোভিড রোগীদের ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডিম ঠাণ্ডা এবং ফ্লু সংক্রমণ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। প্রোটিন পেশি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। কখনো কখনো, করোনা সংক্রমণের সময় মানুষের পেশিতে ব্যথা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খান।
ডিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একজনকে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে ডিমের চেয়ে ভালো আর কিছুই নেই। ডিমে ভিটামিন ডি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই-এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এইভাবে আপনি করোনাকালে সুস্থ থাকতে পারবেন এবং ক্ষতির সঙ্গেও মোকাবেলা করতে পারবেন। সেই সঙ্গে যেকোনো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা পরিচালনা করতে পারে ডিম এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে।
মস্তিষ্ক ভালো রাখতে
ডিম আসলেই মস্তিষ্কের জন্য ভালো। সিদ্ধ ডিমে কোলিন থাকে, যা একজনের স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অত্যাবশ্যক। এ ছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে ফুসফুস ছাড়া মস্তিষ্ক, চোখ ও হার্টের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ জন্য খাদ্য তালিকায় ডিম রাখুন।
ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে
ফোলেট, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে এমন ডিম খাওয়া হার্টের জন্য উপকারী। এ জন্য আজই তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত করুন।
ডিমের যে অংশ খেতে হবে
ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকে। ডিমের কুসুমে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন বি২, বি১২ এবং ডি- যা ডিমের সাদা অংশে অনুপস্থিত। এ জন্য চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করে সেই অনুযায়ী ডিম খান।
কয়টা ডিম খাওয়া উচিত
দিনে ৪টি ডিম খাওয়া ভালো। যদিও পরিমাণটি ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হয়, তবে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো। অনেকে আছেন, যাদের ডিমে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
ডিমে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং প্রোটিনের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ডিম খাওয়ার সঠিক সময় হলো সকালের নাশতা। ডিমের মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরকে শক্তি জোগাতে সক্ষম হবেন, এবং সব কাজ স্বাচ্ছন্দ্যে সম্পাদন করতে পারবেন। ডিমের পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে সিদ্ধ ডিম খাওয়াই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
হককথা/এমউএ