হককথা ডেস্ক : রক্তের এক ধরনের চর্বির উপাদান হচ্ছে কোলেস্টেরল। যা বিভিন্ন ভাবে শরীরে কাজে লাগে। যেমন- কোষের দেয়ালের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখা হরমোনের উৎপাদন, পিত্ত রস তৈরি ইত্যাদি।
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের বিপাক হার। ডায়াবিটিস রোগীদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকতে হবে ২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের মধ্যে ও এলডিএল-এর ১০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের মধ্যে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেই সাথে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে কয়েকটি পানীয়। যে পানীয়গুলো আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন-টিতে থাকা ক্যাটাচিন যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ১২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত গ্রিন-টি খেলে শরীরে কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা প্রায় ১৬ শতাংশ কমে যায়।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন ওটসের দুধ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর ওটস। ওটসের দুধে রয়েছে বিটা গ্লুকোন যা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি দিন অন্তত ৩ গ্রাম করে বিটা গ্লুকোন খাওয়া প্রয়োজন।
সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট পরিমাণ খুবই কম। একেবারে নেই বললেই চলে। দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ কোলস্টেরলের সমস্যা থাকলে, শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত সয়া দুধ খেতে পারেন। শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায়্য করে এই পানীয়।
স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি, ব্ল্যাক বেরির মতো ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবার। কম ফ্যাট যুক্ত দুধের সাথে বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্মুদি। সপ্তাহে ৩ দিন এটি খেলে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপিন শরীরে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে ওবং লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আধা কাপ করে টমেটোর রস খেতে পারলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
হককথা/এমউএ