১৬ই জুন এবং ইতিহাসের শিক্ষা
- প্রকাশের সময় : ০৭:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
- / ৫৭ বার পঠিত
সাঈদ তারেক : ইউনিয়নে এক সময় আমরা ১৬ই জুন ‘কালো দিবস’ পালন করতাম। তখন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একটা। দলমত নির্বিশেষে সবাই মনে করতাম এ দিনটা দেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে একটা কলংকিত দিন। কারন এ দিনে মত প্রকাশের অধিকারের ওপর চূড়ান্ত আঘাতটি হানা হয়েছিল। এক হুকুমে সরকার চারটি দৈনিক বাদে সকল পত্রপত্রিকা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। হালে ইউনিয়ন দুইভাগ, সরকার সমর্থক সরকারবিরোধী। ১৬ই জুন এলে একভাগ চুপ থাকে অন্য ভাগ ‘কালো দিবস’ পালন করে।
সাংবাদিকতায় কম দিন হলো না। লেখালেখির বয়স আরও বেশী। দেখাদেখিও কম না। পাকিস্তান আমলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত না থাকলেও যাদের লেখা দরকার সরকারি বিধিনিষেধ মেনেও নিজেদের কথা লিখে যেতেন, যাদের যা বলার বলতেন। এ সময় সাংবাদিকতা ছিল মূলত: বামপন্থী প্রভাবিত। যারা আসতেন এ পেশায় রুটী-রুজীর চাইতে রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার এবং প্রতিষ্ঠাকে প্রাধান্য দিতেন। সরকার তা জানতো। ফলে মাঝেমাঝেই খড়গ নেমে আসতো। গ্রেপ্তার, মামলা বা কোন প্রকাশনায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সীমিত থাকতো এসব নিপীড়ন। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে কড়া সেন্সরশীপ মোকাবিলা করতে হতো। সম্ভবত: প্রকাশনা ও ছাপাখানা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটা আইন তখনও ছিল। এ আইনে শুধু পত্রপত্রিকা প্রকাশ না, একটা সাধারন ছাপাখানা বসাতেও সরকার থেকে অনুমতি নিতে হতো।
মনে আছে ছোটবেলায় একবার কয়েক বন্ধু মিলে ছাপার অক্ষরে একটা সংকলন বের করেছিলাম। ‘নব জাগরণ’। সে আমলে আমাদের মত ক্ষুদে লিখিয়েদের সাহিত্য চর্চার মাধ্যম ছিল হাতেলেখা দেয়াল পত্রিকা। ছাপার অক্ষরে কারও লেখা, তাও নিজের নামসহ- সে এক বিরাট ব্যপার। ছোট্ট মফস্বল শহর জামালপুর, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কয়েক ফর্মার (ডিমাই ওয়ান ফোর) ওই ম্যাগাজিনটা আমরা বের করেছিলাম। কিন্তু দেখা গেল দুইদিন পরই ডিবির লোক খুঁজছে। কিছুই না, বাচ্চাদের লেখা কিছু গল্প ছড়া কবিতা। আইন হচ্ছে, ছাপার অক্ষরে কিছু প্রকাশ করতে চাইলেই অনুমতি লাগবে। এই অনুমতি দেয় ডিসি। বিষয়টা আমাদের জানা ছিল না। এ্যারেস্ট হয়ে যাওয়ার অবস্থা! যাহোক আব্বা সরকারি চাকুরে, বলে কয়ে ম্যানেজ করলেন। পরদিন আমি আর শাহনেওয়াজ দুই বন্ধু মিলে দ্রুতযানে চেপে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ যাই। ডিসি অফিসে দরখাস্ত দিয়ে একটা রফা করেছিলাম।
স্বাধীনতার পরও একই বা এ ধরনের একটা আইন ছিল। তবে সদ্য স্বাধীন দেশ হিসাবে মানুষের আকাংখা ছিল অদম্য। মত প্রকাশের অধিকারটা তখন সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় নি। ছাপাখানা আইনের তোয়াক্কা না করে অনেক প্রেস বসেছে, ডিক্লিয়ারেশন ছাড়া পত্রপত্রিকাও বের হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে সরকার এ সবের ওপর নিয়ন্ত্রন কায়েম করতে থাকে। একসময় মত প্রকাশের স্বাধীনতা চলে যায় এসবি আর ডিসি অফিসে। অর্থাৎ তারা অনুমতি দিলেই কেবল কেউ পত্রপত্রিকা বের হতে পারতো। এবং সে অনুমতি নিতে নানা কাঠখড় পোড়াতে হতো। তারপরও দেশে বেশ কয়েকটি দৈনিক সহ অসংখ্য সাপ্তাহিক পাক্ষিক মাসিক পত্রিকা ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়েছে। স্রেফ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কেউ কেউ সংবাদপত্র বের করলেও অধিকাংশই ছিল কোন না কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচারক। এসব কাগজে প্রচুর লেখালেখি হতো। তখনও কোন লেখা বা অভিমত সরকারের পছন্দ না হলে পুলিশি এ্যাকশন হতো, অর্থাৎ রাতের আঁধারে পুশিল প্রেসে গিয়ে ম্যাটার ভেঙ্গে দিয়ে আসতো। ছাপাখানা সীলগালা করে দিতো। সাংবাদিককে গ্রেপ্তার মামলা বা হুলিয়া দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ানো- এসব ঘটনাও ঘটতো। কিন্তু একটা অভিনব ঘটনা ঘটলো ১৯৭৫ সালের ১৬ই জুন।
সাঈদ তারেক
একটা অধ্যাদেশবলে (এ্যানালমেন্ট অর্ডার) সরকার এদিন থেকে দেশের সকল পত্রপত্রিকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ করে দেয়। সরকারি মালিকানায় চারটি দৈনিক থাকলো। দৈনিক বাংলা এবং অবজার্ভার আগে থেকেই সরকারের ছিল। ইত্তেফাক মরহুম তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার দুই পুত্র ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেন হিরু আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর এবং টাইমসয়ের মালিক ছিলেন যুবলীগ প্রধান প্রধানমন্ত্রীর ভাগিনেয় শেখ ফজলুল হক মনি। এ দু’টি পত্রিকাকে অধিগ্রহন করে সরকারি মালিকানায় নেয়া হলো। এসব পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক এবং কর্মচারির চাকুরি বহাল থাকলো। এ ছাড়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা নামের সরকারি নিউজ এজেন্সিটাও চালু থাকলো। কিন্তু বেকার হয়ে গেল বন্ধ হয়ে যাওয়া বাদবাকি সকল পত্রপত্রিকার হাজার হাজার সাংবাদিক কর্মচারি। সেই সাথে রুদ্ধ হলো দেশে অবাধ মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
এই ব্যবস্থাটি নেয়া হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী সংবিধান সংশোধন করে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েমের ধারাবাহিকতায়। জানা যায় এই আইডিয়াটা ছিল মূলত: সে সময় সরকারের সাথে গাঁটছড়াবাঁধা মষ্কোপন্থী দু’টি দলের। ’৭২এর জানুযারিতেই স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় অংশ যুদ্ধোত্তর দেশ পুনর্গঠনে প্রথাগত সরকার ব্যবস্থায় না গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সকল রাজনৈতিক শক্তির সমন্বয়ে সাময়িককালের জন্য একটি অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠনের দাবী তুলেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ বলেছিলো সারা জীবন রাজনীতি করেছি সংসদীয় গনতন্ত্রের জন্য, এখন বিপ্লবী সরকার করলে তো গনতন্ত্র থাকবে না। তারা প্রধানমন্ত্রী শাসিত সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চালু করে। সিরাজুল আলম খানপন্থীদের সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ এবং দুরত্বের এটাও একটা অন্যতম কারন। কিন্তু এই সংসদীয় ব্যবস্থা সংকট মোকাবিলায় কার্যকর হলো না। এক পর্যায়ে মষ্কোপন্থীদের সাথে সরকারের ঐক্য দৃঢ় হয়। মুলত: তাদেরই শলায় সোভিয়েত ব্যবস্থার আদলে সব দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল শাষনব্যবস্থা কায়েমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ভাগিনেয় যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনি তখন বেশ প্রভাবশালী। বলা হয় তিনিই বাকশাল শাষনের অনুঘটকের ভুমিকা পালন করেন।
’৭৫এর ২৫ জানুয়ারী নাখালপাড়ার সংসদ ভবনে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাশের মাধ্যমে বাকশাল শাসন কায়েম হয়। এতে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়। আওয়ামী লীগ মোজাফ্ফর ন্যাপ এবং সিপিবি- প্রধানত: এই তিন দলের সমন্বয়ে বাকশাল বা বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে নতুন দল হয়। প্রধানমন্ত্রী হন এর চেয়ারম্যান। দেশে রাষ্ট্রপতির শাসনব্যবস্থা কায়েম হয় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেই রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। বাকশালকে বলা হলো জাতীয় দল। সকল সরকারি কর্মচারি সশস্ত্র বাহিনী পুলিশ আনসার বাহিনীর সদস্যদের জন্য এই দলে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়। যারা রাজনীতি করতে চান তাদের জন্যও একই বিধান, জাতীয় দলে যোগ দিতে হবে। এমপিরাও যারা বাকশালে যোগদানে বিরত থাকেন তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।
এই বাকশাল ব্যবস্থারই একটি অংশ হচ্ছে নিউজপেপার এ্যানালমেন্ট এ্যাক্ট বা অর্ডার। এটি কার্যকর হয় বাকশাল কায়েমের সাড়ে চার মাস পর ’৭৫এর ১৬ই জুন। এদিন থেকে মাত্র চারটি সরকারি দৈনিক বাদে সকল পত্রপত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। আমি তখন সরকারের চক্ষুশূল দৈনিক গণকন্ঠের রিপোর্টার। আমাদের কাগজটি বন্ধ করে দেয়া হয় ২৫ জানুয়ারী রাতেই। দিনে বাকশাল পাশ হয়, আমরা সারা দিনের ইভেন্টগুলো সুন্দর করে লিখে কাগজ সাজালাম। ভোরের দিকে পুলিশ গিয়ে প্রেসের সব ম্যাটার ভেঙ্গে ফেলে। প্রেস সীলগালা করে দেয়। অফিস তালা মেরে সামনে পুলিশ বসিয়ে দেয়। ফলে পরদিন ২৬ জানুয়ারী থেকে কাগজটি অনির্দিস্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
তার অর্থ আমরা বেকার হলাম ১৬ জুনের সাড়ে চার মাস আগেই। বলা হলো বেকার সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন সরকারি চাকুরিতে প্রোভাইড করা হবে। তখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না। মাত্র কিছুদিন আগে দুর্ভিক্ষ গেছে। এই হঠাৎ বেকারত্ব মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠলো। এ অবস্থায় সরকারি চাকুরির জন্য অনেকেই নানা দৌড়ঝাপ শুরু করে দিলেন। তবে শর্ত- বাকশালে যোগ দিতে হবে। সাংবাদিকদেরকে বাকশালে যোগ দেওয়ানোর জন্য প্রেসক্লাবে শামসুল হক আলী নুর, ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি গ্রপ সক্রিয় হলো। নাজিমুদ্দিন মানিক ভাইসহ আরও অনেকেই ছিলেন। তারা প্রায় প্রতিদিনই কয়েকজন করে সাংবাদিক নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়ে যোগদান করিয়ে আনতে লাগলেন। আমাদের ওপরও চাপ এলো। অনেকেই হয়তো ভাবছিলেন বাকশালে যোগ দিলে যদি একটা সরকারি চাকুরি পাওয়া যায় তবুও তো সংসার বাঁচবে। গণকন্ঠের সাংবাদিকদের কেউ যোগ দিয়েছিলেন কিনা বা দিলেও কারা আমার জানা নেই।
প্রেসক্লাবে তখন এক ধরনের ধুম চলছে। রীতিমত হৈহৈ রৈরৈ ব্যপার। প্রায় প্রতিদিনই কিছু করে সাংবাদিক জড়ো করা হচ্ছে, তাদেরকে নিয়ে মিছিল করে গিয়ে বাকশালে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে। আমি একটু কমকম যেতাম এ সময়টায়। একদিন প্রেসক্লাবের বারান্দায় আলী নুর আমাকে পাকড়াও করলেন। কালই তাদের সাথে গিয়ে বাকশালে যোগ দিয়ে আসতে হবে। আমি আমতা আমতা করি। আলী নুর বলেন, জয়েন না করলে খুব বিপদে পড়তে হবে। জেলে যেতে হতে পারে, হয়তো দেশেই থাকা যাবে না। ইত্যাদি ইত্যাদি। যাহোক পরদিনই আমি ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাই।
কিছুদিনের মধ্যে জানা যায় সরকারি চাকুরি শুধু তারাই পাবে যারা এ্যানালমেন্ট অর্ডারে বেকার হয়েছে। আমরা বেকার হয়েছি ১৬ই জুনের অনেক আগে, তাও পুলিশি এ্যাকশনে। সে কারনে আমরা সরকারি চাকুরির জন্য বিবেচ্য হবো না। নির্মল সেন তখন ইউনিয়নের বড় নেতা। তাকে ধরি। তিনি এখানে-ওখানে তদ্বির করে ব্যর্থ হন। অন্যান্য কাগজের বেকার সাংবাদিকদের কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের সরকারি চাকুরি পেতে লাগলো, আমরা গণকণ্ঠের সাংবাদিকরা বেঁচে থাকার জন্য নানা জায়গায় ঢুঁ মেরে চললাম। কেউ পেশা পরিবর্তন করলেন, কারও কারও কপালে বেকারত্বই দীর্ঘমেয়াদী হলো। তখনকার ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের কাছে অনেক অনুনয়বিনয় করা হয়েছে, যাতে আমাদের জন্য কিছু করেন। কিন্তু কে তাকায় কার দিকে, সবাই তখন দৌড়ের ওপর। শুধু গণকন্ঠের সাংবাদিক কর্মচারিরা নন, একই অবস্থায় পড়লেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকার হাজার হাজার সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারি। কারন বেকারদেরকে সরকারি চাকুরিতে প্রোভাইড করা হবে বলা হলেও মাত্র হাতেগোনা কয়েকজনকে এখানে ওখানে পাঠানো গেছিলো।
অবশেষে গনকণ্ঠ পুন:প্রকাশিত হয়েছিল, ১৯৭৯ সালে। ততদিনে কেউ কেউ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, কেউ অন্য পেশায় চলে গেছেন। আমরা যারা মাটি কামড়ে পরে ছিলাম আবার শুরু করি। ১৬ই জুনকে পরবর্তীকালে সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ‘কালো দিবস’ ঘোষণা করা হয়। প্রতি বছর ঘটা করে তা পালনও করা হতো। সে সময় সংবাদপত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর খড়গ চালিয়ে দেওয়া ছিল একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা। কিন্তু এমন ব্যবস্থা কখনই কারোরই নেওয়া উচিত নয় যাতে মানুষের পেটে লাথি পড়ে, রুটী রুজী বন্ধ হয়ে যায়। ১৬ই জুনের মর্মবেদনা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম, যারা চার মাস আগেই পুলিশি এ্যাকশনে বেকার হয়ে গেছিলাম। আরও হাজার হাজার সাংবাদিক, কর্মচারি, প্রেস শ্রমিক, তাদের পরিবার পরিজন কি মানবেতর জীবন যাপন করেছে তা আমার নিজের চোখে দেখা। কাউকেই পাশে পাই নি সে সময়। ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে বলা হয়েছে অন্তত: প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে আমাদের দুর্দশার কথাগুলো বলা হোক, কেউই যান নি।
দু:খের বিষয় হচ্ছে- ১৫ই আগষ্টের পরবর্তী বেশ কয়েক বছর ওইসব নেতাদেরকে আর আশেপাশে দেখা যায় নি। স্বার্থপরতা, মোসাহেব, চাটুকারিতা, অন্ধ দলদাসত্ব কিভাবে রাজনৈতিক বিপর্যয় ঘটায় তা দেখার দুর্ভাগ্যও এই অভাগার হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে- ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নিলো না। তাবেদারী, চাটুকারিতা, দালালী, পদলেহনের একই ধারা এখনও বহমান!