সাহায্য করতে চাইলে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন আছে কি?
- প্রকাশের সময় : ১০:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০
- / ১৩২ বার পঠিত
মন্তব্য প্রতিবেদন: বলার অপেক্ষা রাখে না যে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কের পরিস্থিতি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। ষ্টেট আর সিটি প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবেলায় দিন-রাত ভাবছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গভর্ণর-মেয়র প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে পরিস্থিতি আর তাদের করণীয় জনগণকে অবহিত করছেন। নানা সমস্যার মধ্যে ষ্টেট-সিটি প্রশাসন করোনাভাইরাস আক্রান্ত নিউইয়র্কারদের চিকিৎসা সহ স্বাস্থসেবা প্রদান ছাড়াও যাদের প্রয়োজন তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করার নিশ্চিত করেছেন। মোর্দা কথা ‘উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিনা চিকিৎসায় আর না খেয়ে কোন মৃত্যু কাম্য নয়।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে নিউইয়র্ক ষ্টেটে ইতিমধ্যেই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ছলছে লক ডাউন। এই লক ডাউন দ্বিতীয় দফা বাড়িয়ে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক মাসের মতো নিউইয়র্কবাসীরা লক ডাউনের ফলে গৃহবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। সিটির স্কুলগুলোও বন্ধ, ফলে চলছে ‘ডিস্টেন্স এডুকেশন’ কর্মসূচীর আওতায় অন লাইন ক্লাশ। প্রশ্ন হচ্ছে- যারা এক মাস বা এক মাসের অধিক সময় ধরে বাসা-বাড়ীতে অবস্থান করছেন বা কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের অবস্থা কি। বিত্তবান, ধনী, মধ্য আয়ের মানুষ, নি¤œ আয়োর মানুষ সকলেই একই অবস্থা। এরমধ্যে যাদের অর্থ রয়েছে তারা হয়তো ভালোভাবেই আছেন, কিন্তু যাদের চাকুরী নেই, বেতন নেই, অর্থ নেই তারা কি অবস্থায় আছেন? অনেক নিজের সমস্যার কথা না বলতে পারতে পারছেন, না মানতে পারছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেক সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছেন। ভালো কথা, তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এর পাশাপাশি অনেকেই অনেকের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ফোন করছেন, সাহয্য লাগলে জানানোর কথা বলছেন! কিন্তু একটি জিনিষ আমরা কি ভেবে দেখছি- প্রয়োজন থাকলেও কে, কিভাবে কার কাছে সাহায্য চাইবেন, কিভাবে বলবেন? কেমন করে বলবেন? কারণ এভাবে কি কেউ কাউকে কখনো সাহায্যে আদান-প্রদানের কথা বলেছেন। আমরা বিশেষ করে বাংলাদেশী কমিউনিটির সবাই সবাইকে কম-বেশী চিনি-জানি। আমরা মনে করি উদ্ধুত পরিস্থিেিত ‘আপনার সাহায্য লাগবে কি না?’ এমন প্রশ্ন না করে বরং আমরা যদি বুঝি বা অনুভব করি যে অমুকের সাহায্য লাগতে পারে তাহলে তার বাসায় চাল-ডাল, লবন-পিয়াজ, তেল প্রভৃতি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ‘উপহার’ হিসেবে পাঠিয়ে দেই তাহলে কি ভালো আর শোভন দেখায় না। সাহায্য করতে চাইলে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন আছে কি?