নিউইয়র্ক ১২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দুর্গাপূজা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৫৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ডাইভারসিটি প্লাজায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী ইউনেসকো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএর আয়োজনে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ উৎসবে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।

বুধবার (৩১ আগস্ট) এ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছেন তারা। এবার দুর্গাপূজার এই আয়োজন সফল করতে সর্বাত্মক এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ। ১ অক্টোবর উৎসবের প্রথমদিন ষষ্ঠীতে পুজোর উদ্বোধন করবেন বিশ্ব বাঙালি ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ধনকুবের ব্যবসায়ী ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী।

পূজার অন্যান্য দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জেসিকা রেমোস, এসেম্বলিওমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ, এসেম্বলিওমেন জেনিফার রাজকুমার, জ্যাকসন হাইটসের কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণানসহ জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীরা।

ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গাপূজার আহ্বায়ক দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাঙালির দুর্গাপূজা এখন ইউনেসকো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির অংশ। এটি আমাদের অহংকারের, গর্বের। এই উপলক্ষে প্রথমবারের মতো আমরা জাতি, সম্প্রদায়, দলমত-নির্বিশেষে সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে শারদীয় উৎসব পালনের উদ্যোগ নিয়েছি।

পূজা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সনজিত কুমার ঘোষ বলেন, নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে উন্মুক্ত সড়কে প্রথমবারের মতো দুর্গাপূজার আয়োজন হচ্ছে। এতে করে সর্বস্তরের মানুষের পুজো দেখার সুযোগ মিলবে।

প্রধান সমন্বয়কারী গোপাল স্যানাল বলেন, করোনা মহামারির আগে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ রমজান মাসে জ্যাকসন হাইটসে ইফতার আয়োজন করেছিলাম। এবার মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে পুজো আয়োজনে এগিয়ে এসেছেন, তাতে এটি সর্বজনীন শারদীয় উৎসবে পরিণত হচ্ছে। এখানে দুই বাংলার বাঙালিরা থাকবেন।

প্রচার প্রকাশনা ও মিডিয়া কমিটির প্রধান সাংবাদিক মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী নিউইয়র্ক সম্প্রীতির শহর। এ শহরে এমনও স্থান রয়েছে যেখানে মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি অবস্থিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশি-অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় আমরা প্রথমবারের শুধু পূজাই করছি না, এটিকে প্রকৃত অর্থে সর্বজনীন উৎসবে রূপ দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগীতশিল্পী মনিকা রায়, শোটাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম, জ্যাকসন হাইটস ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গাপূজা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মধ্যে পূজা পরিচালনাবিষয়ক সম্পাদক সনাতন শীল ও সুরুজ শীল, শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছাদেক শিবলী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে একটি বিশেষ প্রকাশনা ‘শারদ সম্প্রীতি’ বের হবে। এর সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকী।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিশ্বের কয়েকটি দেশের সংস্কৃতি ইউনেসকো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির দুর্গাপূজা তার মধ্যে একটি।
হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দুর্গাপূজা

প্রকাশের সময় : ০২:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ডাইভারসিটি প্লাজায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী ইউনেসকো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএর আয়োজনে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ উৎসবে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।

বুধবার (৩১ আগস্ট) এ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছেন তারা। এবার দুর্গাপূজার এই আয়োজন সফল করতে সর্বাত্মক এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ। ১ অক্টোবর উৎসবের প্রথমদিন ষষ্ঠীতে পুজোর উদ্বোধন করবেন বিশ্ব বাঙালি ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ধনকুবের ব্যবসায়ী ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী।

পূজার অন্যান্য দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জেসিকা রেমোস, এসেম্বলিওমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ, এসেম্বলিওমেন জেনিফার রাজকুমার, জ্যাকসন হাইটসের কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণানসহ জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীরা।

ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গাপূজার আহ্বায়ক দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাঙালির দুর্গাপূজা এখন ইউনেসকো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির অংশ। এটি আমাদের অহংকারের, গর্বের। এই উপলক্ষে প্রথমবারের মতো আমরা জাতি, সম্প্রদায়, দলমত-নির্বিশেষে সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে শারদীয় উৎসব পালনের উদ্যোগ নিয়েছি।

পূজা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সনজিত কুমার ঘোষ বলেন, নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে উন্মুক্ত সড়কে প্রথমবারের মতো দুর্গাপূজার আয়োজন হচ্ছে। এতে করে সর্বস্তরের মানুষের পুজো দেখার সুযোগ মিলবে।

প্রধান সমন্বয়কারী গোপাল স্যানাল বলেন, করোনা মহামারির আগে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ রমজান মাসে জ্যাকসন হাইটসে ইফতার আয়োজন করেছিলাম। এবার মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে পুজো আয়োজনে এগিয়ে এসেছেন, তাতে এটি সর্বজনীন শারদীয় উৎসবে পরিণত হচ্ছে। এখানে দুই বাংলার বাঙালিরা থাকবেন।

প্রচার প্রকাশনা ও মিডিয়া কমিটির প্রধান সাংবাদিক মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী নিউইয়র্ক সম্প্রীতির শহর। এ শহরে এমনও স্থান রয়েছে যেখানে মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি অবস্থিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশি-অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় আমরা প্রথমবারের শুধু পূজাই করছি না, এটিকে প্রকৃত অর্থে সর্বজনীন উৎসবে রূপ দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগীতশিল্পী মনিকা রায়, শোটাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম, জ্যাকসন হাইটস ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গাপূজা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মধ্যে পূজা পরিচালনাবিষয়ক সম্পাদক সনাতন শীল ও সুরুজ শীল, শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছাদেক শিবলী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে একটি বিশেষ প্রকাশনা ‘শারদ সম্প্রীতি’ বের হবে। এর সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকী।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিশ্বের কয়েকটি দেশের সংস্কৃতি ইউনেসকো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির দুর্গাপূজা তার মধ্যে একটি।
হককথা/এমউএ