নিউইয়র্ক ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টাকার জোরে এমপি হয় ইয়াবা ও মানবপাচারকারীরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
  • / ২৭ বার পঠিত

এস এম সোলায়মান: সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। টাকা দিলেই পাওয়া যায় সব অসম্ভব বস্ত। জনগনের আমানত মহান সংসদের সদস্যপদও কিনে নিয়েছে টাকার বিনিময়ে। শুধু একজন নয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বর্তমান সংসদ সদস্য। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাচার করে যাচ্ছে মূদ্রা। পাচার করছে মানুষ। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আদম পাচার করে হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যই যখন মানব পাচারকারী, তাকে ধরবে সাধ্য কার। কিন্তু বিধি বাম। মানব পাচারকারি নোয়াখালীর সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম পাপুল এখন কুয়েতের কারাগারে। আন্তর্জাতিক এই মানব পাচারকারীকে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে কুয়েতের সংসদে। আটক করা হয়েছে তার কাছে থাকা ১৩৪ কোটি টাকা। এত টাকা তার কাছে নগদই ছিল? আর কত টাকা তার দেশে-বিদেশে রয়েছে এটা ধারনা করাও অসম্ভব। এখনো দিব্যি হালে দেশে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে সেই সংসদ সদস্য পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। তিনিও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। কি সাংঘাতিক। রাজনীতিতে যাদের হাতে খড়িও ছিলনা। কিন্তু টাকার জোরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সংসদ সদস্য। ইতিহাসে লিখা থাকবে এই সংসদ সদস্য দম্পতির কথা।
শহিদুল ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী

আরেকজন কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আন্তর্জাতিক ইয়াবা ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বদি। টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ও মানব পাচারে অদ্বিতীয় তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা একরাম হত্যার পর তীব্র সমালোচনার মুখে গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পায়নি সেই ইয়াবা বদি। কিন্তু তাতে বিন্দু পরিমান ক্ষমতা কমেনি। এবার মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তার সহধর্মীনি শাহিন। ব্যাস, হয়ে গেল। ক্ষমতার ষোল আনা তার হাতেই রয়ে গেল। এই না হলে আওয়ামী লীগ। ওরাই সাপ, ওরাই সাপুড়ে। মাঝে খানে প্রতিবাদী কন্ঠ হিসেবে প্রাণ দিতে হলো স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার ও একই দলের ত্যাগী নেতা একরামুল হক একরাম। কৌশলে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়েই ইয়াবা ব্যবসায়ী অপবাদ। বন্দুক যুদ্ধের নাটকের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হলো নিরীহ নেতা একরামকে। এতিম হলো তার তিন শিশু কন্যা। এতে দোষ পড়েনি বদির ঘাড়ে। কারণ র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে একরাম। সাপ মরলো লাঠিও ভাংগলো না। কেয়ামত পর্যন্ত বদির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাবেনা। বাংলা ও হিন্দি অ্যাকশন ছবির ভিলেন চরিত্রকেও হার মানিয়েছে বাস্তব ভিলেন বদির ছবিতে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের মাত্র ২১ দিন পর এক রাতেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল ভবনে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রেলওয়ের জরুরি কাগজপত্র কম্পিউটার মেশিনারীজ ও বিপুল পরিমান অর্থ লুটে নেয় দুদর্ষ ডাকাত দল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রæততম সময়েই গ্রেফতার করা হয় প্রধান ডাকাত খোকনকে। দেশ ও বিদেশের সকল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করে ডাকাত খোকনের প্রেফতাএর নিউজটি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। যে এলাকায় আমি তখন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলাম। অফিসের নির্দেশে সরেজমিন ঘুরে এসে নিউজ করি।
আবদুর রহমান বদি ও তার স্ত্রী

“ডাকাত খোকনের উত্থান কাহিনী” শিরোনামে নিউজটি খুব আলোচিত ছিল সেই সময়। কিন্তু বিধির বাম। পরদিন ডাকাত খোকনের মা বাদি হয়ে কুমিল্লার জুডিসিয়াল আদালতে আমার নামে ৫০ হাজার টাকার চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় ইউনিয়ন সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া সেই মামলার প্রধান স্বাক্ষী। তার প্ররোচনাতেই ডাকাত খোকনের মা ওই মামলা দায়ের করেন। ক্ষমতাসীনদের বুঝানো হয়। ডাকাত খোকন একজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মি। সেই জন্যই আমি নাকি তার বিরুদ্ধে নিউজ করেছি। আমি হয়ে গেলাম চাঁদাবাজ। অবশ্য বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অপবাদ একটি কমন ঘটনা। যখনই কোন সত্য নিউজ প্রচার হয়। তখনই সেই রিপোর্টার হয়ে যায় চাঁদাবাজ। এরপর স্থানীয় আর কোন সাংবাদিক ডাকাত খোকনের বিরুদ্ধে নিউজ করার সাহস পায়নি। গ্রেফতার এড়াতে আমি দীর্ঘ দিন ছিলাম আতœগোপনে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে নির্দোষ দেখিয়ে আমার পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট দেয় পুলিশ। এই হলো বাংলাদেশ ও ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার ব্যবহার।
সত্য লিখলে জীবন শেষ, মিথ্যা লিখলে নৈতিকতা শেষ। কোথায় যাবে বাংলাদেশ। যা বলছিলাম। টাকার জোড়ে একই ঘরে দুই এমপি।

পিতৃহারা কন্যাদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন একরামুল হক একরাম-এর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেও মূলধারার মিডিয়াতেও আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীর তালিকায় বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম পাপুলের নাম এসেছে। আর আন্তর্জাতিক ইয়াবা ব্যবসায়ী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি’র স্ত্রী শাহিন এখন সংসদ সদস্য। নতুন বোতলে পুরান মদ। ক্ষমতা সেই বদির হাতেই রয়ে গেল। গতবছর বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১০ জন বাংলাদেশীর নামও এসেছে। নিউজে বলা হয়েছে- রাতারাতি ধনী হতে পারে শুধু বাংলাদেশের মানুষ। নির্দিষ্ট কোন ব্যবসা বা সঠিক আয়ের উৎস ছাড়াই সহজেই কেউ সম্পদের মালিক হতে পারে একমাত্র বাংলাদেশেই। সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে নরসিংদী মহিলা যুব লীগ নেত্রী পাপিয়া। যে কিনা প্রতি রাতে মদের বিলই দিতো আড়াই লাখ টাকা। একমাসের ফাইভ স্টার হোটেলে রুম ভাড়া পরিশোধ করেছে আড়াই কোটি টাকা। যে কিনা সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হতে ১০ কোটি টাকা বড় বড় নেতাদের ঘুষ দিয়েছিলেন! অথচ তার নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎসই নেই। হায়রে টাকা, হায়রে ক্ষমতা, হায়রে বাংলাদেশ। টাকা হলে নাকি বাঘের চোখও মিলে। আর এখন দেখছি টাকা হলে স্বামী -স্ত্রী একই ঘরে দুইজনই মহান সংসদের এমপিও হতে পারেন। লাগেনা কোন রাজনৈতিক শিক্ষা বা যোগ্যতা। যে কারনে দিন দিন ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র। নির্বাসনে যাচ্ছে রাজিনীতি। বিলুপ্ত হচ্ছে সম্প্রীতি।
লেখকঃ সাংবাদিক, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

টাকার জোরে এমপি হয় ইয়াবা ও মানবপাচারকারীরা

প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০

এস এম সোলায়মান: সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। টাকা দিলেই পাওয়া যায় সব অসম্ভব বস্ত। জনগনের আমানত মহান সংসদের সদস্যপদও কিনে নিয়েছে টাকার বিনিময়ে। শুধু একজন নয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বর্তমান সংসদ সদস্য। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাচার করে যাচ্ছে মূদ্রা। পাচার করছে মানুষ। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আদম পাচার করে হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যই যখন মানব পাচারকারী, তাকে ধরবে সাধ্য কার। কিন্তু বিধি বাম। মানব পাচারকারি নোয়াখালীর সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম পাপুল এখন কুয়েতের কারাগারে। আন্তর্জাতিক এই মানব পাচারকারীকে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে কুয়েতের সংসদে। আটক করা হয়েছে তার কাছে থাকা ১৩৪ কোটি টাকা। এত টাকা তার কাছে নগদই ছিল? আর কত টাকা তার দেশে-বিদেশে রয়েছে এটা ধারনা করাও অসম্ভব। এখনো দিব্যি হালে দেশে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে সেই সংসদ সদস্য পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। তিনিও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। কি সাংঘাতিক। রাজনীতিতে যাদের হাতে খড়িও ছিলনা। কিন্তু টাকার জোরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সংসদ সদস্য। ইতিহাসে লিখা থাকবে এই সংসদ সদস্য দম্পতির কথা।
শহিদুল ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী

আরেকজন কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আন্তর্জাতিক ইয়াবা ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বদি। টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ও মানব পাচারে অদ্বিতীয় তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা একরাম হত্যার পর তীব্র সমালোচনার মুখে গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পায়নি সেই ইয়াবা বদি। কিন্তু তাতে বিন্দু পরিমান ক্ষমতা কমেনি। এবার মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তার সহধর্মীনি শাহিন। ব্যাস, হয়ে গেল। ক্ষমতার ষোল আনা তার হাতেই রয়ে গেল। এই না হলে আওয়ামী লীগ। ওরাই সাপ, ওরাই সাপুড়ে। মাঝে খানে প্রতিবাদী কন্ঠ হিসেবে প্রাণ দিতে হলো স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার ও একই দলের ত্যাগী নেতা একরামুল হক একরাম। কৌশলে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়েই ইয়াবা ব্যবসায়ী অপবাদ। বন্দুক যুদ্ধের নাটকের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হলো নিরীহ নেতা একরামকে। এতিম হলো তার তিন শিশু কন্যা। এতে দোষ পড়েনি বদির ঘাড়ে। কারণ র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে একরাম। সাপ মরলো লাঠিও ভাংগলো না। কেয়ামত পর্যন্ত বদির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাবেনা। বাংলা ও হিন্দি অ্যাকশন ছবির ভিলেন চরিত্রকেও হার মানিয়েছে বাস্তব ভিলেন বদির ছবিতে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের মাত্র ২১ দিন পর এক রাতেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল ভবনে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রেলওয়ের জরুরি কাগজপত্র কম্পিউটার মেশিনারীজ ও বিপুল পরিমান অর্থ লুটে নেয় দুদর্ষ ডাকাত দল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রæততম সময়েই গ্রেফতার করা হয় প্রধান ডাকাত খোকনকে। দেশ ও বিদেশের সকল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করে ডাকাত খোকনের প্রেফতাএর নিউজটি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। যে এলাকায় আমি তখন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলাম। অফিসের নির্দেশে সরেজমিন ঘুরে এসে নিউজ করি।
আবদুর রহমান বদি ও তার স্ত্রী

“ডাকাত খোকনের উত্থান কাহিনী” শিরোনামে নিউজটি খুব আলোচিত ছিল সেই সময়। কিন্তু বিধির বাম। পরদিন ডাকাত খোকনের মা বাদি হয়ে কুমিল্লার জুডিসিয়াল আদালতে আমার নামে ৫০ হাজার টাকার চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় ইউনিয়ন সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া সেই মামলার প্রধান স্বাক্ষী। তার প্ররোচনাতেই ডাকাত খোকনের মা ওই মামলা দায়ের করেন। ক্ষমতাসীনদের বুঝানো হয়। ডাকাত খোকন একজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মি। সেই জন্যই আমি নাকি তার বিরুদ্ধে নিউজ করেছি। আমি হয়ে গেলাম চাঁদাবাজ। অবশ্য বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অপবাদ একটি কমন ঘটনা। যখনই কোন সত্য নিউজ প্রচার হয়। তখনই সেই রিপোর্টার হয়ে যায় চাঁদাবাজ। এরপর স্থানীয় আর কোন সাংবাদিক ডাকাত খোকনের বিরুদ্ধে নিউজ করার সাহস পায়নি। গ্রেফতার এড়াতে আমি দীর্ঘ দিন ছিলাম আতœগোপনে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে নির্দোষ দেখিয়ে আমার পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট দেয় পুলিশ। এই হলো বাংলাদেশ ও ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার ব্যবহার।
সত্য লিখলে জীবন শেষ, মিথ্যা লিখলে নৈতিকতা শেষ। কোথায় যাবে বাংলাদেশ। যা বলছিলাম। টাকার জোড়ে একই ঘরে দুই এমপি।

পিতৃহারা কন্যাদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন একরামুল হক একরাম-এর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেও মূলধারার মিডিয়াতেও আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীর তালিকায় বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম পাপুলের নাম এসেছে। আর আন্তর্জাতিক ইয়াবা ব্যবসায়ী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি’র স্ত্রী শাহিন এখন সংসদ সদস্য। নতুন বোতলে পুরান মদ। ক্ষমতা সেই বদির হাতেই রয়ে গেল। গতবছর বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১০ জন বাংলাদেশীর নামও এসেছে। নিউজে বলা হয়েছে- রাতারাতি ধনী হতে পারে শুধু বাংলাদেশের মানুষ। নির্দিষ্ট কোন ব্যবসা বা সঠিক আয়ের উৎস ছাড়াই সহজেই কেউ সম্পদের মালিক হতে পারে একমাত্র বাংলাদেশেই। সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে নরসিংদী মহিলা যুব লীগ নেত্রী পাপিয়া। যে কিনা প্রতি রাতে মদের বিলই দিতো আড়াই লাখ টাকা। একমাসের ফাইভ স্টার হোটেলে রুম ভাড়া পরিশোধ করেছে আড়াই কোটি টাকা। যে কিনা সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হতে ১০ কোটি টাকা বড় বড় নেতাদের ঘুষ দিয়েছিলেন! অথচ তার নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎসই নেই। হায়রে টাকা, হায়রে ক্ষমতা, হায়রে বাংলাদেশ। টাকা হলে নাকি বাঘের চোখও মিলে। আর এখন দেখছি টাকা হলে স্বামী -স্ত্রী একই ঘরে দুইজনই মহান সংসদের এমপিও হতে পারেন। লাগেনা কোন রাজনৈতিক শিক্ষা বা যোগ্যতা। যে কারনে দিন দিন ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র। নির্বাসনে যাচ্ছে রাজিনীতি। বিলুপ্ত হচ্ছে সম্প্রীতি।
লেখকঃ সাংবাদিক, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।