নিউইয়র্ক ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাজায় ‘গণহত্যা’: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫২ বার পঠিত

হককথা ডেস্কযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তার মন্ত্রিসভার দুই সদস্যের বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ‘গণহত্যা’ প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য মামলা করা হয়েছে। সোমবার দায়ের করা ফেডারেল অভিযোগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে ‘ইসরায়েলি সরকারের উদ্ভাসিত গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থতা ও জড়িত থাকার’ জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা, গাজার ফিলিস্তিনি ও অবরুদ্ধ ছিটমহলের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বজনদের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেছে নিউ ইয়র্কের নাগরিক স্বাধীনতা গোষ্ঠী সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর)। অঞ্চলটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নিরলস বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছ থেকে ইসরায়েল অর্থ ও অস্ত্র পেয়ে থাকে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর আগে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। সিসিআর তার অভিযোগের ভূমিকায় লিখেছে, ইসরায়েলি সরকারের অনেক নেতা স্পষ্ট গণহত্যার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক সিদ্ধান্ত চাপিয়েছেন।

সিসিআর বলেছে, ‘গাজায় ইসরায়েলের নজিরবিহীন বোমা হামলার অভিযান শুরুর পরপরই প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলের জন্য অটল সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা তিনি ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্রমাগত পুনরাবৃত্তি করেছেন এবং সামরিক, আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে তাতে সমর্থন করেছেন, এমনকি ইসরায়েলি গণহত্যামূলক বক্তব্যের সঙ্গে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও বেড়েছে।’

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ও শক্তিশালী সমর্থক। সেই সঙ্গে তার সামরিক সহায়তার সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল হলো যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার বৃহত্তম প্রাপক।

বাইডেন, ব্লিনকেন ও অস্টিন ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ‘অপরাধের সবচেয়ে বড় অগ্রগতিতে সহায়তা করেছেন’।

অসংখ্য আইনবিদ, অধিকার গোষ্ঠী ও মানবতাবাদীরাও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন। মামলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বার্ষিক সামরিক সহায়তার ৩.৮ বিলিয়ন ডলার বন্ধ করার আহ্বানও জানানো হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গাজায় ‘গণহত্যা’: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্কযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তার মন্ত্রিসভার দুই সদস্যের বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ‘গণহত্যা’ প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য মামলা করা হয়েছে। সোমবার দায়ের করা ফেডারেল অভিযোগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে ‘ইসরায়েলি সরকারের উদ্ভাসিত গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থতা ও জড়িত থাকার’ জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা, গাজার ফিলিস্তিনি ও অবরুদ্ধ ছিটমহলের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বজনদের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেছে নিউ ইয়র্কের নাগরিক স্বাধীনতা গোষ্ঠী সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর)। অঞ্চলটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নিরলস বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছ থেকে ইসরায়েল অর্থ ও অস্ত্র পেয়ে থাকে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর আগে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। সিসিআর তার অভিযোগের ভূমিকায় লিখেছে, ইসরায়েলি সরকারের অনেক নেতা স্পষ্ট গণহত্যার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক সিদ্ধান্ত চাপিয়েছেন।

সিসিআর বলেছে, ‘গাজায় ইসরায়েলের নজিরবিহীন বোমা হামলার অভিযান শুরুর পরপরই প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলের জন্য অটল সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা তিনি ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্রমাগত পুনরাবৃত্তি করেছেন এবং সামরিক, আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে তাতে সমর্থন করেছেন, এমনকি ইসরায়েলি গণহত্যামূলক বক্তব্যের সঙ্গে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও বেড়েছে।’

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ও শক্তিশালী সমর্থক। সেই সঙ্গে তার সামরিক সহায়তার সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল হলো যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার বৃহত্তম প্রাপক।

বাইডেন, ব্লিনকেন ও অস্টিন ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ‘অপরাধের সবচেয়ে বড় অগ্রগতিতে সহায়তা করেছেন’।

অসংখ্য আইনবিদ, অধিকার গোষ্ঠী ও মানবতাবাদীরাও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন। মামলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বার্ষিক সামরিক সহায়তার ৩.৮ বিলিয়ন ডলার বন্ধ করার আহ্বানও জানানো হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা