এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
- প্রকাশের সময় : ১০:২৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮
- / ১০১৮ বার পঠিত
সামসুদ্দিন আজাদ: ঐতিহাসিক সাতই মার্চ ১৯৭১ সাল। কখন আসবেন কবি মহামঞ্চে? লক্ষ জনতা অপেক্ষমান রেসকোর্স ময়দানে। দীপ্ত পায়ে হেঁটে হেঁটে সাদা পাজামা পাঞ্জাবী আর কালো কোট পরা- চোখে সাদা ফ্রেমের চশমা পড়ে সভামঞ্চে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে টেবিলের উপর চশমাটা রেখে- লক্ষ জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করলেন- ‘ভাইয়েরা আমার আজ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবাই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ অধিকার চায়। কি অন্যায় করেছিলাম? নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে, আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলী বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র রচনা করবো এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলবো। এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস।’
‘২৩ বছরের ইতিহাস মুমূর্ষূ নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই।
‘১৯৫৮ সালে আয়ুব খান, মার্শাল ল’ জারী করে ১০ বছর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছেন। ১৯৬৬ সালে ৬দফা আন্দোলনে ৭ জুনে আমাদের ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনে আয়ুবের পতন হওয়ার পরে যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দিবেন, গণতন্ত্র দেবেন, আমরাও মেনে নিলাম। তারপর অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, নির্বাচন হলো। আপনারা জানেন, দোষ আমাদের? আজকে আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সাথে দেখা করেছি। আমি শুধু বাংলা নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসাবে তাকে অনুরোধ করলাম ১৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেষণ দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না। তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। তিনি মেনে নিলেন। আমরা বললাম ঠিক আছে ঠিক আছে আমরা অ্যাসেম্বলীতে বসবো। আমরা আলোচনা করব, এমন কী আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশী হলেও, একজন যদিও সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব। জনাব ভুট্টো সাহেব এখানে এলেন, আলোচনা করলেন, বলে গেলেন যে, আলোচনার দরজা বন্ধ না, আরো আলোচনা হবে। তারপরে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করলাম। আপনারা আসুন, বসি।’
‘আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করি। তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসে তা হলে কসাইখানা হবে অ্যাসেম্বলী। তিনি বললেন যে যাবে তাকে মেরে ফেলে দেয়া হবে। কেউ যদি অ্যাসেম্বলীতে আসে তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে। তারপরও যদি কেউ আসে তাকে ছন্নছাড়া করা হবে। আমি বললাম অ্যাসেম্বলী চলবে। তারপরে হঠ্যাৎ ১ তারিখে অ্যাসেম্বলী বন্ধ করে দেয়া হলো।’
‘ইয়াহিয়া খান সাহেব প্রেসিডেন্ট হিসাবে অ্যাসেম্বলী ডেকেছিলেন। আমি বললাম যে আমি যাব। ভুট্টো সাহেব বললেন তিনি যাবেন না। ৩৫ জন সদস্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এখানে আসলেন। তারপর হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হলো। দোষ দেয়া হলো বাংলার মানুষকে, দোষ দেয়া হলো আমাকে। বন্ধ করে দেয়ার পরে এদেশের মানুষ প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠলো। আমি বললাম শান্তিপূর্ণ ভাবে আপনারা হরতাল পালন করেন। আমি বললাম আপনারা কল কারখানা সবকিছু বন্ধ করে দেন। জনগণ সাড়া দিলো। আপন ইচ্ছায় জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
‘আর যদি একটি গুলি চলে, আর যদি আমার লোকজনকে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শক্রর মোকাবেলা করতে হবে। এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমাদের ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো। কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। ভাল হবে না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।’
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তারিখে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাত্র ১৪ দিন অর্থ্যাৎ দু’সপ্তাহ আগে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি স্বৈরাচারী শাষক জিয়া এরশাদের আমলে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আজ এই ভাষণটির তাৎপর্য, ভাষনের প্রেক্ষাপট- ভাষনের অনিবার্য্যতা- একটি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে- দীর্ঘ ২৪ বছরের উপনিবেশবাদ থেকে বের করে আনার পথ দেখিয়েছে- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক একটি দেশের জন্ম দিয়ে- বিশে^র ইতিহাসে একটি স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব নিয়ে বাংলা নামে দেশটি এই ধরনীতে জায়গা করে নিয়েছে- একজন অবিসংবাদিত নেতার নেতৃত্বে- এটি স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে হলেও বিশ^ বিবেক বিশেষ গণতন্ত্রপ্রিয় দেশগুলোর কাছে এই ভাষনের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা এবং এটি একটি সময়োপযোগী ভাষণ ছিল তা তারা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন যার ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের অন্যতম সংগঠন ঁহরঃবফ হধঃরড়হং বফঁপধঃরড়হধষ, ঝপরবহঃরভরপ ধহফ পঁষঃঁৎধষ ড়ৎমধহরুধঃরড়হ (টঘঊঝঈঙ) ডড়ৎষফ ঐবৎরঃধমব ংরঃব- এ এই ভাষনকে স্থান দিয়ে বিশ^ব্যাপী এই ভাষনকে সমাদৃত করেছেন।
সাতই মার্চের ভাষণটি কেন এত বেশী গুরুত্বপূর্ণ, বাঙ্গালী জাতির কাছে হাজার বছর ধরে প্রতিটি স্বাধীনতাকামী বাঙালী হৃদয়ে এ ভাষণ তাদের হৃদয়ের স্পন্দন শানিত করবে।
বাংলাদেশে যেটি ছিল তৎকালীন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের একটি প্রদেশ যার নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। একটি রাষ্ট্রের প্রদেশ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য প্রদেশকে যে নিয়মনীতিতে পরিচালিত করবে, উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন সহ সরকারী সব রকম সুযোগ সুবিধাবলি দিয়ে- একইভাবে পূর্ব পাকিস্তান নামক প্রদেশের নাগরিকরা সমান সুযোগ পাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে বিশাল বৈষম্য বা বিমাতা সুলভ আচরণ ছিল- তৎকালীন পাকিস্তানী স্বৈর শাসক আয়ুব খান প্রশাসনের। এটি তৎকালীন পূর্ব বাংলার নেতৃত্ব এবং সাধারন মানুষ সহজে বুঝতে পেরেছিলেন বলে- তাদের হৃদয়ে বিদ্রোহের আগুনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ধীরে ধীরে দানা বাঁধতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করে গোটা পাকিস্তান জুড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিলেন এবং জানান দিলেন বাঙালী জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নের কথা। ৬ দফা দাবী উপস্থাপনের পর বার বার বঙ্গবন্ধুকে জেলে ঢুকানো হয়েছে। তবুও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি। দীর্ঘ ২৩ বছরের দুঃশাসন আর শোষনের পর ১৯৭০-এর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর প্রত্যাশা ছিল- বাঙালীর মুক্তি আসবে, কিন্তু বিধি বাম। আবারও বাঙালী বঞ্চিত হলো, জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব বাংলার ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬০টি আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে গোটা পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নি¤েœ ১৯৭০ এর ভোটের চিত্র দেখলে বুঝা যাবে- আওয়ামী লীগ সারা পাকিস্তানে কতবেশী জনপ্রিয় ছিলঃ
আওয়ামী লীগ ভোট পায় – ১,২৯,৩৭,১৬২- আসন ১৬০
পাকিস্তান পিপলস পার্টি – ৬১,৪৮,৯২৩- আসন ৮১
জামায়াতে ইসলামী – ১৯,৮৯,৪৬১- আসন ৪
কাউন্সিল মুসলিম লীগ- ১৯,৬৫,৬৮৯- আসন ২
ভোটের পারসেন্টেজ ছিল – আওয়ামী লীগ – ৩৯.২%
পিপিপির পারসেন্টেজ ছিল – ১৮.৬%
জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে খধহফ ঝষরফব ঠরপঃড়ৎু-র পর অর্থ্যাৎ ১৬০টি আসনে জয় পেয়ে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর ংঃধঃব অংংবসনষব তে ও ৩১০ আসনের মধ্যে ২৯৮ টি আসনে বিজয়ী হয় পূর্ব পাকিস্তান। সুতরাং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে যিনি বেশী ভোট এবং সংসদীয় আসনে বিজয়ী হয়েছেন- সেই দল বা দলনেতাকে স্পিকার আহব্বান জানাবেন সরকার গঠন করার জন্য। সেই হিসাবে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃেত্বই সরকার গঠনের কথা। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে তিনিই তো সরকার গঠন করার কথা। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন এবং যেটা হওয়ার কথা ছিল স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক নিয়মে। কিন্তু পাকিস্তানী স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া আর পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো শুরু করলেন ষড়যন্ত্রের জাল বুনন। সংসদের অধিবেশন না ডেকে শুরু করলেন কালক্ষেপন- এরপর আলোচনার নামে তারা ঢাকায় আসলেন, একদিকে আলোচনা, অন্যদিকে পাকিস্তান সেনা বাহিনীকে অস্্র গোলা বারূদে সুসজ্জিত করে ঢাকায় পাঠানো।
এই ভাষণ সাড়ে সাত কোটি বাঙালীকে মোটামুটি একটি যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তার ১৮ মিনিটের এই ভাষণটিতে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষনাই দিয়ে ফেলেছেন। এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের ঘরে যাই কিছু আছে তা নিয়ে শক্রর মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাল্লাহ । সুতরাং আর কোন বাঙালীকে নতুন করে বুঝিয়ে দিতে হবে না কিভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল, কার আহবানে সেদিন সাড়ে সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাক বর্বর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার এবং অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। সেদিন ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে যখন বর্বর পাকিস্তানী সৈন্যরা ঘুমন্ত জাতির উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়- কোন কিছু বুঝে উঠার আগে- ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানই তাদের প্রেরনা জুগিয়েছিল। ১ কোটি বাঙালী শরনার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরির একান্ত আগ্রহের কারণে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা আর সম্প্রীতির নিদর্শন দেখিয়ে ১ কোটি শরনার্থিকে খাওয়া, থাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে ভারত।
২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে ঘুমন্ত বাঙালীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়া- যা ছিল বর্বর নাৎসী বাদী পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের গণতন্ত্রের নমুনা। যার অনিবার্য পরিনতি মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লক্ষ শহীদের আত্ম ত্যাগ, ৩ লক্ষ মা বোনের সর্বস্ব লুন্ঠন এবং ৯ মাসের যুদ্ধের পর ৯৪ হাজার বর্বর পাকিস্তানী সৈন্যের আত্মসমর্পন। একটা শোষিত বঞ্চিত নিস্পেষিত জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছিল- ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তার ৬ দফা দাবী ’৬৯ এ গণ অভ্যত্থান এবং সর্বশেষ ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালীকে মুক্তির গান শুনিয়েছিল বঙ্গবন্ধু। বাঙালী তার বঞ্চনার ইতিহাস, গঞ্চনার ইতিহাস, যখন এই ভাষনের মাধ্যমে শুনলেন এবং এই বঞ্চিত জাতির কি কি করা প্রয়োজন সেই নির্দেশনা বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন। এমনকি সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এবং কর্মচারী কর্মকর্তারা কিভাবে তাদের বেতন ভাতা পাবেন- সেই নির্দেশও তিনি দিয়ে গেছেন ।
লেখক: সহ-সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।