আমার দৃষ্টিতে ট্রাম্পের পরাজয়
- প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
- / ৮২ বার পঠিত
সামছুল ইসলাম মজনু: সরকার, রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল আর জনগণ নিয়েই হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত তারা একটি আদর্শ-উদ্দেশ্য নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হতে চায়। কারণ এর মাধ্যমে বৃহৎ পরিসরে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার পাশাপাশি অন্যদেরকে উৎসাহিত করেন। এই রাজনীতি কতগুলো নিয়ম-কানুন মেনে এগিয়ে যায়। উন্নত বিশ্বে এ প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও, তৃতীয় বিশ্বে এই প্রচলন অর্থাৎ রাজনীতির ধারাপাত প্রায়ই পরিবর্তিত হয়ে চলেছে। কখনো গণতন্ত্র, কখনো সমাজতন্ত্র বা জাতীয়তাবাদ অথবা ধর্মীয়ভাবে রাজনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। যদিও এই নিয়ম-নীতি যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়ে চলেছে। রাজনীতিতে তৃতীয় বিশ্বের ধ্যান-ধারণার বালাই নেই। গণতন্ত্রের আবহে একনায়কতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের আবহে স্বৈরতন্ত্র ইত্যাদি ইত্যাদি নিত্য ব্যাপার। আমি যেহেতু, সে দিকে যাচ্ছি না অতএব সে ব্যাপারে আলোচনা করবো না।
আমার লেখার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনীতি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র। অতএব যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশ কৌতুহলী। তবে এবারের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বে হৈ হুল্লোড় পড়ে গেছে, হবেই না কেন? একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন শুধু আমেরিকানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিশ্বের কাছেও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্রভাব ও ভূমিকা রয়েছে। এই ইৈ-হুল্লোড় অবস্থা আমার জন্মভূমি বাংলাদেশেও পড়েছে। অবাক হয়েছি ওখানের টক-শো, সেমিনার, আলোচনার বেশীরভাগ সময়জুড়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মাঠে ময়দানে মিনিটে মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে রীতিমত চায়ের কাপে ঝড় বয়ে গেছে, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া সদা ব্যস্ত ছিল ট্রাম্প-বাইডেন নির্বাচন নিয়ে। আমি সব চেয়ে বেশী অবাক হয়েছি যে, আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবার সাথেই ভালো-মন্দ নিয়ে আলাপ করেছি তার বেশীরভাগই ছিল ২০২০ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে, আরও আশ্চর্য হয়েছি কিছু কিছু বন্ধুরা যারা কখনই আমাদেরকে কল দেয়নি, তারাও কল দিয়ে ট্রাম্প-বাইডেন এর মধ্যে কে জয়ী হবেন তা জানতে চেয়েছে?
সেই কিশোর বয়স থেকে সংগঠন, রাজনীতি নিয়ে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। এমনকি এবিষয়ে পড়ালেখা করেছি কিন্তু আজকে ষাটোর্ধ্ব বয়সে এসে এলোমোলো, রাজনীতির কোন ধারাপাতে নিজেকে মিলাতে পারিনি, আদর্শ-উদ্দেশ্য সবই তালগোল পাকানো রাজনীতি যেন অসুস্থতার আখড়া। এ রাজনীতি উল্টো পথে চলছে, সেটাই ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারিনা, নিজেকে বেমানান মনে হয়, যেখানে উন্নত বিশ্বের ঝান্ডাধারী যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাই না, চেষ্টা করি এড়িয়ে চলার স্বাভাবিক আলোচনা এবং সরাসরি অংশগ্রহণ দুটোই ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি শুধু স্থানীয় নয়, আর্ন্তজাতিক রাজনীতিতে তার রয়েছে প্রভাব, এটা নিয়ে চর্চা করার মত সময়-সুযোগ হয় না, বিধায় যথাযথ এড়িয়ে চলি। তবে এবার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দু/তিনটি আলোচনায় অংশগ্রহণ ছিল যৎসামান্য। শোষণহীন সমাজ, ন্যায়বিচার সমঅধিকার ইত্যাদি ইত্যাদি আলোচনা খুব সুন্দরভাবে বলা যায়। বইয়ের পাতায় দিস্তা দিস্তা পাতা ভরা যায়, কিন্ত বাস্তবতা খুব কঠিন, মাঠে সরাসরি রাজনীতি আর বইয়ের রাজনীতি একটা আরেকটার বিকল্প নয়, একটা আরেকটার অবশ্যাম্ভাবী আর এতে তাই নাই করে নিজেকে জাহির করার চর্চা থেকে বিরত থাকি এবং আমার রাজনীতিতে নিজেকে গুটিয়ে রাখি, আর এতে যদি মনে হয় অজ্ঞতা, তারই ভিন্নমত পোষণ করেই আজকের এই লিখা।
এবারের ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্ব›দ্বীতা হয় জো-বাইডেন ও ডোনাল্ট ট্রাম্প এর মধ্যে। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে থাকলেও ২০১৬ সালের নির্বাচনের চেয়ে এক কোটির বেশি ভোট পেয়েও পরাজিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হিলারী ক্লিনটন পপুলার ভোট বেশি পেয়েও ইলেক্টোরাল ভোট কম হওয়াতে নির্বাচনে হেরে যান। সেখানে জো-বাইডেন পপুলার ভোট এবং ইলেক্টোরাল ভোট দু’ জায়গায়ই বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচন থেকে বেশি ভোট পাওয়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট জালিয়াতির কথা বলে পরাজয় স্বীকার করতে সময় নিচ্ছেন। পপুলার ভোট এবং ইলেক্টোরাল ভোট দু’ জায়গাতেই হেরে যাওয়াতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনী ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন একথা বলার অবকাশ নেই যে, তাকে পরাজয় মেনে নিতে হবে। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ হার মানা, না মানা এবং হেরে যাওয়ার কারণগুলোই সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আপাদমস্তক জাদরেল ব্যবসায়ী যে নাকি আবাসন ব্যবসার একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্বের সেরা ধনীদের কাতারে নিজের নাম লিখেন। যেভাবে সফল ব্যবসায়ী, ঠিক সেভাবে সফল রাষ্ট্র নায়কের খাতায় নিজের নাম লিখার জন্য ২০১৬ সালের আগেও চেষ্টা করেছেন। তখন ব্যর্থ হলেও ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজে সফল হন। নির্বাচনে তার শুরুটাই ছিল বির্তকিত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতির কারণেই ২০১৬ সালে উৎড়ে গেছেন। সাধারণত দুই একটা ব্যতিক্রম ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফায় নির্বাচিত হলে দ্বিতীয় দফায় জয় পাওয়া সহজ হয় যাতে করে অনেকেই দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হন। ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে পারলেন না। সেটাই আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ট্রাম্পের পরাজয়ের ব্যাপারে বিশ্লেষন করে বলব ট্রাম্প তার জায়গা থেকে জয়ী হয়েছেন, তার পরাজয় তথা ডানপন্থি ঝান্ডাধারীর পরাজয় হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্ত সেই গোষ্ঠীর কাছাকাছি চলে গেছেন, চেষ্টা করেছেন পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধরে রাখায় সেখানে ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রায় ৪৭ শতাংশ ভোট মানে সাত কোটি ত্রিশ লাখ লোককে তিনি তার পতাকাতলে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এই ফলাফল দেখে এটা মনে করার কারণ নেই যে ট্রাম্পকে আমেরিকানরা প্রত্যাখান করেছে। তা ছাড়া আমেরিকার বর্ণ বৈষম্য নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান বহু মানুষের মধ্যে ব্যাপক অস্বস্তির জন্ম দেয়। তার ডানপন্থী চিন্তা ধারার সমর্থন কমলেও তার হার ছিল যৎসামান্য।
যুক্তরাষ্টকে বলা হয় অভিবাসীর দেশ, আর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার যাত্রার শুরুতেই অভিবাসী বিরোধী নীতি হাতে নেন, আর এই অভিবাসীরাই তাকে প্রত্যাখান করেছেন। এক. দুই প্রজন্ম অভিবাসীর তকমা থাকলেও পরবর্তী প্রজন্ম জন্মগত অধিকার নিয়ে এগিয়ে যায়, আমরা দেখেছি অভিবাসী অঞ্চলগুলোতে ট্রাম্প পরাজিত হয়েছেন বেশি। ‘বø্যাক লাইভ মেটারস’ আন্দোলনের কারণে ধরে নেওয়া যায় সংখ্যালুগুরা ট্রাম্পকে প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেখানেও ট্রাম্প ৩৮ শতাংশ অর্থাৎ গতবারের চেয়েও ৭ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন। দ্বিতীয়ত. কর ফাঁকি দেওয়া। বলা হয়ে থাকে আমেরিকায় দুটি শক্তিশালী বিভাগের একটি কর বিভাগ, এখানেও আইনের ফাঁক-ফোকর বের করে সরকারি কর ফাঁকি দিয়েছেন, এ বিষয়ে যখন আলাপ-আলোচনা হয়, তখন বিভাগীয় লোকজনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য দেখিয়েছেন যা অনেকে ভালোভাবে নেয়নি। তাছাড়াও সরকারী করের সাথে বেতনের কর সংগ্রহ করা হয়, যা নাকি সোস্যাল সিকিউরিটি ফান্ডের উৎস, সেটা বন্ধ করার চেষ্টা, তাতে জনমনে সংশয় দেখা যায়। ‘বেটার সিটিজেন, বেটার লাইফ’ এর সাথে সোসাল সিকিউরিটি অঙ্গা-অঙ্গিভাবে জড়িত। মহামারি করোনা নিয়ে উপহাস, চায়না ভাইরাস বলে তাচ্ছিল্য করা, মহামারী করোনা কালে স্বাস্থ্যবিধিত না মানা, তার ওপর এবিষয়ে যারা বিশারদ বিশেষ করে ডা. ফাউচী, ডা. ডেব্রা সহ সংশ্লিষ্টদের ইডিয়েট বলে গালাগাল দিয়েছেন। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় তার কামখেয়ালী আচরণের কারনে অনেক আমেরিকান নাগরিক তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন। বিশেষ করে যে সকল পরিবার করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সীমাহীন নির্লজ্জ হীনতার আশ্রয় নেয়া স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অবজ্ঞা করে তাদের উপদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখান যা অনেক নাগরিকই ভালোভাবে নেয়নি।
রাজনীতিতে ধনী-গরিব, মেধাবী, অর্ধশিক্ষিত সবার অংশগ্রহণ থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু কোন নেতা বা নেতৃত্বকে নিয়ে কটাক্ষ করা, বিদ্রæপ করা সাধারণ জনগোষ্ঠী ভালোভাবে নেয় না, ট্রাম্প তার নির্বাচনী সভাগুলোতে খোলাখুলিভাবে কোন রাখডাক ছাড়া জনপ্রিয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। প্রবীণ রাজনীতিক সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, আলেকজেন্দ্রিয় ওকাসিও, ন্যন্সি পলিসির-এর মত জনপ্রিয় ডেমোক্র্যাটদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যর দৃষ্টিতে সমাজতান্ত্রিক নেতা বানিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা, তাদের নিয়ে হর-হামসা তির্যক মন্তব্য এটাও আমেরিকানরা ভালোভাবে নেয়নি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাষ্ট্রকে রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালনা না করে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালান। রাষ্ট্র এবং ব্যবসা দুটো ভিন্ন জিনিস এটা হয়ত ভুলে গেছেন, নয়ত অবজ্ঞা করেছেন।
বিচারক নিয়োগ দিয়ে সেখানে অনৈতিক কাজ করার প্রয়াস চালান যা নাকি তৃতীয় বিশ্বের দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতারা করেন, সেরকম আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা যা সত্যি দুঃখজনক। ফলশ্রæতিতে একজন বিচারক ট্রাম্পকে ফ্রাঙ্কেসটাইনের সাথে তুলনা করেছেন।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করে তার আধিপত্য বজায় রাখতে, এই আন্তর্জাতিকীকরণ করতে গিয়ে কিছু কিছু স্পর্শকাতর বিষয় তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন যা বিচার বিশ্লেষণ করার সুযোগ থাকলেও দম্ভ করে হটকারী সিদ্ধান্ত নেন। এতে করে কিছু বন্ধু রাষ্ট্র ক্ষেপে যায়, যেমন পরিবেশ খাত, স্বাস্থ্য খাত বরাদ্দের ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তকে অনেক আমেরিকান ভালো চোখে দেখেননি।
সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব প্রেসিডেন্টের কথা বার্তা মার্জিত স্বভাবের। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার পরও তার ভদ্র চরিত্র মার্জিত, রাষ্ট্রনায়কচিত ব্যবহার আরো বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যতিক্রম, অন্যদিকে তার প্রতিদ্ব›দ্বী জো-বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে তাকে স্তরে স্তরে নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে এসেছেন। তৃনমুল থেকে উঠে আসা বাইডেনের রয়েছে অগাধ অভিজ্ঞতা। খুব সাধারণ পরিবারে জন্ম নেয়া বাইডেনকে অনুমানের অধীনে (আন্ডার এষ্টিমেট) করা, ট্রাম্প সেটাই করেছেন। দলীয়ভাবে নির্বাচন না হয়ে, এককভাবে হলে তবে বাইডেন আরো বেশি ভোট পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনকে অভিনন্দন, সাথে সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি এই আহŸান। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করার মানসিকতা নিয়ে ২০২৪ সালের মনোনয়ন চাইলেই হয়ত প্রতিযোগিতা প্রতিদ্ব›দ্বীতামূলক হবে, এটাই আশা করি। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ জীবি হোক, গণতন্ত্রের জয় হোক।
লেখক: প্রাক্তন সহ সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি