নিউইয়র্ক ১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক দশকের নির্বাসন শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন সাংবাদিক মুশফিক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৭ বার পঠিত

প্রায় এক দশক নির্বাসনে থাকার পর বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। শুক্রবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই নির্বাসিত সাংবাদিককে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, এতদিন পর দেশে ফিরতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত বোধ করছি। আমি আমার প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব, ছাত্র-শিক্ষক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আবার মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় আছি।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচারী মুক্ত করা হয়েছে, গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের পথ আজ প্রশস্ত হয়েছে। একজন নোবেল জয়ী অধ্যাপক দেশের ক্রান্তিকালীন অবিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, জাতি হিসাবে এটা আমাদের গর্বের।

মুশফিকুল ফজল আনসারীর দেশে আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেস ক্লাব শুক্রবার বিকালে এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মুফফিকুল ফজল আনসারী হোয়াইট হাউস এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক এবং অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম সম্পাদিত বৈদেশিক নীতি ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন। তার কাজের মাধ্যমে, মুশফিক ফজল আনসারী বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচনী জালিয়াতি এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।

সরকারের সমালোচনামূলক সাংবাদিকতার কারণে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে নির্বাসিত করা হয়। এর আগে, তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনীতিক প্রতিবেদক ছিলেন। এছাড়াও বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় কাজ করেছে। ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্ট। ওয়ার্কএক্সিপিরিয়েন্স রিপোর্টার হিসাবে কাজ করেছেন বিশ্বখ্যাত বৃটেনের দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস পত্রিকায়।

তিনি জাস্টনিউজবিডি’র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। এনটিভিতে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘হ্যালো এক্সেলেন্সি’ হোস্ট করেছেন, যেখানে রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। সূত্র : মানবজমিন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এক দশকের নির্বাসন শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন সাংবাদিক মুশফিক

প্রকাশের সময় : ০২:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রায় এক দশক নির্বাসনে থাকার পর বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। শুক্রবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই নির্বাসিত সাংবাদিককে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, এতদিন পর দেশে ফিরতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত বোধ করছি। আমি আমার প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব, ছাত্র-শিক্ষক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আবার মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় আছি।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচারী মুক্ত করা হয়েছে, গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের পথ আজ প্রশস্ত হয়েছে। একজন নোবেল জয়ী অধ্যাপক দেশের ক্রান্তিকালীন অবিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, জাতি হিসাবে এটা আমাদের গর্বের।

মুশফিকুল ফজল আনসারীর দেশে আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেস ক্লাব শুক্রবার বিকালে এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মুফফিকুল ফজল আনসারী হোয়াইট হাউস এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক এবং অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম সম্পাদিত বৈদেশিক নীতি ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন। তার কাজের মাধ্যমে, মুশফিক ফজল আনসারী বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচনী জালিয়াতি এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন।

সরকারের সমালোচনামূলক সাংবাদিকতার কারণে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে নির্বাসিত করা হয়। এর আগে, তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনীতিক প্রতিবেদক ছিলেন। এছাড়াও বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় কাজ করেছে। ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্ট। ওয়ার্কএক্সিপিরিয়েন্স রিপোর্টার হিসাবে কাজ করেছেন বিশ্বখ্যাত বৃটেনের দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস পত্রিকায়।

তিনি জাস্টনিউজবিডি’র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। এনটিভিতে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘হ্যালো এক্সেলেন্সি’ হোস্ট করেছেন, যেখানে রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। সূত্র : মানবজমিন।