নিউইয়র্ক ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হাজারীবাগে নারী সাংবাদিকের ঝুলন্ত লাশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • / ৭১ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : রাজধানীর হাজারীবাগে নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক সোহানা পারভীন তুলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে হাজারীবাগ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
হাজারীবাগে শেরেবাংলা রোডের একটি ছয়তলা ভবনের দোতলায় ভাড়া থাকতেন তুলি। এ বাসার একটি ঘরে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া যায় তার লাশ।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান বলেন, ‘তার খালাতো ভাই ও ছোট ভাই পরিচয়ে দুজন থানায় খবর দেন। তাদের বোন যে রুমে আছেন সেই রুমের ভেতর থেকে সিটকিনি লাগানো এবং তিনি ফোন ধরছেন না বলে তারা জানান।
‘পুলিশের উপস্থিতিতে তার ভাই দরজা ভাঙেন। ভেতরে ঢুকে আমরা দেখতে পাই, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তিনি ঝুলছেন।’
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ওসি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তের কাজ করছি। আলামত সংগ্রহে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসেছে। তথ্য ও আলামত যাচাইয়ের আগে মৃত্যুর বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।’
স্বজনরা জানান, সোহানা পারভীন তুলি এক দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতায় জড়িত। সবশেষ তিনি অনলাইন গণমাধ্যম বাংলাট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে কর্মহীন হয়ে পড়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানান স্বজনরা।
দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক আমাদের সময়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও কাজ করেছেন তিনি।
সোহানা বিবাহিত হলেও কয়েক বছর আগে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটে। ভাড়া বাসায় ছোট ভাইসহ অন্য আত্মীয়রা মাঝে মাঝে থাকলেও তিনি বেশির ভাগ সময় একাই থাকতেন। খবর যায়যায়দিন
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হাজারীবাগে নারী সাংবাদিকের ঝুলন্ত লাশ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : রাজধানীর হাজারীবাগে নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক সোহানা পারভীন তুলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে হাজারীবাগ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
হাজারীবাগে শেরেবাংলা রোডের একটি ছয়তলা ভবনের দোতলায় ভাড়া থাকতেন তুলি। এ বাসার একটি ঘরে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া যায় তার লাশ।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান বলেন, ‘তার খালাতো ভাই ও ছোট ভাই পরিচয়ে দুজন থানায় খবর দেন। তাদের বোন যে রুমে আছেন সেই রুমের ভেতর থেকে সিটকিনি লাগানো এবং তিনি ফোন ধরছেন না বলে তারা জানান।
‘পুলিশের উপস্থিতিতে তার ভাই দরজা ভাঙেন। ভেতরে ঢুকে আমরা দেখতে পাই, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তিনি ঝুলছেন।’
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ওসি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তের কাজ করছি। আলামত সংগ্রহে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসেছে। তথ্য ও আলামত যাচাইয়ের আগে মৃত্যুর বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।’
স্বজনরা জানান, সোহানা পারভীন তুলি এক দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতায় জড়িত। সবশেষ তিনি অনলাইন গণমাধ্যম বাংলাট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে কর্মহীন হয়ে পড়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানান স্বজনরা।
দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক আমাদের সময়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও কাজ করেছেন তিনি।
সোহানা বিবাহিত হলেও কয়েক বছর আগে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটে। ভাড়া বাসায় ছোট ভাইসহ অন্য আত্মীয়রা মাঝে মাঝে থাকলেও তিনি বেশির ভাগ সময় একাই থাকতেন। খবর যায়যায়দিন
হককথা/এমউএ