সাংবাদিকদের ওপর হামলা দোকানকর্মীদের
- প্রকাশের সময় : ০৪:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
- / ৩১ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। নিউমার্কেটসহ আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানের কর্মচারীরা তাদের পিটিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ নিয়ে সত্য তথ্য প্রকাশ করছেন না সাংবাদিকেরা।
আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে দীপ্ত টিভির রিপোর্টার আসিফ জামান সুমিতকে বেদম প্রহার করে হকাররা। এসময় সুমিতকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক, মানবজমিনের শুভ্র দেব ও এসএ টিভির সিনিয়র ক্যামেরা পারসন কবির হোসেন।
হামলার শিকার শাহেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরত্বে দাঁড়িয়ে খবর সংগ্রহের কাজ করছিলাম। এসময় দেখতে পাই দীপ্ত টিভির রিপোর্টারকে ঘিরে ধরে পেটাচ্ছে কয়েকজন হকার। এরপর আমরা এগিয়ে গিয়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করতে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে।
এছাড়া সময় টিভির এক সাংবাদিককে নিউমার্কেট থেকে নীলক্ষেত মোড়ে এনে পেটাতে শুরু করেন দোকানকর্মীরা। এসএ টিভির এক ক্যামেরাপারসনের মাথা ফেটে গেছে। দোকানকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করায় তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে তাড়িয়ে দেন দোকানকর্মীরা।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার কারণ জানতে চাইলে নিউমার্কেটের একজন ব্যবসায়ী বলেন, যে সাংবাদিকেরা সত্য কথা লেখেন না, তাদের চলে যেতে বলা হচ্ছে। কাউকে মারধর করা হচ্ছে না।
গতকাল সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের দুই ঘণ্টার বেশি সময় পর ঘটনাস্থলে এসেছে বাড়তি পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার পর জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিয়ে পুলিশের ২০০ শতাধিক সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, সকাল থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। তবে দুই পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় পুলিশ পাশে সরে যায়। এরপর দুপুর পৌনে ১টার দিকে শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এদিকে সংঘর্ষের কারণে রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক মিরপুর রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ আছে। খবর সাম্প্রতিক দেশকাল
হককথা/এমউএ