নিউইয়র্ক ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সংগ্রাম কার্যালয়ে ভাঙচুর, সম্পাদক থানা হেফাজতে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২১৫ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একদল নেতা-কর্মী শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগ্রাম কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় একদল যুবক পত্রিকাটির কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই সময় যুবকেরা সম্পাদক আবুল আসাদের কক্ষে গিয়ে তাঁকে নাজেহাল করে বারবার ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে সম্পাদককে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়।
রাত সাড়ে আটটার দিকে সংগ্রাম কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলায় ছাপাখানা ও বাইন্ডিং ঘরে কাগজপত্র এলোমেলো পড়ে আছে। দোতলায় সম্পাদকের কক্ষ, সম্পাদকীয় বিভাগ এবং বার্তা কক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষের ভেতরে কাচের টুকরো পড়ে আছে, চেয়ার–টেবিল ভাঙা।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাঁকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার সংগ্রাম পত্রিকার প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর প্রতিবাদে পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ করা এবং সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেপ্তার ও তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী অভিযোগ করেন, হামলার সময় সেখানে পুলিশ থাকলেও বাধা দেয়নি। তিনি বলেন, সংগ্রাম পত্রিকায় ছয় বছর ধরে ‘শহীদ’ লেখা হচ্ছে। এত দিন কেউ প্রতিবাদ করেনি।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দুটি কারণে সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদককে নিয়ে এসেছি। প্রথম কারণ হলো নিরাপত্তা। দ্বিতীয়টি হলো ওনাকে কিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদের দরকার।’
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সংগ্রাম অফিসের ভেতরে জামায়াত ও শিবির পরিচালনার নানা কাগজ পেয়েছি। এসব দেখে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পত্রিকার সম্পাদককে আমরা পুলিশে দিয়েছি।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

সংগ্রাম কার্যালয়ে ভাঙচুর, সম্পাদক থানা হেফাজতে

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

ঢাকা ডেস্ক: রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একদল নেতা-কর্মী শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগ্রাম কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় একদল যুবক পত্রিকাটির কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই সময় যুবকেরা সম্পাদক আবুল আসাদের কক্ষে গিয়ে তাঁকে নাজেহাল করে বারবার ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে সম্পাদককে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়।
রাত সাড়ে আটটার দিকে সংগ্রাম কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলায় ছাপাখানা ও বাইন্ডিং ঘরে কাগজপত্র এলোমেলো পড়ে আছে। দোতলায় সম্পাদকের কক্ষ, সম্পাদকীয় বিভাগ এবং বার্তা কক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষের ভেতরে কাচের টুকরো পড়ে আছে, চেয়ার–টেবিল ভাঙা।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাঁকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার সংগ্রাম পত্রিকার প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর প্রতিবাদে পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ করা এবং সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেপ্তার ও তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী অভিযোগ করেন, হামলার সময় সেখানে পুলিশ থাকলেও বাধা দেয়নি। তিনি বলেন, সংগ্রাম পত্রিকায় ছয় বছর ধরে ‘শহীদ’ লেখা হচ্ছে। এত দিন কেউ প্রতিবাদ করেনি।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দুটি কারণে সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদককে নিয়ে এসেছি। প্রথম কারণ হলো নিরাপত্তা। দ্বিতীয়টি হলো ওনাকে কিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদের দরকার।’
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সংগ্রাম অফিসের ভেতরে জামায়াত ও শিবির পরিচালনার নানা কাগজ পেয়েছি। এসব দেখে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পত্রিকার সম্পাদককে আমরা পুলিশে দিয়েছি।’