নিউইয়র্ক ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকা যাত্রা শুরু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ১২০৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে। আমরা ক’জন নবীন মাঝি হাল ধরেছি, শক্ত করে রে।’ বিখ্যাত এই গানের সঙ্গে কয়েক শ প্রবাসীর উপস্থিতিতে প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকা যাত্রা শুরু হলো। একই সঙ্গে উদ্বোধন হলো প্রথম আলো ডিজিটালের বিপণনব্যবস্থারও। গত ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের কুইন্সের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এক ভিডিও বার্তায় উত্তর আমেরিকা প্রবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, প্রথম আলো সামনে এগোচ্ছে পাঠকের ভালোবাসায়। এরই অংশ হিসেবে উত্তর আমেরিকায় আগামী মার্চে সাপ্তাহিক হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে প্রথম আলো। প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকার এ যাত্রায় তিনি সবাইকে সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার বিপণন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নর্দান লাইটস মিডিয়ার কর্ণধার সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন, দূর প্রবাসে বাংলাদেশের প্রধান দৈনিক প্রথম আলো বাংলা ভাষাভাষীদের হাতে তুলে দেওয়ার মতো দায়িত্ব পেয়ে নর্দান লাইটস গর্বিত। প্রবাসীরা যাতে সহজে প্রথম আলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, সে লক্ষ্যে নর্দান লাইটস কাজ করবে।
প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকার উপদেষ্টা হাসান ফেরদৌস বলেন, যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো। প্রথম আলো ভালোর সঙ্গে আছে বলেই প্রবাসের মানুষের কাছেও এত জনপ্রিয়। প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকা যাত্রাকালে পেশাদার অভিজ্ঞ সংবাদকর্মীদের নিয়ে নতুন অভিযাত্রার কথা জানান তিনি। প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার ব্যুরো চিফ ইব্রাহীম চৌধুরী বলেন, প্রথম আলো কথা বলবে প্রবাসের বাংলা ভাষাভাষীদের, কথা বলবে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর ডিজিটাল কার্যক্রমের বিশদ তুলে ধরেন এর সিওও এহতেরাম উদ্দিন। প্রযুক্তির উৎকর্ষ কাজে লাগিয়ে নিজেদের বাণিজ্যের বার্তা বিশ্বের সর্বোচ্চসংখ্যক বাংলাভাষীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রথম আলোর ব্যাপ্তি তুলে ধরেন তিনি।
নিম্মি নাহারের উপস্থাপনায় প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকার প্রাক আগমনী এ সন্ধ্যায় আরও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘সামনে চলো, পাল তোলো, প্রথম আলো আছে আশে পাশে/ এই সুরে, দূর প্রবাসে সব বাঙালীর প্রাণের উচ্ছ্বাসে’ এই ভাবসংগীত সবাইকে মুগ্ধ করে। নৃত্য পরিচালনায় ছিল হৃলা ড্যান্স গ্রুপ। পরে একক নৃত্য পরিবেশন করেন সাদিয়া মোহাইমিন। সারগাম ব্যান্ডের পরিবেশনায় ছিল ‘আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না’ গানটি। তানজিম আলম ও মোসনাদ আলম বাংলা গান নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। সুকান্তের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতা নিয়ে মঞ্চে আসেন তৈমুর ও নবনী দম্পতি। তনিমা হাদী গেয়ে শোনান ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার বারিস্টার’সহ চারটি গান।
সব শেষে মঞ্চে আসেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে’ দিয়ে শুরু করে তিনি একে একে ছয়টি গান শোনান। এরপরই মঞ্চে আসেন মুক্তিযোদ্ধা কামাল সাঈদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন। এ সময় হলজুড়ে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। (প্রথম আলো)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকা যাত্রা শুরু

প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউইয়র্ক: ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে। আমরা ক’জন নবীন মাঝি হাল ধরেছি, শক্ত করে রে।’ বিখ্যাত এই গানের সঙ্গে কয়েক শ প্রবাসীর উপস্থিতিতে প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকা যাত্রা শুরু হলো। একই সঙ্গে উদ্বোধন হলো প্রথম আলো ডিজিটালের বিপণনব্যবস্থারও। গত ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের কুইন্সের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এক ভিডিও বার্তায় উত্তর আমেরিকা প্রবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, প্রথম আলো সামনে এগোচ্ছে পাঠকের ভালোবাসায়। এরই অংশ হিসেবে উত্তর আমেরিকায় আগামী মার্চে সাপ্তাহিক হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে প্রথম আলো। প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকার এ যাত্রায় তিনি সবাইকে সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার বিপণন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নর্দান লাইটস মিডিয়ার কর্ণধার সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন, দূর প্রবাসে বাংলাদেশের প্রধান দৈনিক প্রথম আলো বাংলা ভাষাভাষীদের হাতে তুলে দেওয়ার মতো দায়িত্ব পেয়ে নর্দান লাইটস গর্বিত। প্রবাসীরা যাতে সহজে প্রথম আলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, সে লক্ষ্যে নর্দান লাইটস কাজ করবে।
প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকার উপদেষ্টা হাসান ফেরদৌস বলেন, যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো। প্রথম আলো ভালোর সঙ্গে আছে বলেই প্রবাসের মানুষের কাছেও এত জনপ্রিয়। প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকা যাত্রাকালে পেশাদার অভিজ্ঞ সংবাদকর্মীদের নিয়ে নতুন অভিযাত্রার কথা জানান তিনি। প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার ব্যুরো চিফ ইব্রাহীম চৌধুরী বলেন, প্রথম আলো কথা বলবে প্রবাসের বাংলা ভাষাভাষীদের, কথা বলবে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর ডিজিটাল কার্যক্রমের বিশদ তুলে ধরেন এর সিওও এহতেরাম উদ্দিন। প্রযুক্তির উৎকর্ষ কাজে লাগিয়ে নিজেদের বাণিজ্যের বার্তা বিশ্বের সর্বোচ্চসংখ্যক বাংলাভাষীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রথম আলোর ব্যাপ্তি তুলে ধরেন তিনি।
নিম্মি নাহারের উপস্থাপনায় প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকার প্রাক আগমনী এ সন্ধ্যায় আরও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘সামনে চলো, পাল তোলো, প্রথম আলো আছে আশে পাশে/ এই সুরে, দূর প্রবাসে সব বাঙালীর প্রাণের উচ্ছ্বাসে’ এই ভাবসংগীত সবাইকে মুগ্ধ করে। নৃত্য পরিচালনায় ছিল হৃলা ড্যান্স গ্রুপ। পরে একক নৃত্য পরিবেশন করেন সাদিয়া মোহাইমিন। সারগাম ব্যান্ডের পরিবেশনায় ছিল ‘আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না’ গানটি। তানজিম আলম ও মোসনাদ আলম বাংলা গান নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। সুকান্তের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতা নিয়ে মঞ্চে আসেন তৈমুর ও নবনী দম্পতি। তনিমা হাদী গেয়ে শোনান ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার বারিস্টার’সহ চারটি গান।
সব শেষে মঞ্চে আসেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে’ দিয়ে শুরু করে তিনি একে একে ছয়টি গান শোনান। এরপরই মঞ্চে আসেন মুক্তিযোদ্ধা কামাল সাঈদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন। এ সময় হলজুড়ে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। (প্রথম আলো)