প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে মামলা ও সাপ্তাহিক পরিচয়’র বক্তব্য
- প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০১৫
- / ৯৮১ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: সম্প্রতি সাপ্তাহিক আজকাল-এর ই-মেইর এডড্রেস ব্যবহার করে ডিজিটাল ওয়ান ইউএসএ ইন্্ক-এর পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সাপ্তাহিক পরিচয় ছাড়া কয়েকটি মিডিয়ায় পাঠানো হয়েছে। উক্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেল এজেন্সী থেকে টিকিট ক্রয় করে দু’জন যাত্রী সম্প্রতি প্রতারিত হয়েছেন। এই অভিযোগ সম্বলিত সাপ্তাহিক পরিচয়-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট কেন্দ্র করে উক্ত প্রতিষ্ঠান কুইন্স কাউন্টি কোর্টে উক্ত প্রতিষ্ঠান একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ডিজিটাল ওয়ান ইউএসএ-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মামলার বিষয়ে কিছু উল্লেখ না করে সাপ্তাহিক পরিচয়-এর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অফিস নিয়ে মনগড়া তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।
সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকা’র মালিক জাকারিয়া মাসুদ জিকোর ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস থেকে টিকিট ক্রয় করে একাধিক যাত্রী প্রতারিত হয়েছেন বলে সাপ্তাহিক পরিচয়-এর কাছে অভিযোগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতারণার প্রমাণসহ সাপ্তাহিক পরিচয়-এ ছাপা হয়। এর পাশাপাশি ভুক্তভোগী যাত্রীরা জ্যাকসন হাইটসের ফুডকোর্ট রেষ্টুরেন্টে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস থেকে টিকিট কিনে প্রতারিত হওয়ার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। যা এটিএন বাংলা,এনটিভিসহ বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয়। এর পরপরই ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর পক্ষে একই রেষ্টেুরেন্টে জাকারিয়া মাসুদ জিকো ওরফে জাকির হোসেন ভূঁইয়া, তার ভাই বেলায়েত হোসেন ও ম্যানহাটানের অন্য একটি ট্রাভেলস এজেন্সীর কর্মকর্তা আলী সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস এর পক্ষে সাফাই গান এবং এমিরেটস এয়ারলাইন্সের সেলস কর্মকর্তা মি. ফাহাদের একটি ই-মেইল জালিয়াতির মাধ্যমে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর কাছে পাঠানো চিঠি হিসেবে দেখিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিতরণ করা হয়। অথচ এই সাংবাদিক সম্মেলনের কোন খবর জিকোর মালিকাধীন সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকায় ছাপা হয়নি জালিয়াতির কারণে। নিউইয়র্কের বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে টেলিফোন করে তার নিজের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের খবর না ছাপানোর জন্য চাপ সৃস্টি করা করা হয়। পরিচয়-এর পক্ষ থেকে এব্যাপারে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের সেলস কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে সময় মি. ফাহাদ বলেন, ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর কাছে এমন কোন ই-মেইল বা চিঠি দেয়া হয়নি, কারণ ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস এমিরেটস অনুমোদিত কোন ট্রাভেলস এজেন্সী নয়। তাই ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর সাথে এমিরেটস-এর কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকতে পারে না।
এর কিছুদিন পর আজকাল পত্রিকায় ‘টিকিট নিয়ে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর সাথে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে’ এমন একটি খবর প্রকাশিত হয়। এবং প্রতারণার শিকার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নতুন দুটি টিকিট দিয়ে আজকাল অফিসে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয় বলে খবর প্রকাশ করা হয়। এই খবরটিও সাপ্তাহিক পরিচয়-এ প্রকাশিত হয়েছিলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস ইন্ক-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে বলে উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে, ট্রাভেলস ব্যবসায় সততা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত ‘আইএটিএ’ ও ‘এআরসি’ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের কোনটিরই অনুমোদন পায়নি ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস ইন্্ক। ম্যানহাটানের বিভিন্ন পাকিস্তানী ও ভারতীয় ট্রাভেলস এজেন্সী থেকে টিকিট এনে বিক্রি করাই ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর ব্যবসা। এয়ার টিকিটে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর নাম লিখার ক্ষমতাও প্রতিষ্ঠানটির নেই। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস ও আজকাল পত্রিকা’র ছত্রছায়ায় জাকারিয়া মাসুদ জিকোর আরো কয়েকটি ব্যবসা আছে, যার বিরুদ্ধে কমিউনিটিতে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। নিজেকে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে জাহির করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এই জিকোর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কমিউনিটিতে অনেকে প্রশ্ন উঠেছে। কিছুদিন আগে এনটিভি ভবনে ড্রামা সার্কেল আয়োজিত বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে জিকোকে বের করে দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। বিনা দাওয়াতে সেজেগুজে সেখানে গিয়ে হাজির হওয়ায় নীরবে হজম করতে হয়েছিলো এই গলা ধাক্কা। বেশ কয়েক বছর আগে তৎকালীন ‘কস্তুরী কান্ট্রি ক্লাব’ (বর্তমানে ক্লাব সনম)-এ ফেরদৌস বারী জন (বর্তমানে কানাডাবাসী) নামের একজন নারায়নগঞ্জবাসী জিকোর গালে আদর করে ফ্লোরে শুইয়ে দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার আরো অভিযোগ রয়েছে। অফিসে বসে অকথ্য ভাষায় মানুষের মা-বাপ তুলে গালিগালাজ করা তার অন্যতম হবি। তার কুকুরের মতো ব্যবহারের কারণে আজকাল-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সহ দু’জন সম্পাদক ইতিমধ্যেই আজকাল ছেড়েছেন। তৃতীয় সম্পাদকও একবার চাকরি ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অজ্ঞাত কারণে তৃতীয় সম্পাদকও চাকরিতে বহাল রয়েছেন এই তথাকথিত মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অধীনে। পেটের দায়ে কেউ কেউ এখনো চাকরি করছেন, তবে অনেকেই কমিউনিটিতে নিন্দিত এই ব্যক্তির অধীনে কাজ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সাপ্তাহিক পরিচয়-এর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অফিস-এর বিষয়টি একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। কোন অনৈতিক বা অবৈধ কাজের সাথে সাপ্তাহিক পরিচয় কখনোই যুক্ত ছিলো না। ডিজাইন স্টুডিও’র সত্ত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেনের অনুমতি নিয়েই অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছিলো। ঠিকানাটি অতীতে একাধিক মিডিয়ার ঠিকানা হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে পত্রিকা প্রকাশনার জন্য বিশাল কোন অফিসের প্রয়োজন আছে বলে সাপ্তাহিক পরিচয় মনে করে না। কমিউনিটির বদমাইশ, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত, ধান্ধাবাজ সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা সাংবাদিকতার মহান পেশা ও দায়িত্ব বলে মনে করে সাপ্তাহিক পরিচয়। সেই লক্ষ্যেই সাপ্তাহিক পরিচয় গত ২৩ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে।
সাপ্তাহিক পরিচয় ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলস-এর দায়ের করা মামলাকে স্বাগত জানায়। এই মামলার মাধ্যমে কমিউনিটিতে জালিয়াতি, দুই নম্বরী, প্রতারণা ও অসৎ ব্যবসার প্রকৃত চেহেরা কমিউনিটি টের পাবে বলে মনে করে সাপ্তাহিক পরিচয়। প্রসঙ্গত কয়েক বছর আগে সাপ্তাহিক ঠিকানা’র বিরুদ্ধেও চরিত্র হনণের মামলা দায়ের করেছিলেন জাকারিয়া মাসুদ জিকো। গত বছর সাপ্তাহিক ঠিকানা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চরিত্র হনণের বিষয়টি বেমালুম ভুলে গিয়ে সস্ত্রীক ঠিকানা’র অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন জাকারিয়া মাসুদ জিকো।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।