নিউইয়র্ক ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পত্রিকার রাজধানী মজমপুর গ্রাম থেকে প্রকাশিত হয় অর্ধশত পত্রিকা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৮৩৫ বার পঠিত

কুষ্টিয়া: সংবাদপত্রের পথিকৃৎ ও দ্বিকপাল কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্মৃতি বিজড়িত, পদ্মা, গড়াই, কালিগঙ্গা বিধৌত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউলসম্রাট লালন শাহ, কালজয়ী সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, কবি আজিজুর রহমান, বিপ্লবী বাঘা যতীন, বিচারপতি ড. রাধা বিনোদপালসহ শত মনিষীর পদচারণায় কুষ্টিয়ার মাটি ধন্য। ১৯৭১ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার। বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী স্থাপিত হওয়ায় এ জেলার মর্যাদা জাতির কাছে চিরস্মরণযোগ্য। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির লীলাভূমি কুষ্টিয়া। এ কারণেই কুষ্টিয়াকে বলা হয় ‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’। কিন্তু কুষ্টিয়া এখন পত্রিকার শহরে পরিণত হয়েছে। জেলা শহর থেকে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত ২৪টি এবং সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় ১৯ টি। এর মধ্যে ১টি ইংরেজি দৈনিক ও ২টি ইংরেজি সাপ্তাহিক রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো কুষ্টিয়ার একটি গ্রাম থেকেই প্রকাশিত হয় ৯টি দৈনিক ও ৯টি সাপ্তাহিক পত্রিকা। শহর সংলগ্ন গ্রামটির নাম মজমপুর। এই গ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা গুলো হলো- দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা, দৈনিক আন্দোলনের বাজার, দৈনিক হাওয়া, দৈনিক আরশীনগর, দৈনিক দেশতথ্য, দৈনিক দেশভূমি, দৈনিক বজ্রপাত, দৈনিক মাটির পৃথিবী, দৈনিক সময়ের কাগজ ও একমাত্র ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অথেন্টিকসহ প্রায় তিন ডজন দৈনিক পত্রিক। সাপ্তাহিক পত্রিকার মধ্যে রয়েছে-‘জাগরনী’, ‘দ্য বাংলাদেশ রিভিউ’, ‘পদ্মাগড়াই’, ‘লালনভূমি,’ ‘কুষ্টিয়ারমুখ’, ‘কুষ্টিয়ার বানী’, ‘জনবানী’, ‘ইস্পাত’ ও ‘আদিবাসীর অধিকার’, কুষ্টিয়ার দিগন্ত, কুষ্টিয়ার সংবাদসহ বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা।
সংবাদপত্র শিল্পের চরম দুর্দিন হলেও পত্রিকার মালিকরা তাদের পত্রিকা প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট।
দৈনিক হাওয়া পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, কুষ্টিয়া থেকে প্রতিদিন বেশ কিছু পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তার মধ্যে দৈনিক হাওয়া পত্রিকা একটি। পত্রিকার এখন খুব দূর্দিন চলছে। সরকারি মদদপুষ্ট পত্রিকা ছাড়া কোনি পত্রিকাতে সরকারি বিজ্ঞাপন দেয়া হয় না। প্রতিদিন যে পরিমাণ পত্রিকা বের হয় তা বিক্রি করে পত্রিকার খরচ ওঠেনা। এ কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে পত্রিকা চালাতে গিয়ে অসদুপায় অবলম্বন করেন। আমি নিজেই পত্রিকা চালাতে গিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা পত্রিকাতে ভর্তুকী দিয়ে থাকি। পত্রিকাতে সঠিক কথা লেখার কায়দাও নেই।
দৈনিক আরশীনগর পত্রিকার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, আমি গর্বিত যে, মজমপুরের মত একটি ঐতিহাসিক গ্রামের বাসিন্দা। বাংলাদেশ নয় বিশ্বের কোথাও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না যে একটি গ্রাম থেকে এতগুলো পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, পত্রিকা প্রকাশনার জন্য প্রয়োজন কাগজ ও বিজ্ঞাপন। বর্তমানে দুটোরই চরম সংকট। মিডিয়া বান্ধব এই সরকার যদি পত্রিকার জন্য আগের মত কাগজ বরাদ্দ দিতেন তা হলে পত্রিকা প্রকাশনা নিয়ে মালিকদের দুশ্চিন্তা থাকতো না।
কুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে প্রকাশিত অন্যান্য দৈনিক গুলো হলো- দৈনিক হাওয়া, দৈনিক কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, দৈনিক আজকের আলো, দৈনিক সত্যখবর, দৈনিক দিনের খবর, দৈনিক আজকের সুত্রপাত, দৈনিক কুষ্টিয়া বার্তা, দৈনিক কুষ্টিয়ার কাগজ, দৈনিক স্বর্ণযুগ, দৈনিক হিসনাবানী, দৈনিক সাগরখালী, দৈনিক শিকল, দৈনিক মাটির ডাক ও দৈনিক সুত্রপাত, দৈনিক দেশের বানী, দৈনিক লালনকণ্ঠ, দৈনিক প্রতিজ্ঞা, দৈনিক মুক্তমঞ্চ, দৈনিক জয়যাত্রা।
সাপ্তাহিকগুলো হলো- দেশব্রতী, কুষ্টিয়ারখবর, পথিকৃৎ, কুষ্টিয়া পরিক্রমা, দৌলতপুর বার্তা, কুমারখালী বার্তা, চেতনায় কুষ্টিয়া, দ্রোহ, কুষ্টিয়ার সংবাদ, কুষ্টিয়ার দিগন্ত, জয়ের কণ্ঠ ও ইংরেজি সাপ্তাহিক দ্য কুষ্টিয়া টাইমস। এখানে নবীন ও প্রবীন সাংবাদিকদের মাঝে রয়েছে তুমুল প্রতিযোগিতা। (দৈনিক সংগ্রাম)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

পত্রিকার রাজধানী মজমপুর গ্রাম থেকে প্রকাশিত হয় অর্ধশত পত্রিকা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অক্টোবর ২০১৮

কুষ্টিয়া: সংবাদপত্রের পথিকৃৎ ও দ্বিকপাল কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্মৃতি বিজড়িত, পদ্মা, গড়াই, কালিগঙ্গা বিধৌত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউলসম্রাট লালন শাহ, কালজয়ী সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, কবি আজিজুর রহমান, বিপ্লবী বাঘা যতীন, বিচারপতি ড. রাধা বিনোদপালসহ শত মনিষীর পদচারণায় কুষ্টিয়ার মাটি ধন্য। ১৯৭১ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার। বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী স্থাপিত হওয়ায় এ জেলার মর্যাদা জাতির কাছে চিরস্মরণযোগ্য। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির লীলাভূমি কুষ্টিয়া। এ কারণেই কুষ্টিয়াকে বলা হয় ‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’। কিন্তু কুষ্টিয়া এখন পত্রিকার শহরে পরিণত হয়েছে। জেলা শহর থেকে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত ২৪টি এবং সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় ১৯ টি। এর মধ্যে ১টি ইংরেজি দৈনিক ও ২টি ইংরেজি সাপ্তাহিক রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো কুষ্টিয়ার একটি গ্রাম থেকেই প্রকাশিত হয় ৯টি দৈনিক ও ৯টি সাপ্তাহিক পত্রিকা। শহর সংলগ্ন গ্রামটির নাম মজমপুর। এই গ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা গুলো হলো- দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা, দৈনিক আন্দোলনের বাজার, দৈনিক হাওয়া, দৈনিক আরশীনগর, দৈনিক দেশতথ্য, দৈনিক দেশভূমি, দৈনিক বজ্রপাত, দৈনিক মাটির পৃথিবী, দৈনিক সময়ের কাগজ ও একমাত্র ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অথেন্টিকসহ প্রায় তিন ডজন দৈনিক পত্রিক। সাপ্তাহিক পত্রিকার মধ্যে রয়েছে-‘জাগরনী’, ‘দ্য বাংলাদেশ রিভিউ’, ‘পদ্মাগড়াই’, ‘লালনভূমি,’ ‘কুষ্টিয়ারমুখ’, ‘কুষ্টিয়ার বানী’, ‘জনবানী’, ‘ইস্পাত’ ও ‘আদিবাসীর অধিকার’, কুষ্টিয়ার দিগন্ত, কুষ্টিয়ার সংবাদসহ বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা।
সংবাদপত্র শিল্পের চরম দুর্দিন হলেও পত্রিকার মালিকরা তাদের পত্রিকা প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট।
দৈনিক হাওয়া পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, কুষ্টিয়া থেকে প্রতিদিন বেশ কিছু পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তার মধ্যে দৈনিক হাওয়া পত্রিকা একটি। পত্রিকার এখন খুব দূর্দিন চলছে। সরকারি মদদপুষ্ট পত্রিকা ছাড়া কোনি পত্রিকাতে সরকারি বিজ্ঞাপন দেয়া হয় না। প্রতিদিন যে পরিমাণ পত্রিকা বের হয় তা বিক্রি করে পত্রিকার খরচ ওঠেনা। এ কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে পত্রিকা চালাতে গিয়ে অসদুপায় অবলম্বন করেন। আমি নিজেই পত্রিকা চালাতে গিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা পত্রিকাতে ভর্তুকী দিয়ে থাকি। পত্রিকাতে সঠিক কথা লেখার কায়দাও নেই।
দৈনিক আরশীনগর পত্রিকার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, আমি গর্বিত যে, মজমপুরের মত একটি ঐতিহাসিক গ্রামের বাসিন্দা। বাংলাদেশ নয় বিশ্বের কোথাও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না যে একটি গ্রাম থেকে এতগুলো পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, পত্রিকা প্রকাশনার জন্য প্রয়োজন কাগজ ও বিজ্ঞাপন। বর্তমানে দুটোরই চরম সংকট। মিডিয়া বান্ধব এই সরকার যদি পত্রিকার জন্য আগের মত কাগজ বরাদ্দ দিতেন তা হলে পত্রিকা প্রকাশনা নিয়ে মালিকদের দুশ্চিন্তা থাকতো না।
কুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে প্রকাশিত অন্যান্য দৈনিক গুলো হলো- দৈনিক হাওয়া, দৈনিক কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, দৈনিক আজকের আলো, দৈনিক সত্যখবর, দৈনিক দিনের খবর, দৈনিক আজকের সুত্রপাত, দৈনিক কুষ্টিয়া বার্তা, দৈনিক কুষ্টিয়ার কাগজ, দৈনিক স্বর্ণযুগ, দৈনিক হিসনাবানী, দৈনিক সাগরখালী, দৈনিক শিকল, দৈনিক মাটির ডাক ও দৈনিক সুত্রপাত, দৈনিক দেশের বানী, দৈনিক লালনকণ্ঠ, দৈনিক প্রতিজ্ঞা, দৈনিক মুক্তমঞ্চ, দৈনিক জয়যাত্রা।
সাপ্তাহিকগুলো হলো- দেশব্রতী, কুষ্টিয়ারখবর, পথিকৃৎ, কুষ্টিয়া পরিক্রমা, দৌলতপুর বার্তা, কুমারখালী বার্তা, চেতনায় কুষ্টিয়া, দ্রোহ, কুষ্টিয়ার সংবাদ, কুষ্টিয়ার দিগন্ত, জয়ের কণ্ঠ ও ইংরেজি সাপ্তাহিক দ্য কুষ্টিয়া টাইমস। এখানে নবীন ও প্রবীন সাংবাদিকদের মাঝে রয়েছে তুমুল প্রতিযোগিতা। (দৈনিক সংগ্রাম)