নিউইয়র্ক ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার নিয়ে নানা কথা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০১৫
  • / ১৬৬৮ বার পঠিত

নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটির অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার বিষয়ে কমিউনটিতে নানা কথা হচ্ছে। কেন মিডিয়া পার্টনার- এ নিয়ে যেমন কমিউনিটির সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে। মিডিয়া পার্টনার হওয়ার ‘যোগ্যতা’ কি তা নিয়েও কথা হচ্ছে। কমিউনিটির অনুষ্ঠানাদি বিশেষ করে পথমেলা থেকে শুরু করে পিঠা উৎসব, বাংলা বর্ষবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদিতে মিডিয়া পার্টনার দেখা যাচ্ছে। সেই সাথে তথাকথিত ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ নামক অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারেও মিডিয়া পার্টনার দেখা যাচ্ছে। অথচ এই ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ নামক অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ব্যক্তি একজন ‘সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী’। কয়েক বছর আগে নিউইয়র্কের সাবওয়েতে তরুনীর নিতম্বে হাত দিয়ে ‘যৌন হয়রানী’ করার অভিযোগ এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর সাজা ভোগ করেছেন। মজার বিষয় হচ্ছে ঐ ব্যক্তির যৌহ হয়রানীর সচিত্র খবর সাপ্তাহিক ঠিকানা সহ আরো কয়েকটি পত্রিকা ফলাও করে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছিলো। কিন্তু আশ্চর্য্যরে ব্যাপার হলো এর পরে অগ্যাত কারণে সেই সাপ্তাহিক ঠিকানা’ই আবার সেই ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার হয়েছে! যা কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
নিউইয়র্কে বাংলা ভাষা, বাংলা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে প্রবাসের যে কয়টি সংগঠন সুনামের সাথে কাজ করছে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস (বিপা) অন্যতম। গত সপ্তাহে বিপার সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনটির আগামী বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মিডিয়া পার্টনার ছাড়াও অন্যান্য সংগঠনের মিডিয়া পার্টনারের বিষয়টিও উঠে আসে। গত সপ্তাহের সাপ্তাহিক পরিচয়-এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অনুষ্ঠানগুলোতে ‘মিডিয়া পার্টনার’-এর বিষয়ে কমিউনিটিতে নতুন করে আলোচনা উঠে এসেছে। মিডিয়ার কাজ বস্তুনিষ্ঠ, জনকল্যাণমূলক তথ্যাদি পাঠক আর দর্শক-শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরা। কোন অপসংস্কৃতি বা অপরাধীকে পৃষ্ঠপোষকতা করা নয়। কিন্তু দূর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, আমাদের এই কমিউনিটিতে কোন বাছ-বিচার না করেই কোন কোন মিডিয়া ‘সচেতনভাবেই’ এমন কাজ করছে। আর এসব কর্মকান্ডের ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কোন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের ‘অনৈতিক’ কর্মকান্ড ধামাচাপা দিতেই মিডিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃ হচ্ছে। আবার এজন্য একটি নয়, একাধিক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে ‘পার্টনার’ হিসেবে মনোনীত করে সকল কর্মকান্ডের প্রচারনার সুযোগ নেয়া হচ্ছে বলেও কমিউনিটিতে রব উঠেছে। মিডিয়ার এই ভূমিকা কমিউনিটিতে অপরাধজনিত কর্মকান্ড বিস্তারে এবং অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে বিরাট ভূমিকা রাখছে বলে কমিউনিটির সচেতন মহলের ধারণা। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের দিকে তাকিয়ে গুটি কয়েক মিডিয়ার কমিউনিটির কতিপয় ব্যক্তিবর্গের অপরাধজনিত কর্মকান্ড ও অপসংস্কৃতি বিস্তারে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা কার্যত বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আর সঙ্গত কারণেই কোন অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনাগুলো পত্রিকা বা টিভিগুলোতে ঐ অনুষ্ঠানের ভালো কভারেজ দেয়া হচ্ছে। এদিকে কমিউনিটিতে এমনও মিডিয়া রয়েছে যার দৃষ্টিতে ‘কমিউনিটির খারাপ’ বলতে কিছু নেই। ঐ মিডিয়ার কাছে ভালো কিছু যেমন ভালো, তেমনী খারাপও ভালো। বিষয়গুলো অবশ্যই ভাববার অবকাশ রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস পত্রিকায় একাধিক খবর চোখে পড়লো। যাতে গত সপ্তাহে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পরিচয়-এর খবর হবহু ‘বাংলা টাইমস রিপোর্ট’ দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা ‘ইউএনএ’র এমনি একাধিক খবর নিজস্ব রিপোর্ট হিসেবে সাপ্তাহিক দেশবাংলা বা বাংলা টাইমস ছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের নিজস্ব রিপোর্ট হিসেবে প্রকাশিত হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন ইউএনএ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ। উইকেন্ডে প্রকাশিত কমিউনিটির দু’টি পত্রিকায় নাকি একজন করে টাইপিষ্ট রাখা হয়েছে, যার কাজ সোমবার ও বুধবার প্রকাশিত দুটি পত্রিকা হাতে নিয়ে কমিউনিটির নিউজগুলো কম্পোজ করা। ফলে অনেক সময় সংশ্লিষ্ট পত্রিকার নীতি বহির্ভূত খবরও মাঝে-মধ্যে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। যা যথাযথভাবে সম্পাদনাও করা হয়না। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই পত্রিকাগুলোতে সাংবাদিকের পরিবর্তে বিজ্ঞাপন কালেক্টরের সাংখ্যাই বেশী। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা যেমন প্রশ্নের মুখোমুখী হচ্ছে, তেমনী খারাপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে মিডিয়ার প্রতি। আমরা চাই পেশাদারিত্বপূর্ণ স্বকীয় সাংবাদিকতা, সংবাদপত্র। অন্যের নিউজ নিজের নামে নয়। ০৮ মে’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার নিয়ে নানা কথা

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০১৫

নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটির অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার বিষয়ে কমিউনটিতে নানা কথা হচ্ছে। কেন মিডিয়া পার্টনার- এ নিয়ে যেমন কমিউনিটির সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে। মিডিয়া পার্টনার হওয়ার ‘যোগ্যতা’ কি তা নিয়েও কথা হচ্ছে। কমিউনিটির অনুষ্ঠানাদি বিশেষ করে পথমেলা থেকে শুরু করে পিঠা উৎসব, বাংলা বর্ষবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদিতে মিডিয়া পার্টনার দেখা যাচ্ছে। সেই সাথে তথাকথিত ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ নামক অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারেও মিডিয়া পার্টনার দেখা যাচ্ছে। অথচ এই ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ নামক অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ব্যক্তি একজন ‘সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী’। কয়েক বছর আগে নিউইয়র্কের সাবওয়েতে তরুনীর নিতম্বে হাত দিয়ে ‘যৌন হয়রানী’ করার অভিযোগ এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর সাজা ভোগ করেছেন। মজার বিষয় হচ্ছে ঐ ব্যক্তির যৌহ হয়রানীর সচিত্র খবর সাপ্তাহিক ঠিকানা সহ আরো কয়েকটি পত্রিকা ফলাও করে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছিলো। কিন্তু আশ্চর্য্যরে ব্যাপার হলো এর পরে অগ্যাত কারণে সেই সাপ্তাহিক ঠিকানা’ই আবার সেই ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার হয়েছে! যা কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
নিউইয়র্কে বাংলা ভাষা, বাংলা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে প্রবাসের যে কয়টি সংগঠন সুনামের সাথে কাজ করছে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস (বিপা) অন্যতম। গত সপ্তাহে বিপার সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনটির আগামী বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মিডিয়া পার্টনার ছাড়াও অন্যান্য সংগঠনের মিডিয়া পার্টনারের বিষয়টিও উঠে আসে। গত সপ্তাহের সাপ্তাহিক পরিচয়-এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অনুষ্ঠানগুলোতে ‘মিডিয়া পার্টনার’-এর বিষয়ে কমিউনিটিতে নতুন করে আলোচনা উঠে এসেছে। মিডিয়ার কাজ বস্তুনিষ্ঠ, জনকল্যাণমূলক তথ্যাদি পাঠক আর দর্শক-শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরা। কোন অপসংস্কৃতি বা অপরাধীকে পৃষ্ঠপোষকতা করা নয়। কিন্তু দূর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, আমাদের এই কমিউনিটিতে কোন বাছ-বিচার না করেই কোন কোন মিডিয়া ‘সচেতনভাবেই’ এমন কাজ করছে। আর এসব কর্মকান্ডের ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কোন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের ‘অনৈতিক’ কর্মকান্ড ধামাচাপা দিতেই মিডিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃ হচ্ছে। আবার এজন্য একটি নয়, একাধিক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে ‘পার্টনার’ হিসেবে মনোনীত করে সকল কর্মকান্ডের প্রচারনার সুযোগ নেয়া হচ্ছে বলেও কমিউনিটিতে রব উঠেছে। মিডিয়ার এই ভূমিকা কমিউনিটিতে অপরাধজনিত কর্মকান্ড বিস্তারে এবং অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে বিরাট ভূমিকা রাখছে বলে কমিউনিটির সচেতন মহলের ধারণা। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের দিকে তাকিয়ে গুটি কয়েক মিডিয়ার কমিউনিটির কতিপয় ব্যক্তিবর্গের অপরাধজনিত কর্মকান্ড ও অপসংস্কৃতি বিস্তারে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা কার্যত বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আর সঙ্গত কারণেই কোন অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনাগুলো পত্রিকা বা টিভিগুলোতে ঐ অনুষ্ঠানের ভালো কভারেজ দেয়া হচ্ছে। এদিকে কমিউনিটিতে এমনও মিডিয়া রয়েছে যার দৃষ্টিতে ‘কমিউনিটির খারাপ’ বলতে কিছু নেই। ঐ মিডিয়ার কাছে ভালো কিছু যেমন ভালো, তেমনী খারাপও ভালো। বিষয়গুলো অবশ্যই ভাববার অবকাশ রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস পত্রিকায় একাধিক খবর চোখে পড়লো। যাতে গত সপ্তাহে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পরিচয়-এর খবর হবহু ‘বাংলা টাইমস রিপোর্ট’ দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা ‘ইউএনএ’র এমনি একাধিক খবর নিজস্ব রিপোর্ট হিসেবে সাপ্তাহিক দেশবাংলা বা বাংলা টাইমস ছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের নিজস্ব রিপোর্ট হিসেবে প্রকাশিত হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন ইউএনএ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ। উইকেন্ডে প্রকাশিত কমিউনিটির দু’টি পত্রিকায় নাকি একজন করে টাইপিষ্ট রাখা হয়েছে, যার কাজ সোমবার ও বুধবার প্রকাশিত দুটি পত্রিকা হাতে নিয়ে কমিউনিটির নিউজগুলো কম্পোজ করা। ফলে অনেক সময় সংশ্লিষ্ট পত্রিকার নীতি বহির্ভূত খবরও মাঝে-মধ্যে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। যা যথাযথভাবে সম্পাদনাও করা হয়না। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই পত্রিকাগুলোতে সাংবাদিকের পরিবর্তে বিজ্ঞাপন কালেক্টরের সাংখ্যাই বেশী। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা যেমন প্রশ্নের মুখোমুখী হচ্ছে, তেমনী খারাপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে মিডিয়ার প্রতি। আমরা চাই পেশাদারিত্বপূর্ণ স্বকীয় সাংবাদিকতা, সংবাদপত্র। অন্যের নিউজ নিজের নামে নয়। ০৮ মে’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)