নিউইয়র্ক ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জামাত মুখপত্রের দফতরে ভাঙচুর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৯০ বার পঠিত

ছবি: প্রতীকী চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: ঢাকার ‘মিরপুরের কসাই’ নামে পরিচিত রাজাকার শিরোমণি কাদের মোল্লার ফাঁসির বদলে কারাদন্ড হওয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। একটাই স্লোগান ছিল- ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই!’ আপিল আদালত সেই রায় বদলে ফাঁসির রায় দেওয়ার পরে ২০১৩-র ১২ ডিসেম্বর তা কার্যকর করা হয়। সেই কাদের মোল্লাকে ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জামাতে ইসলামির মুখপত্র ‘দৈনিক সংগ্রাম’-এর প্রথম পাতায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। শুক্রবার সারাদিন তা নিয়ে বিক্ষোভের পরে রাতে পত্রিকাটির দফতর ঘেরাও করেন এক দল মানুষ। এই কর্মসূচির মধ্যেই আওয়ামি লিগ ও বামপন্থী দলগুলির কর্মীরা পত্রিকাটির দফতরে ঢুকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। অন্য কর্মীরা পালিয়ে গেলেও সম্পাদক আবুল আসাদকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পুলিশ জামাতের মুখপত্র ও তার সম্পাদক আসাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। আসাদকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে, জামাতে ইসলামি ও তাদের শাখা ছাত্র শিবিরের দফতর হিসেবে কাজ চালাচ্ছে এই পত্রিকা অফিস। অবিলম্বে তাদের নিবন্ধীকরণ বাতিলের জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। (আনন্দবাজার পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

জামাত মুখপত্রের দফতরে ভাঙচুর

প্রকাশের সময় : ০১:২৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

ছবি: প্রতীকী চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: ঢাকার ‘মিরপুরের কসাই’ নামে পরিচিত রাজাকার শিরোমণি কাদের মোল্লার ফাঁসির বদলে কারাদন্ড হওয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। একটাই স্লোগান ছিল- ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই!’ আপিল আদালত সেই রায় বদলে ফাঁসির রায় দেওয়ার পরে ২০১৩-র ১২ ডিসেম্বর তা কার্যকর করা হয়। সেই কাদের মোল্লাকে ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জামাতে ইসলামির মুখপত্র ‘দৈনিক সংগ্রাম’-এর প্রথম পাতায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। শুক্রবার সারাদিন তা নিয়ে বিক্ষোভের পরে রাতে পত্রিকাটির দফতর ঘেরাও করেন এক দল মানুষ। এই কর্মসূচির মধ্যেই আওয়ামি লিগ ও বামপন্থী দলগুলির কর্মীরা পত্রিকাটির দফতরে ঢুকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। অন্য কর্মীরা পালিয়ে গেলেও সম্পাদক আবুল আসাদকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পুলিশ জামাতের মুখপত্র ও তার সম্পাদক আসাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। আসাদকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে, জামাতে ইসলামি ও তাদের শাখা ছাত্র শিবিরের দফতর হিসেবে কাজ চালাচ্ছে এই পত্রিকা অফিস। অবিলম্বে তাদের নিবন্ধীকরণ বাতিলের জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। (আনন্দবাজার পত্রিকা)