নিউইয়র্ক ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরাইলি সেনার গুলিতেই মারা যান শিরীন: জাতিসংঘের তদন্ত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
  • / ৫৫ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহ ইসরাইলি সেনার গুলিতেই নিহত হয়েছিলেন বলে মনে করছে জাতিসংঘ। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংস্থাটি যেসব তথ্য পেয়েছে, তার ভিত্তিতে চালানো অনুসন্ধানের পর এমন সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে তারা। গত ১১ই মে ফিলিস্তিনের শহর জেনিনে ইসরাইলি অভিযানের খবর সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শিরীন। আল-জাজিরা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে দায়ি করে।
এ নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ওএইচসিএইচআর’র মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি বলেন, আমরা যত তথ্য পেয়েছি তাতে বুঝা যাচ্ছে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতেই শিরীন নিহত হয়েছেন এবং তার এক সহকর্মী আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের গুলির যে দাবি উঠেছিল সেটিকেও নাকচ করে দেন তিনি। শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের কাছে রবিনা আরও বলেন, ওএইচসিএইচআর-এর তদন্তে দেখা গেছে ওই গুলির সময় আশেপাশে কোথাও ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারীরা ছিলই না।
১১মে শিরীনের হত্যাকাণ্ডের পর ফিলিস্তিনসহ সমগ্র বিশ্ব থেকেই এর নিন্দা জানানো হয়। তার মরদেহ চার্চে নিয়ে যাওয়ার পথেও ইসরাইলি সেনারা বাধা দিয়েছিল। তারা এমনভাবে মরদেহ বহনকারীদের পেটাচ্ছিল যে, একটুর জন্য কফিন মাটিতে পড়ে যায়নি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজস্ব তদন্তের পর জানিয়েছিল, ইসরাইলি সেনার গুলিতেই শিরীনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইল প্রথমে যৌথ তদন্তের প্রস্তাব দিলেও পরে নিজেই আলাদা তদন্ত শুরু করেছে।
তবে অভিযোগ রয়েছে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তার মৃত্যু নিয়ে দোষারোপের খেলা খেলছে ইসরাইল। এর আগে প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের তদন্তেও ইসরাইলের দোষই প্রমাণিত হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের তদন্তে উঠে আসে, একজন ইসরাইলি সেনার হাতেই ‘সম্ভবত’ আল-জাজিরার সাংবাদিক আবু আকলেহ নিহত হয়েছেন। জেনিনে যখন আবু আকলেহ যখন নিহত হন, তখন সেখানে সশস্ত্র কোনো ফিলিস্তিনি ছিল না। ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, সাক্ষ্য এবং আবু আকলেহ নিহত হওয়ার সময় গুলি চালানোর ‘ধ্বনিমূলক বিশ্লেষণের’ ওপর নির্ভর করে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। বিশেষজ্ঞদেও দাবি মতে, শিরীনের মাথা থেকে যে বুলেটটি বের করা হয়েছিল সেটি মূলত বর্ম ছিদ্র করার জন্য ডিজাইন করা। এম-৪ এসল্ট রাইফেলে এই গুলি ব্যবহৃত হয়। বুলেটটি যুক্তরাষ্ট্রে ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এ ধরনের অস্ত্র ও গুলি মূলত ইসরাইলি সেনারাই ব্যবহার কওে থাকে।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরাইলি সেনার গুলিতেই মারা যান শিরীন: জাতিসংঘের তদন্ত

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহ ইসরাইলি সেনার গুলিতেই নিহত হয়েছিলেন বলে মনে করছে জাতিসংঘ। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংস্থাটি যেসব তথ্য পেয়েছে, তার ভিত্তিতে চালানো অনুসন্ধানের পর এমন সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে তারা। গত ১১ই মে ফিলিস্তিনের শহর জেনিনে ইসরাইলি অভিযানের খবর সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শিরীন। আল-জাজিরা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে দায়ি করে।
এ নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ওএইচসিএইচআর’র মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি বলেন, আমরা যত তথ্য পেয়েছি তাতে বুঝা যাচ্ছে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতেই শিরীন নিহত হয়েছেন এবং তার এক সহকর্মী আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের গুলির যে দাবি উঠেছিল সেটিকেও নাকচ করে দেন তিনি। শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের কাছে রবিনা আরও বলেন, ওএইচসিএইচআর-এর তদন্তে দেখা গেছে ওই গুলির সময় আশেপাশে কোথাও ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারীরা ছিলই না।
১১মে শিরীনের হত্যাকাণ্ডের পর ফিলিস্তিনসহ সমগ্র বিশ্ব থেকেই এর নিন্দা জানানো হয়। তার মরদেহ চার্চে নিয়ে যাওয়ার পথেও ইসরাইলি সেনারা বাধা দিয়েছিল। তারা এমনভাবে মরদেহ বহনকারীদের পেটাচ্ছিল যে, একটুর জন্য কফিন মাটিতে পড়ে যায়নি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজস্ব তদন্তের পর জানিয়েছিল, ইসরাইলি সেনার গুলিতেই শিরীনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইল প্রথমে যৌথ তদন্তের প্রস্তাব দিলেও পরে নিজেই আলাদা তদন্ত শুরু করেছে।
তবে অভিযোগ রয়েছে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তার মৃত্যু নিয়ে দোষারোপের খেলা খেলছে ইসরাইল। এর আগে প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের তদন্তেও ইসরাইলের দোষই প্রমাণিত হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের তদন্তে উঠে আসে, একজন ইসরাইলি সেনার হাতেই ‘সম্ভবত’ আল-জাজিরার সাংবাদিক আবু আকলেহ নিহত হয়েছেন। জেনিনে যখন আবু আকলেহ যখন নিহত হন, তখন সেখানে সশস্ত্র কোনো ফিলিস্তিনি ছিল না। ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, সাক্ষ্য এবং আবু আকলেহ নিহত হওয়ার সময় গুলি চালানোর ‘ধ্বনিমূলক বিশ্লেষণের’ ওপর নির্ভর করে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। বিশেষজ্ঞদেও দাবি মতে, শিরীনের মাথা থেকে যে বুলেটটি বের করা হয়েছিল সেটি মূলত বর্ম ছিদ্র করার জন্য ডিজাইন করা। এম-৪ এসল্ট রাইফেলে এই গুলি ব্যবহৃত হয়। বুলেটটি যুক্তরাষ্ট্রে ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এ ধরনের অস্ত্র ও গুলি মূলত ইসরাইলি সেনারাই ব্যবহার কওে থাকে।
হককথা/এমউএ