নিউইয়র্ক ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪৮ বার পঠিত

শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। নতুন এক ইতিহাস রচিত হয়েছে। এ ইতিহাসের সাক্ষী দেশের সব শাখার মানুষ। এ আন্দোলনে অনেক শোবিজ তারকাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন। অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, নির্মাতাসহ এ অঙ্গনের তারকারা আশা করছেন নতুন এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। এ বিষয়ে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, সন্তানদের মেধা বাংলাদেশের সেরা সম্পদ। এই দেশ পরিচালিত হতে হবে মেধাবী দেশপ্রেমিকদের মাধ্যমে। স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয় দেখেছে বাংলাদেশ। মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে।

রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে বেরিয়ে, সকল বিভক্তি কাটিয়ে জাতিকে হতে হবে ঐক্যবদ্ধ। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতিই পারে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। বিশ্বাস ছিল এই তারুণ্যই একদিন সমস্ত অচলায়তন ভেঙে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়বে। তোমাদের অভিনন্দন জানাই একজন গর্বিত বাবা হিসেবে। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ বলেন, ছাত্ররা এক অভূতপূর্ব আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছে। নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি আমরা। এখন আমাদের অনেক দায়িত্ব। প্রতিটি ধর্মাবলম্বী মানুষ আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই বাংলাদেশ সবার। এদেশের কারও বাসায় আগুন দেয়া যাবে না। যারা এসব করছে, তারা নিঃসন্দেহে দুর্বৃত্ত। তাদের প্রতিহত করতে হবে। প্রতিহিংসামূলক আচরণ থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে নিজেদের। গণমাধ্যমগুলোর অফিসে আক্রমণ করবেন না, সবাই সবার লিমিটেশন মাথায় রেখে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কোনো ভাস্কর্য ভাঙবেন না। আমাদের আরও সভ্য হতে হবে, উদার হতে হবে, মানবিক হতে হবে। দেশের সম্পদ রক্ষা করতে হবে। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমাদের জয় এসেছে। এখন সময় এগিয়ে যাওয়ার।
তবে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আমরা স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু বর্তমান সহিংসতা নিন্দনীয়। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, এখন দ্রুত সরকার গঠন জরুরি। এবং পুলিশ বাহিনীকে (কিছু অপরাধী অফিসার বাদে) কনফিডেন্স দেন, তাদেরকে কাজে নামান দ্রুত। তারা আমাদেরই বাহিনী। মিলিটারি ভাইয়েরা, সার্বিক নিরাপত্তার দিকে নজর রাখেন। দেশটা দ্রুত স্বাভাবিক করার দিকে এগিয়ে যাই- চলেন। নষ্ট করার মতো এক সেকেন্ডও নাই। নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ বলেন, ১১ লাখ কোটি টাকার বেশি লোপাট করে, দেশের বাইরে পাচার করে, দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে ফোকলা করে গেছে ইতরের দল। বান্নাহ বলেন, এই দেশটাকে গড়তে সময় লাগবে। খুব কঠিন। আল্লাহ্‌ সহায় হোন এই দেশবাসীর। তবে ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে শিক্ষার্থীরা, সংসদ ভবনসহ পুরো দেশ পরিষ্কারের দায়িত্ব নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দেশের প্রতিটি মন্দির দেখার দায়িত্ব নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের স্যালুট। এই দেশ আর পথ হারাবে না ইনশাআল্লাহ্‌। দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা বলেন, স্বাধীনতা মানে দায়িত্বশীলতা। নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়। ন্যায়বিচার ও সাম্যের দেশ গড়া। আমাদের সন্তানদের, ছাত্রদের ত্যাগের কথা যেন ভুলে না যাই। তবে এতদিনের আন্দোলন আর রক্তের বিনিময়ে আমরা ধ্বংসযজ্ঞ, সহিংসতা চাই না। তবে যারা নাগরিকদের সম্পদ ও শিল্প ধ্বংস করছে, যারা মানুষের (সে যেকোনো ধর্ম, বর্ণ, পেশার মানুষই হোক না কেন) ওপর সহিংসতা করছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম বলেন, এটা নতুন এক বাংলাদেশ। একজন শিল্পী হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সংস্কারের সময় এসেছে। আর চলচ্চিত্রের অনুদান যেন হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে। সূত্র: মানবজমিন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন

প্রকাশের সময় : ০১:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। নতুন এক ইতিহাস রচিত হয়েছে। এ ইতিহাসের সাক্ষী দেশের সব শাখার মানুষ। এ আন্দোলনে অনেক শোবিজ তারকাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন। অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, নির্মাতাসহ এ অঙ্গনের তারকারা আশা করছেন নতুন এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। এ বিষয়ে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, সন্তানদের মেধা বাংলাদেশের সেরা সম্পদ। এই দেশ পরিচালিত হতে হবে মেধাবী দেশপ্রেমিকদের মাধ্যমে। স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয় দেখেছে বাংলাদেশ। মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে।

রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে বেরিয়ে, সকল বিভক্তি কাটিয়ে জাতিকে হতে হবে ঐক্যবদ্ধ। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতিই পারে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। বিশ্বাস ছিল এই তারুণ্যই একদিন সমস্ত অচলায়তন ভেঙে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়বে। তোমাদের অভিনন্দন জানাই একজন গর্বিত বাবা হিসেবে। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ বলেন, ছাত্ররা এক অভূতপূর্ব আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছে। নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি আমরা। এখন আমাদের অনেক দায়িত্ব। প্রতিটি ধর্মাবলম্বী মানুষ আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই বাংলাদেশ সবার। এদেশের কারও বাসায় আগুন দেয়া যাবে না। যারা এসব করছে, তারা নিঃসন্দেহে দুর্বৃত্ত। তাদের প্রতিহত করতে হবে। প্রতিহিংসামূলক আচরণ থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে নিজেদের। গণমাধ্যমগুলোর অফিসে আক্রমণ করবেন না, সবাই সবার লিমিটেশন মাথায় রেখে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কোনো ভাস্কর্য ভাঙবেন না। আমাদের আরও সভ্য হতে হবে, উদার হতে হবে, মানবিক হতে হবে। দেশের সম্পদ রক্ষা করতে হবে। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমাদের জয় এসেছে। এখন সময় এগিয়ে যাওয়ার।
তবে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আমরা স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু বর্তমান সহিংসতা নিন্দনীয়। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, এখন দ্রুত সরকার গঠন জরুরি। এবং পুলিশ বাহিনীকে (কিছু অপরাধী অফিসার বাদে) কনফিডেন্স দেন, তাদেরকে কাজে নামান দ্রুত। তারা আমাদেরই বাহিনী। মিলিটারি ভাইয়েরা, সার্বিক নিরাপত্তার দিকে নজর রাখেন। দেশটা দ্রুত স্বাভাবিক করার দিকে এগিয়ে যাই- চলেন। নষ্ট করার মতো এক সেকেন্ডও নাই। নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ বলেন, ১১ লাখ কোটি টাকার বেশি লোপাট করে, দেশের বাইরে পাচার করে, দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে ফোকলা করে গেছে ইতরের দল। বান্নাহ বলেন, এই দেশটাকে গড়তে সময় লাগবে। খুব কঠিন। আল্লাহ্‌ সহায় হোন এই দেশবাসীর। তবে ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে শিক্ষার্থীরা, সংসদ ভবনসহ পুরো দেশ পরিষ্কারের দায়িত্ব নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দেশের প্রতিটি মন্দির দেখার দায়িত্ব নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের স্যালুট। এই দেশ আর পথ হারাবে না ইনশাআল্লাহ্‌। দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা বলেন, স্বাধীনতা মানে দায়িত্বশীলতা। নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়। ন্যায়বিচার ও সাম্যের দেশ গড়া। আমাদের সন্তানদের, ছাত্রদের ত্যাগের কথা যেন ভুলে না যাই। তবে এতদিনের আন্দোলন আর রক্তের বিনিময়ে আমরা ধ্বংসযজ্ঞ, সহিংসতা চাই না। তবে যারা নাগরিকদের সম্পদ ও শিল্প ধ্বংস করছে, যারা মানুষের (সে যেকোনো ধর্ম, বর্ণ, পেশার মানুষই হোক না কেন) ওপর সহিংসতা করছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম বলেন, এটা নতুন এক বাংলাদেশ। একজন শিল্পী হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সংস্কারের সময় এসেছে। আর চলচ্চিত্রের অনুদান যেন হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে। সূত্র: মানবজমিন।