কেউ করলেন সাবধান, কেউ চাইলেন বিচার!
- প্রকাশের সময় : ০৫:১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
- / ১১৪ বার পঠিত
রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ গেছে অন্তত ৪৬ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন। সময়ের সাথে সাথে বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা! এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকাহত দেশের মানুষ। নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে বিমর্ষ চারপাশ! ঘটনার শোক স্পর্শ করছে দেশের শোবিজ অঙ্গনের মানুষদেরও! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা জানিয়েছেন অনুভূতি। কেউ করেছেন সাবধান, আবার কেউ সুষ্ঠু তদন্ত করে দাবি করেছেন বিচারের!
বিজরী বরকতউল্লা
‘আহা, বেইলি রোড! ছোটবেলা, স্কুল-কলেজের কত স্মৃতি! এই তো সেদিনও গেলাম খেতে। কি অদ্ভুত অনিশ্চিত জীবন। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যাক্তিদের রূহের মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ, স্বজনদের শোক বইবার শক্তি দাও।’
শাকিব খান
‘কিছুদিন পরপর অগ্নিকাণ্ডের এতো এতো তরতাজা প্রাণ অকালে চলে যাওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি কোনোভাবে কাম্য নয়। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। আর জীবেনের ঝুঁকি নিয়ে যারা সবসময় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা মোকাবিলা করে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেইসব ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জানাই স্যালুন!’
অপু বিশ্বাস
‘বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এই ধরনের মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক ঘটনার যেনো আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুক।’
চঞ্চল চৌধুরী
‘হায় রে বেইলি রোড। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমরা আরণ্যক পরিবার শোকাহত।’
শবনম বুবলী
‘বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি! মহান আল্লাহপাক ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সবাইকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দান করুন!’
রওনক হাসান
‘যে সড়কটা একদিন শিল্প ও শিল্পীর পদচারণায় মুখরিত ছিলো। সেখানে তাদের হটিয়ে খাদ্য আর খাদকের ভাগাড়ে পরিণত করলে এই হয় পরিণতি! রেস্ট ইন পিস প্রিয় বেইলী রোড!
বিদ্যা সিনহা মিম
এমন ২৯ ফেব্রুয়ারি আর কখনো কারো জীবনে না আসুক। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা মারা গেছেন তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
জায়েদ খান
‘এতগুলো নিরীহ প্রাণ বিসর্জন হলো অগ্নিকাণ্ডে! দুঃখ প্রকাশের ভাষা নেই। আমাদের আরও সাবধানতা প্রয়োজন, বিশেষ করে সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে।’
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব
‘বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতদের প্রতি সমবেদনা। মহান আল্লাহ সবার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দিন।’
তৌসিফ মাহবুব
‘ঝলমলে বেইলি রোড এখন পোড়া বাড়ি! ভিডিও দেখে যতটুকু বুঝলাম, আগুনের সূত্রপাত নিচতলা থেকে, কাচ্চি ভাই থেকে নয়।’
নাদিয়া আহমেদ
‘আহা বেইলি রোড! দুর্ঘটনায় মৃত ব্যাক্তিদের রূহের মাগফেরাত কামনা করি। স্বজনদের শোক বইবার শক্তি দাও আল্লাহ।’
নিপুন আক্তার
‘আল্লাহ তুমি তোমার সব বান্দাদের হেফাজতে রেখো!’
চয়নিকা চৌধুরী
‘একি শুনলাম! হায়রে বেইলি রোড! অনেক প্রার্থনা! এমন দুর্ঘটনা কারো জীবনে যেন না আসে। মূহুর্তের ভিতর বেইলি রোডের আগুনে হারিয়ে গেলো প্রায় অর্ধশত মানুষ। বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন যারা, প্রার্থনা তাদের জন্য। আর যারা নেই, কী আর লিখব, বলবো! প্রার্থনা আর সমবেদনা।’
সাইমন সাদিক
৪৬ জন মানুষের মৃত্যু আপনার কাছে খুব অল্প মনে হচ্ছে? একবার ভাবুন তো এই ৪৬ জনের সাথে কতশত হাজার জনের সখ্যতা,ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো! ভাবুন। আসুন সাবধান হই, বিবেকবান হই, সৎ হই, মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি!
মহান আল্লাহ সবাই কে হেফাজত করুন।।।
কোনাল
আমি বাকরুদ্ধ। বেইলি রোডের এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের আত্মা ও তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।
শরাফ আহমেদ জীবন
‘আহা! বেইলি রোড!…দায়িত্বহীনতার বিচার হোক।’
আশনা হাবিব ভাবনা
‘এই ৪৬ জন কারও মেয়ে, কারও বাবা, কারও মা, কারও ছেলে, কারও ভাই, কারও বোন, কারও ভালোবাসার মানুষ, কারও প্রাণের বন্ধু, কারও একমাত্র মনের মানুষ, কারও একমাত্র আশ্রয়ের জায়গা, আজ ঢাকার বাতাসে পোড়া গন্ধ। আহারে! জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে ফারাক কতটুকু?’ সূত্র : যুগান্তর
হককথা/নাছরিন