শত শিশুর সঙ্গে গাইবেন রুনা লায়লা
- প্রকাশের সময় : ০১:২০:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
- / ৪৯ বার পঠিত
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা এবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন একটি দলীয় সংগীতে। সেই সংগীতে তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলাবে ১০০ শিশু। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় শিশুদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
গানটির শিরোনাম ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। গানটি লিখেছেন শিশুসাহিত্যিক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন আশরাফ বাবু। গেলো ২৩ মার্চ দুপুরে রাজধানীর বনশ্রীতে সংগীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবুর স্টুডিও পাশের ঘরে গানটির রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
রেকর্ডিং শেষে রুনা লায়লা বলেন, শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। আমি সব সময় শিশুদের অনুপ্রেরণা দিতে চাই, যেন তারা বড় হয়ে যে যা হতে চায়, যেন তাই হতে পারে। বাংলাদেশ বাংলাদেশ শিরোনামে যে গানটি গাইলাম এটি বেশ শ্রুতিমধুর হয়েছে। শিশুদের সঙ্গে আনন্দ নিয়ে গেয়েছি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে দেশের গান করা আমার জন্য সত্যিই ভীষণ ভালো লাগার। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রতি।
আনজীর লিটন বলেন, রুনা লায়লা আপা উপমহাদেশের গর্ব। তিনি আমাদের শিশুদের জন্য গান করেছেন, তাও আবার আমার লেখা গান করেছেন, এটা যে আমার জন্য কত বড় প্রাপ্তি তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশের নয়। আমি রুনা আপার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
রুনা লায়লা একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত। তিনি বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনীয়, ফরাসি, লাতিন ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন।
সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন রুনা লায়লা। পেয়েছেন রেকর্ড সাত বার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। ১৯৭৬ সালে ‘দি রেইন’, ১৯৭৭ সালে ‘যাদুর বাঁশি’, ১৯৮৯ সালে ‘অ্যাক্সিডেন্ট’, ১৯৯৮ সালে ‘অন্তরে অন্তরে’, ২০১২ সালে ‘তুমি আসবে বলে’, ২০১৩ সালে ‘দেবদাস’ এবং ২০১৪ সালে ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ ছবিগুলোর জন্য এ পুরস্কার লাভ করেন রুনা লায়লা।
২০১৬ সালে জিতেছেন জয়া আলোকিত নারী সম্মাননা। এছাড়াও ভারত থেকে লাভ করেছেন সায়গল পুরস্কার, সংগীত মহাসম্মান পুরস্কার, তুমি অনন্যা সম্মাননা এবং দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননা। অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে পেয়েছেন নিগার পুরস্কার, ক্রিটিক্স পুরস্কার, দুই বার গ্রাজ্যুয়েট পুরস্কার এবং জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক। সূত্র : একাত্তর টিভি।