নিউইয়র্ক ০৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অভিনেতা কে এস ফিরোজ আর নেই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৮৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের বরেণ্য অভিনেতা ও আবৃত্তিকার কে এস ফিরোজ। গত ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্ননিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে এই অভিনেতা স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গতকাল তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া হওয়ার কথা বলেছেন। এরপর ইনজেকশন দিলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থান তিনি মারা গেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন। বুধবার বাদ জোহর বনানী সামরিক কবরাস্থানে কে এস ফিরোজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানেই সেনাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বরিশালে জন্ম নেওয়া কে এস ফিরোজ ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি পান। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। কে এস ফিরোজের প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। আরও অভিনয় করেছেন ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’ প্রভৃতি ছবিতে।
এদিকে অভিনেতা কে এস ফিরোজ-এর মৃত্যুতে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত বলেন, ‘ফিরোজ ভাইকে ডাকলেই পাওয়া যেত। তিনি আর ‘ইত্যাদি’ করবেন না, মানতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি সত্যিকারের একজন গুণী মানুষ ছিলেন। শুটিংয়ে ৯টায় ডাকলে তিনি ১০ মিনিট আগে এসে বসে থাকতেন। কাজকে ভালোবেসেছে। সময়কে মূল্য দিয়েছেন। জীবন তাকে সাফল্য দিয়েছে।’
চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘গুণী অভিনেতা ও একজন ভালো মানুষ কে এস ফিরোজ ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি বলেন, ‘করোনায় চলে গেলেন আমাদের প্রিয় অভিভাবক, অভিনেতা শ্রদ্ধেয় কে এস ফিরোজ ভাই। সকালটা আটকে গেল খবরটা শোনার পর। কিছু বলবার ভাষা পাচ্ছি না! আপনার শান্তি কামনা করছি।’
অভিনেতা ফারুক আহমেদ লেখেন, ‘হঠাৎ করেই চলে গেলেন অভিনেতা কে এস ফিরোজ। এ কেমন চলে যাওয়া! তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
অভিনেত্রী তানভিন সুইটি বলেন, ‘করোনায় চলে গেলেন আমাদের প্রিয় অভিভাবক, অভিনেতা শ্রদ্ধেয় কে এস ফিরোজ আঙ্কেল। কয়েকদিন আগেও ফোনে কথা হলো, খবর নিলাম কেমন আছেন। কতো স্মৃতি আঙ্কেলের সঙ্গে, অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আমাকে ভীষণ পছন্দ করতেন, বলতেন তুমি সবসময় খবর নিও। আঙ্কেল অনেক দোয়া রইলো। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
অভিনেতা মীর সাব্বির লেখেন, ‘কে এস ফিরোজ অসম্ভব সুন্দর একজন মানুষ। দুর্দান্ত অভিনেতা। সাহসী একজন মানুষ। তার সঙ্গে আমার অনেক অনেক স্মৃতি। অনেক অনেক ভালো লাগার সময় কেটেছে আর স্নেহধন্য হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। আজ তিনি এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। মহান আল্লাহ পাকের কাছে আপনার জন্য প্রার্থনা করছি, আল্লাহ যেন আপনাকে বেহেস্তবাসী করেন। আমিন।’
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বাস করতেও খুব কষ্ট হচ্ছে, আমাদের প্রবীণ অভিনেতা, অগ্রজ কে এস ফিরোজ ভাই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আর দেখা হলো না আপনার সঙ্গে। আপনার জন্য চিরশান্তি কামনা করি গভীর শ্রদ্ধা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অভিনেতা কে এস ফিরোজ আর নেই

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

হককথা ডেস্ক: না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের বরেণ্য অভিনেতা ও আবৃত্তিকার কে এস ফিরোজ। গত ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্ননিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে এই অভিনেতা স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গতকাল তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া হওয়ার কথা বলেছেন। এরপর ইনজেকশন দিলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থান তিনি মারা গেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন। বুধবার বাদ জোহর বনানী সামরিক কবরাস্থানে কে এস ফিরোজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানেই সেনাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বরিশালে জন্ম নেওয়া কে এস ফিরোজ ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি পান। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। কে এস ফিরোজের প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। আরও অভিনয় করেছেন ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’ প্রভৃতি ছবিতে।
এদিকে অভিনেতা কে এস ফিরোজ-এর মৃত্যুতে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত বলেন, ‘ফিরোজ ভাইকে ডাকলেই পাওয়া যেত। তিনি আর ‘ইত্যাদি’ করবেন না, মানতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি সত্যিকারের একজন গুণী মানুষ ছিলেন। শুটিংয়ে ৯টায় ডাকলে তিনি ১০ মিনিট আগে এসে বসে থাকতেন। কাজকে ভালোবেসেছে। সময়কে মূল্য দিয়েছেন। জীবন তাকে সাফল্য দিয়েছে।’
চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘গুণী অভিনেতা ও একজন ভালো মানুষ কে এস ফিরোজ ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি বলেন, ‘করোনায় চলে গেলেন আমাদের প্রিয় অভিভাবক, অভিনেতা শ্রদ্ধেয় কে এস ফিরোজ ভাই। সকালটা আটকে গেল খবরটা শোনার পর। কিছু বলবার ভাষা পাচ্ছি না! আপনার শান্তি কামনা করছি।’
অভিনেতা ফারুক আহমেদ লেখেন, ‘হঠাৎ করেই চলে গেলেন অভিনেতা কে এস ফিরোজ। এ কেমন চলে যাওয়া! তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
অভিনেত্রী তানভিন সুইটি বলেন, ‘করোনায় চলে গেলেন আমাদের প্রিয় অভিভাবক, অভিনেতা শ্রদ্ধেয় কে এস ফিরোজ আঙ্কেল। কয়েকদিন আগেও ফোনে কথা হলো, খবর নিলাম কেমন আছেন। কতো স্মৃতি আঙ্কেলের সঙ্গে, অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আমাকে ভীষণ পছন্দ করতেন, বলতেন তুমি সবসময় খবর নিও। আঙ্কেল অনেক দোয়া রইলো। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
অভিনেতা মীর সাব্বির লেখেন, ‘কে এস ফিরোজ অসম্ভব সুন্দর একজন মানুষ। দুর্দান্ত অভিনেতা। সাহসী একজন মানুষ। তার সঙ্গে আমার অনেক অনেক স্মৃতি। অনেক অনেক ভালো লাগার সময় কেটেছে আর স্নেহধন্য হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। আজ তিনি এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। মহান আল্লাহ পাকের কাছে আপনার জন্য প্রার্থনা করছি, আল্লাহ যেন আপনাকে বেহেস্তবাসী করেন। আমিন।’
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বাস করতেও খুব কষ্ট হচ্ছে, আমাদের প্রবীণ অভিনেতা, অগ্রজ কে এস ফিরোজ ভাই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আর দেখা হলো না আপনার সঙ্গে। আপনার জন্য চিরশান্তি কামনা করি গভীর শ্রদ্ধা।