নিউইয়র্ক ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হাওরে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে সমালোচনার জবাবে যা বললেন মাহি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪২ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : স্বামী-সন্তানসহ ২২ জন মিলে সুনামগঞ্জের হাওরে ঘুরতে যান ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। গত ১৭ আগস্ট হাওরে গিয়ে দুই দিন এক রাত অবস্থান করেছেন তারা। হাওরে তাদের ঘুরতে যাওয়ার আগে হাওরের কোনো বোট ফ্রি ছিল না। তবে মাহির আবদারে তার স্বামী রাকিব সরকার সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণকে বিষয়টি জানালে সুনামগঞ্জের এই নেতা বোটের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বোটটি অন্যদের বুকিং করা ছিল। যা ক্যানসেল করে মাহিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার রাত ১০টার দিকে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মাহির পোস্ট থেকে এমনটাই জানা যায়।

অন্যের বুকিং ক্যানসেল করে বোট নিয়ে হাওরে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তারা সামাজিকমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েন। এ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন মাহি। তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জে স্মরণ ভাইয়ার একটি রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে আমরা খেতে খেতে তখন তিনি বলেছেন যে, এটির (বোট) তো বুকিং ছিল। পরে আমরা যে বোটে গেছি সেটা চেঞ্জ করে আরেকটা ম্যানেজ করে দিয়েছে তাদের (যারা বুকিং দিয়েছিলেন)।’

তিনি বলেন, ‘এটা তো জাস্ট শোনা কথা। কিন্তু আমার কাছে এটা অনেক বড় বিষয় লাগছে যে, আমাদের জন্য সে এতটা হেডেক নিয়েছে। একজনের বোট, ওইটা আবার আরেকটি বোট ম্যানেজ করে দিয়েছে। এই যে আমাদের জন্য তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে—বিষয়টি এভাবেই আমি এক্সপ্লেইন করেছি।’এ নায়িকা আরও বলেন, ‘একটা কৃতজ্ঞতাবোধ জানানোর জন্য পোস্টটি করা। কিন্তু এটা নিয়ে এত নেতিবাচকতা ছড়াবে মানুষ, তা আমি বুঝতে পারিনি। যারা নেতিবাচকভাবে নেয়, আমি চাই তারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করুক। আর যারা সবসময় নেতিবাচকভাবে চিন্তা করে তাদের নিয়ে তো কিছু বলার নেই।’

এদিকে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মাহির ক্যাপশন দেখে কটাক্ষ করতে বাদ রাখলেন না নেটিজেনরা। মন্তব্যের ঘরে ঝড় তুলেছে তারা। আবদুল্লাহ আল রায়হান নামের একজন লিখেছেন, ‘কি অদ্ভুত, ক্ষমতা দেখিয়ে অন্য জনের ট্রিপ ক্যানসেল করে দিলেন।’ তারেক পারভেজ নামে একজন লিখেছেন, ‘অন্যের অধিকার খর্ব করলেন আবার তা নির্লজ্জের মতো পোস্ট দিলেন। থু মারি আপনার ক্ষমতাকে।’এর আগে মাহি তার ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুক পোস্টে ক্যাপশনে লেখেন, ‘কোনো রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা হঠাৎ টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু হুট করে চাইলেই সেখানে বোট পাওয়া যায় না। ২০ তারিখের আগে কোনো বোট ফ্রি নেই।

আমিও নাছোড়বান্দা, জামাইকে বলছি ১৭ তারিখে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। জামাই দিশা না পেয়ে ফোন করলেন সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাইকে। তিনি অন্যজনের বুকিং ক্যানসেল করিয়ে ১৭ তারিখে আমাদের জন্য বোট রেডি করে দিলেন। বুঝতে পারলাম সুনামগঞ্জে তার বিশাল প্রভাব। ধন্যবাদ ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাই। আপনি ছাড়া এই ট্রিপ ক্যানসেল হয়ে যেত।’এ নায়িকা লেখেন, ‘ফারিশসহ আমরা ২২ জন ২ দিন ১ রাত হাওরে অনেক আনন্দ করেছি। সব দায়িত্ব স্মরণ ভাই অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন। ওহ, উনি কিন্তু ছাত্রলীগের জনপ্রিয় সং আমরা ছাত্রলীগেরই সেনা, নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা লিখেছেন এবং গেয়েছেন।’ সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হাওরে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে সমালোচনার জবাবে যা বললেন মাহি

প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : স্বামী-সন্তানসহ ২২ জন মিলে সুনামগঞ্জের হাওরে ঘুরতে যান ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। গত ১৭ আগস্ট হাওরে গিয়ে দুই দিন এক রাত অবস্থান করেছেন তারা। হাওরে তাদের ঘুরতে যাওয়ার আগে হাওরের কোনো বোট ফ্রি ছিল না। তবে মাহির আবদারে তার স্বামী রাকিব সরকার সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণকে বিষয়টি জানালে সুনামগঞ্জের এই নেতা বোটের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বোটটি অন্যদের বুকিং করা ছিল। যা ক্যানসেল করে মাহিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার রাত ১০টার দিকে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মাহির পোস্ট থেকে এমনটাই জানা যায়।

অন্যের বুকিং ক্যানসেল করে বোট নিয়ে হাওরে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তারা সামাজিকমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েন। এ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন মাহি। তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জে স্মরণ ভাইয়ার একটি রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে আমরা খেতে খেতে তখন তিনি বলেছেন যে, এটির (বোট) তো বুকিং ছিল। পরে আমরা যে বোটে গেছি সেটা চেঞ্জ করে আরেকটা ম্যানেজ করে দিয়েছে তাদের (যারা বুকিং দিয়েছিলেন)।’

তিনি বলেন, ‘এটা তো জাস্ট শোনা কথা। কিন্তু আমার কাছে এটা অনেক বড় বিষয় লাগছে যে, আমাদের জন্য সে এতটা হেডেক নিয়েছে। একজনের বোট, ওইটা আবার আরেকটি বোট ম্যানেজ করে দিয়েছে। এই যে আমাদের জন্য তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে—বিষয়টি এভাবেই আমি এক্সপ্লেইন করেছি।’এ নায়িকা আরও বলেন, ‘একটা কৃতজ্ঞতাবোধ জানানোর জন্য পোস্টটি করা। কিন্তু এটা নিয়ে এত নেতিবাচকতা ছড়াবে মানুষ, তা আমি বুঝতে পারিনি। যারা নেতিবাচকভাবে নেয়, আমি চাই তারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করুক। আর যারা সবসময় নেতিবাচকভাবে চিন্তা করে তাদের নিয়ে তো কিছু বলার নেই।’

এদিকে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মাহির ক্যাপশন দেখে কটাক্ষ করতে বাদ রাখলেন না নেটিজেনরা। মন্তব্যের ঘরে ঝড় তুলেছে তারা। আবদুল্লাহ আল রায়হান নামের একজন লিখেছেন, ‘কি অদ্ভুত, ক্ষমতা দেখিয়ে অন্য জনের ট্রিপ ক্যানসেল করে দিলেন।’ তারেক পারভেজ নামে একজন লিখেছেন, ‘অন্যের অধিকার খর্ব করলেন আবার তা নির্লজ্জের মতো পোস্ট দিলেন। থু মারি আপনার ক্ষমতাকে।’এর আগে মাহি তার ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুক পোস্টে ক্যাপশনে লেখেন, ‘কোনো রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা হঠাৎ টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু হুট করে চাইলেই সেখানে বোট পাওয়া যায় না। ২০ তারিখের আগে কোনো বোট ফ্রি নেই।

আমিও নাছোড়বান্দা, জামাইকে বলছি ১৭ তারিখে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। জামাই দিশা না পেয়ে ফোন করলেন সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাইকে। তিনি অন্যজনের বুকিং ক্যানসেল করিয়ে ১৭ তারিখে আমাদের জন্য বোট রেডি করে দিলেন। বুঝতে পারলাম সুনামগঞ্জে তার বিশাল প্রভাব। ধন্যবাদ ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাই। আপনি ছাড়া এই ট্রিপ ক্যানসেল হয়ে যেত।’এ নায়িকা লেখেন, ‘ফারিশসহ আমরা ২২ জন ২ দিন ১ রাত হাওরে অনেক আনন্দ করেছি। সব দায়িত্ব স্মরণ ভাই অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন। ওহ, উনি কিন্তু ছাত্রলীগের জনপ্রিয় সং আমরা ছাত্রলীগেরই সেনা, নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা লিখেছেন এবং গেয়েছেন।’ সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা