নিউইয়র্ক ০৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রং টাইমে রাইট ডিসিশন নিলে হবে না : শবনম বুবলী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৩৮ বার পঠিত

আয়নায় নিজের মুখ দেখছেন শবনম বুবলী

বিনোদন ডেস্ক : ২০২৩ সালে এসে গল্পের কোনও বিকল্প নেই ; এটা তার কথার কথা নয়, বুবলী সেটা পর্দাতেও ঝুলিয়েছেন। দেখিয়েছেন ফর্মুলা ছবিতে নায়কের অলংকার হয়ে থাকার বাইরেও নায়িকাদের অনেক কিছু করার আছে। যার অন্যতম নজির ‘টান’। যদিও এই প্রমাণটা করতে তাকে নামতে হয়েছে বড় পর্দার রাজ দরবার থেকে ওটিটি’র অন্দরমহলে। একই মাধ্যমে তিনি অভিনয়ে প্রশংসিত হয়েছেন ‘ফ্লোর নম্বর সাত’ দিয়েও। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতোই, যেখানে তিনি দেখিয়েছেন নায়িকাদের সত্যিকার জীবনের খানিক ঝলক।

ঠিক এই দিকটা তিনি এবার প্রেক্ষাগৃহেও তুলে ধরতে চান। বলতে চান, বাণিজ্যিক বা ফর্মুলা ছবি বলে আলাদা কিছু নেই। দিন শেষে সবই বাণিজ্যিক। তবে এই সময়ে এসে সেই বাণিজ্যের সংজ্ঞা বদলেছে খানিক। তার ভাষায়, ‘২০২৩ সালে এসে আসলে গল্প বা কনটেন্টের বিকল্প নেই। এখন আমাদেরকে নায়ক-নায়িকার চেয়ে গল্প বা চরিত্র নিয়ে ভাবতে হবে। আমি অন্তত তাই ভাবছি এখন। কারণ, সিনেমা বা ওটিটি- দুটোই প্রায় একই। দর্শকরা যেখানেই দেখুন, টিকিট কিন্তু কাটতে হচ্ছে। ফলে তাদের পয়সার নিরাপত্তা আমাকে দিতে হবে। তাই আমি মনে করি, এন্টারটেইনমেন্ট এবং ম্যাসেজ- দুই ধারার কাজই এখন সমান্তরাল হওয়া উচিত। অবশ্যই সেটা বাণিজ্যের পয়েন্ট অব ভিউতে।’

শবনম বুবলী

সম্ভবত তারই সম্মিলন ঘটাতে যাচ্ছেন এই ঈদে ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমাটির মাধ্যমে। তপু খানের পরিচালনায় বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার এই আলোচিত ছবিতে বুবলীর সঙ্গে আছেন যথারীতি শাকিব খান। ছবিটির পোস্টারও টিজার এরমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। ঢালিউডে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। যদিও পোস্টার আর টিজার দেখে অনুমান করা মুশকিল, সিনেমায় শাকিব খানের অলংকার হয়েও বুবলীর সাম্প্রতিক কনটেন্ট আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পারবেন। টিজারে ক্ষণিকের দৃশ্যে অনুমেয়, বুবলীর চেষ্টাটা রয়েছে নিজেকে বদলানোর। কারণ, নেত্রীর গেটআপে বুবলীর দেখা মিলেছে মিছিলে, বীরের বেশে।

‘লিডার’ টিজারে বুবলী

আলাপ করে আশার আভাসই মিললো বীর-মাতার কণ্ঠে। বললেন, ‘‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’ এমন একটা ছবি, যেখানে যেমন ফর্মুলা ছবির মতো নাচ, গান, ফাইট রয়েছে, তেমনি শিক্ষণীয় বা সমাজ বদলানোর বার্তাটাও আছে। সেটাই বলতে চাইছিলাম, এখন আসলে কনটেন্ট নিয়ে কাজ করার সময়। সে হিসেবে এই ছবিটি সময়ের সেরা ছবি হতে পারে। এখানে আমার চরিত্রটির অনেকগুলো লেয়ার রয়েছে। যা টিজারের মতো স্বল্প পরিসরে অনুমান করা কঠিন। তবে এটুকু বলছি, আমি এতে অভিনয় করার অনেক সুযোগ পেয়েছি। কতটুকু পেরেছি, সেটা দর্শকরা বলবেন।’’

ছবিটির নায়কের সঙ্গে গভীর বোঝাপড়া থাকলেও এর ব্যানার ও নির্মাতা একেবারেই নতুন ছিলো বুবলীর জন্য। এরমধ্যে এসেছে করোনা মহামারিও। ছবির একেবারে শেষ অংশের কাজের সময় হয়েছিল ব্যক্তিগত জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতও। মোট মিলিয়ে এই জার্নিটা কেমন ছিলো বুবলীর। জবাবে খানিকটা ডিপ্লোম্যাটিক, ‘আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা ভালো। ২০২০ সালে শুটিং শুরু করি। করোনার মধ্যে গ্যাপ হলো। তপু ভাই এজ আ ডিরেক্টর- প্রথম সিনেমা এটা। প্রথম থেকেই দেখেছি তিনি কনটেন্টের সঙ্গে কমপ্রোমাইজ করতে চাননি। চাইলে পারতেন, কিন্তু করেননি। এই দিকটাই আমার বেশি ভালো লেগেছে। তিনি অনেক গোছানো ডিরেক্টর। যে কোনও কিছু শিল্পীদের সঙ্গে শেয়ার করে সমাধানের পথ বের করেছেন। আর পরিশ্রমের কথা নাই বা বললাম। অন্যদিকে আরটিভির সাথেও এটা আমার প্রথম কাজ। অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।’

লিডার’ ছবির মহরতে বুবলী, তপু খান ও শাকিব খান

সময় দ্রুত ফুরাচ্ছে। মাত্র পোস্টার-টিজার এলো। হাতে সময় বড় জোর দুই সপ্তাহ। এরমধ্যে নীরবতায় আছেন ছবির মূল পাত্র শাকিব খান। হোয়াটস গোয়িং অন! অভিজ্ঞতা কী বলছে? জবাবে বুদ্ধিমতীর আলাপে এটুকু স্পষ্ট, এই সময়ে এসে কনটেন্টের প্রতি যেমন সবার মনোযোগ দিতে হবে, সমান পরিকল্পনা থাকা চাই সেটির প্রচারণাতেও।

বুবলীর ভাষায়, ‘ছবিটি নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতাদের মধ্যে নিশ্চয়ই প্রমোশনাল প্ল্যান আছে। সেভাবেই গড়াচ্ছে। যদিও সময় খুব কম আমাদের হাতে। কিন্তু আমি মনে করি এই সময়ে একটা সিনেমার প্রপার প্রমোশন খুবই জরুরি। এটা এমন একটা সময়, যখন রাইট টাইমে রাইট ডিসিশন নিতে হবে। রং টাইমে রাইট ডিসিশন নিলে হবে না। ফলে আমাদের সবাইকে ছবিটির প্রমোশনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এখন। সেই পরিকল্পনাই চলছে।’

কিন্তু সেই পরিকল্পনায় ‌‘লিডার’ দর্শকের ভূমিকায় কেন? এবার বেশ সচেতন নায়িকা। বললেন, ‘এটা ওনারও ছবি। এর পেছনে ওনার শ্রম ও ডেডিকেশন আছে। উনি নিশ্চয়ই প্রচারণায় থাকবেন। ছবিটি যে ঈদে আসছে সেই ঘোষণাও তিনি দিয়েছিলেন। তাছাড়া প্রমোশনের ব্যাপারে আমি আমার অংশটুকু বলতে পারবো। ওনার বিষয়টা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’

গবেষণায় জানা গেছে, বুবলী নয় শাকিব খানের দূরত্ব রয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বরাবর। সেজন্যই আপাতত নীরব শাকিব। তবে সেটির সুরাহা হয়ে যাবে দ্রুতই। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এটাই কি শাকিব-বুবলী অধ্যায়ের শেষ ছবি? দুজনার পর্দা রসায়ন কি তবে আটকে যাচ্ছে পুত্রের জন্মদিনের পার্টিতে! কারণ, এরপর তারা আলাদা আলাদা ডজন খানেক ছবির নাম মুখে নিলেও কোথাও নেই একসঙ্গে তারা।

সম্প্রতি বীরের জন্মদিনের পার্টিতে শাকিব-বুবলী হাসিমুখে

বুবলী বলেন, ‘এক ডজন ছবি করেছি আমরা। যার সব ক’টিই সফল। হুম, আপাতত আমাদের একসঙ্গে কোনও ছবি নেই। তবে দর্শকরা চাইলে হবে। আমরা দুজনেই প্রফেশনাল অভিনেতা। গল্পে ডিমান্ড করলে, নির্মাতা বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চাইলে, কেন করবো না? ফলে এখনই সম্ভাবনা মাটি করার সুযোগ নেই। আপাতত আমরা এই (লিডার) ছবিটাতে মন বসাতে চাই।’শুরুতে কনটেন্টের প্রতি জোর দেওয়ার কথা বলছিলেন। যার নজিরও দিয়েছেন ওটিটিতে। আসছে ঈদে হয় তো প্রেক্ষাগৃহেও সেটির প্রতিচ্ছবি মিলবে। কিন্তু শাকিব বলয়ের বাইরে গিয়ে আপনার হাতে যে এক ডজন ছবি আছে, সেগুলোর কনটেন্ট নিয়ে কতোটা আত্মবিশ্বাসী? প্রশ্নের জবাব নিতে সময় নিলেন। এরপর ভেবে নাম ধরে ধরে এভাবে বললেন, ‘‘আমার বেশ কিছু মুভি রেডি হয়ে আছে, মুক্তির জন্য। এক ডজনেরও বেশি। এরমধ্যে সত্যিকার অর্থে যদি বলি ‘কয়লা’, ‘প্রহেলিকা’, ‘লোকাল’ ও ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিগুলো আমাকে নতুন করে জীবন দেবে। ছবিগুলো কতোটা হিট হবে বা দর্শক সাড়া পাবে, সেটা তো আলাদা বিষয়। কারণ, সে বিষয়ে আমরা কেউই আগাম কিছু বলতে পারি না। তবে এটুকু আগাম বলছি, এই চরিত্রগুলো আমাকে নতুন করে দাঁড় করাবে বিচারকদের সামনে। এই কাজগুলো আমি কনটেন্ট বিচার করেই করেছি।’’

যেমনটা করেছেন ‘সিনেমার নায়িকা’ ট্যাবু ভেঙে ওটিটির ‘টান’ কিংবা ‘ফ্লোর নম্বর সাত’-এ। পেয়েছেন অভিনয় প্রশংসাও। যদিও বুবলী ততোটা স্বস্তিতে নেই কাজ দুটি করে। তার ভাষায়, ‘কাজ দুটো যে আমার অসম্ভব ভালো লাগার, তাতে সন্দেহ নেই। এটি যে মানুষ পছন্দ করেছে, সেটিও ঠিক। কিন্তু ওটিটি এখনও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। অনেক ভালো কাজ হলেও রেসপন্স কম। প্রশংসা পেয়েছি সারা দুনিয়া থেকেই, তবে সেটি আশানুরূপ নয়। কারণ, ওটিটি কালচারটা আরও বিস্তৃত হতে হবে।’

সম্ভবত এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই আপাতত ওটিটি অধ্যায়ে বিরতির বেল বাজিয়ে রেখেছেন নায়িকা। দুটো ওয়েব ফিল্মের পরে অসংখ্য প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু মানা করেছেন সবিনয়ে। বলছেন, ‘ওটিটিতে কাজ করবো, আরেকটু সময় নিয়ে, ভেবে। এখন আর না।’না, এই পর্বে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নতুন কিছু ভাবছেন না শবনম বুবলী। এ নিয়ে বলতেও চাইছেন না কিছু। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রং টাইমে রাইট ডিসিশন নিলে হবে না : শবনম বুবলী

প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : ২০২৩ সালে এসে গল্পের কোনও বিকল্প নেই ; এটা তার কথার কথা নয়, বুবলী সেটা পর্দাতেও ঝুলিয়েছেন। দেখিয়েছেন ফর্মুলা ছবিতে নায়কের অলংকার হয়ে থাকার বাইরেও নায়িকাদের অনেক কিছু করার আছে। যার অন্যতম নজির ‘টান’। যদিও এই প্রমাণটা করতে তাকে নামতে হয়েছে বড় পর্দার রাজ দরবার থেকে ওটিটি’র অন্দরমহলে। একই মাধ্যমে তিনি অভিনয়ে প্রশংসিত হয়েছেন ‘ফ্লোর নম্বর সাত’ দিয়েও। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতোই, যেখানে তিনি দেখিয়েছেন নায়িকাদের সত্যিকার জীবনের খানিক ঝলক।

ঠিক এই দিকটা তিনি এবার প্রেক্ষাগৃহেও তুলে ধরতে চান। বলতে চান, বাণিজ্যিক বা ফর্মুলা ছবি বলে আলাদা কিছু নেই। দিন শেষে সবই বাণিজ্যিক। তবে এই সময়ে এসে সেই বাণিজ্যের সংজ্ঞা বদলেছে খানিক। তার ভাষায়, ‘২০২৩ সালে এসে আসলে গল্প বা কনটেন্টের বিকল্প নেই। এখন আমাদেরকে নায়ক-নায়িকার চেয়ে গল্প বা চরিত্র নিয়ে ভাবতে হবে। আমি অন্তত তাই ভাবছি এখন। কারণ, সিনেমা বা ওটিটি- দুটোই প্রায় একই। দর্শকরা যেখানেই দেখুন, টিকিট কিন্তু কাটতে হচ্ছে। ফলে তাদের পয়সার নিরাপত্তা আমাকে দিতে হবে। তাই আমি মনে করি, এন্টারটেইনমেন্ট এবং ম্যাসেজ- দুই ধারার কাজই এখন সমান্তরাল হওয়া উচিত। অবশ্যই সেটা বাণিজ্যের পয়েন্ট অব ভিউতে।’

শবনম বুবলী

সম্ভবত তারই সম্মিলন ঘটাতে যাচ্ছেন এই ঈদে ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমাটির মাধ্যমে। তপু খানের পরিচালনায় বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার এই আলোচিত ছবিতে বুবলীর সঙ্গে আছেন যথারীতি শাকিব খান। ছবিটির পোস্টারও টিজার এরমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। ঢালিউডে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। যদিও পোস্টার আর টিজার দেখে অনুমান করা মুশকিল, সিনেমায় শাকিব খানের অলংকার হয়েও বুবলীর সাম্প্রতিক কনটেন্ট আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পারবেন। টিজারে ক্ষণিকের দৃশ্যে অনুমেয়, বুবলীর চেষ্টাটা রয়েছে নিজেকে বদলানোর। কারণ, নেত্রীর গেটআপে বুবলীর দেখা মিলেছে মিছিলে, বীরের বেশে।

‘লিডার’ টিজারে বুবলী

আলাপ করে আশার আভাসই মিললো বীর-মাতার কণ্ঠে। বললেন, ‘‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’ এমন একটা ছবি, যেখানে যেমন ফর্মুলা ছবির মতো নাচ, গান, ফাইট রয়েছে, তেমনি শিক্ষণীয় বা সমাজ বদলানোর বার্তাটাও আছে। সেটাই বলতে চাইছিলাম, এখন আসলে কনটেন্ট নিয়ে কাজ করার সময়। সে হিসেবে এই ছবিটি সময়ের সেরা ছবি হতে পারে। এখানে আমার চরিত্রটির অনেকগুলো লেয়ার রয়েছে। যা টিজারের মতো স্বল্প পরিসরে অনুমান করা কঠিন। তবে এটুকু বলছি, আমি এতে অভিনয় করার অনেক সুযোগ পেয়েছি। কতটুকু পেরেছি, সেটা দর্শকরা বলবেন।’’

ছবিটির নায়কের সঙ্গে গভীর বোঝাপড়া থাকলেও এর ব্যানার ও নির্মাতা একেবারেই নতুন ছিলো বুবলীর জন্য। এরমধ্যে এসেছে করোনা মহামারিও। ছবির একেবারে শেষ অংশের কাজের সময় হয়েছিল ব্যক্তিগত জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতও। মোট মিলিয়ে এই জার্নিটা কেমন ছিলো বুবলীর। জবাবে খানিকটা ডিপ্লোম্যাটিক, ‘আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা ভালো। ২০২০ সালে শুটিং শুরু করি। করোনার মধ্যে গ্যাপ হলো। তপু ভাই এজ আ ডিরেক্টর- প্রথম সিনেমা এটা। প্রথম থেকেই দেখেছি তিনি কনটেন্টের সঙ্গে কমপ্রোমাইজ করতে চাননি। চাইলে পারতেন, কিন্তু করেননি। এই দিকটাই আমার বেশি ভালো লেগেছে। তিনি অনেক গোছানো ডিরেক্টর। যে কোনও কিছু শিল্পীদের সঙ্গে শেয়ার করে সমাধানের পথ বের করেছেন। আর পরিশ্রমের কথা নাই বা বললাম। অন্যদিকে আরটিভির সাথেও এটা আমার প্রথম কাজ। অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।’

লিডার’ ছবির মহরতে বুবলী, তপু খান ও শাকিব খান

সময় দ্রুত ফুরাচ্ছে। মাত্র পোস্টার-টিজার এলো। হাতে সময় বড় জোর দুই সপ্তাহ। এরমধ্যে নীরবতায় আছেন ছবির মূল পাত্র শাকিব খান। হোয়াটস গোয়িং অন! অভিজ্ঞতা কী বলছে? জবাবে বুদ্ধিমতীর আলাপে এটুকু স্পষ্ট, এই সময়ে এসে কনটেন্টের প্রতি যেমন সবার মনোযোগ দিতে হবে, সমান পরিকল্পনা থাকা চাই সেটির প্রচারণাতেও।

বুবলীর ভাষায়, ‘ছবিটি নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতাদের মধ্যে নিশ্চয়ই প্রমোশনাল প্ল্যান আছে। সেভাবেই গড়াচ্ছে। যদিও সময় খুব কম আমাদের হাতে। কিন্তু আমি মনে করি এই সময়ে একটা সিনেমার প্রপার প্রমোশন খুবই জরুরি। এটা এমন একটা সময়, যখন রাইট টাইমে রাইট ডিসিশন নিতে হবে। রং টাইমে রাইট ডিসিশন নিলে হবে না। ফলে আমাদের সবাইকে ছবিটির প্রমোশনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এখন। সেই পরিকল্পনাই চলছে।’

কিন্তু সেই পরিকল্পনায় ‌‘লিডার’ দর্শকের ভূমিকায় কেন? এবার বেশ সচেতন নায়িকা। বললেন, ‘এটা ওনারও ছবি। এর পেছনে ওনার শ্রম ও ডেডিকেশন আছে। উনি নিশ্চয়ই প্রচারণায় থাকবেন। ছবিটি যে ঈদে আসছে সেই ঘোষণাও তিনি দিয়েছিলেন। তাছাড়া প্রমোশনের ব্যাপারে আমি আমার অংশটুকু বলতে পারবো। ওনার বিষয়টা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’

গবেষণায় জানা গেছে, বুবলী নয় শাকিব খানের দূরত্ব রয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বরাবর। সেজন্যই আপাতত নীরব শাকিব। তবে সেটির সুরাহা হয়ে যাবে দ্রুতই। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এটাই কি শাকিব-বুবলী অধ্যায়ের শেষ ছবি? দুজনার পর্দা রসায়ন কি তবে আটকে যাচ্ছে পুত্রের জন্মদিনের পার্টিতে! কারণ, এরপর তারা আলাদা আলাদা ডজন খানেক ছবির নাম মুখে নিলেও কোথাও নেই একসঙ্গে তারা।

সম্প্রতি বীরের জন্মদিনের পার্টিতে শাকিব-বুবলী হাসিমুখে

বুবলী বলেন, ‘এক ডজন ছবি করেছি আমরা। যার সব ক’টিই সফল। হুম, আপাতত আমাদের একসঙ্গে কোনও ছবি নেই। তবে দর্শকরা চাইলে হবে। আমরা দুজনেই প্রফেশনাল অভিনেতা। গল্পে ডিমান্ড করলে, নির্মাতা বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চাইলে, কেন করবো না? ফলে এখনই সম্ভাবনা মাটি করার সুযোগ নেই। আপাতত আমরা এই (লিডার) ছবিটাতে মন বসাতে চাই।’শুরুতে কনটেন্টের প্রতি জোর দেওয়ার কথা বলছিলেন। যার নজিরও দিয়েছেন ওটিটিতে। আসছে ঈদে হয় তো প্রেক্ষাগৃহেও সেটির প্রতিচ্ছবি মিলবে। কিন্তু শাকিব বলয়ের বাইরে গিয়ে আপনার হাতে যে এক ডজন ছবি আছে, সেগুলোর কনটেন্ট নিয়ে কতোটা আত্মবিশ্বাসী? প্রশ্নের জবাব নিতে সময় নিলেন। এরপর ভেবে নাম ধরে ধরে এভাবে বললেন, ‘‘আমার বেশ কিছু মুভি রেডি হয়ে আছে, মুক্তির জন্য। এক ডজনেরও বেশি। এরমধ্যে সত্যিকার অর্থে যদি বলি ‘কয়লা’, ‘প্রহেলিকা’, ‘লোকাল’ ও ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিগুলো আমাকে নতুন করে জীবন দেবে। ছবিগুলো কতোটা হিট হবে বা দর্শক সাড়া পাবে, সেটা তো আলাদা বিষয়। কারণ, সে বিষয়ে আমরা কেউই আগাম কিছু বলতে পারি না। তবে এটুকু আগাম বলছি, এই চরিত্রগুলো আমাকে নতুন করে দাঁড় করাবে বিচারকদের সামনে। এই কাজগুলো আমি কনটেন্ট বিচার করেই করেছি।’’

যেমনটা করেছেন ‘সিনেমার নায়িকা’ ট্যাবু ভেঙে ওটিটির ‘টান’ কিংবা ‘ফ্লোর নম্বর সাত’-এ। পেয়েছেন অভিনয় প্রশংসাও। যদিও বুবলী ততোটা স্বস্তিতে নেই কাজ দুটি করে। তার ভাষায়, ‘কাজ দুটো যে আমার অসম্ভব ভালো লাগার, তাতে সন্দেহ নেই। এটি যে মানুষ পছন্দ করেছে, সেটিও ঠিক। কিন্তু ওটিটি এখনও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। অনেক ভালো কাজ হলেও রেসপন্স কম। প্রশংসা পেয়েছি সারা দুনিয়া থেকেই, তবে সেটি আশানুরূপ নয়। কারণ, ওটিটি কালচারটা আরও বিস্তৃত হতে হবে।’

সম্ভবত এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই আপাতত ওটিটি অধ্যায়ে বিরতির বেল বাজিয়ে রেখেছেন নায়িকা। দুটো ওয়েব ফিল্মের পরে অসংখ্য প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু মানা করেছেন সবিনয়ে। বলছেন, ‘ওটিটিতে কাজ করবো, আরেকটু সময় নিয়ে, ভেবে। এখন আর না।’না, এই পর্বে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নতুন কিছু ভাবছেন না শবনম বুবলী। এ নিয়ে বলতেও চাইছেন না কিছু। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
সুমি/হককথা