যৌথ প্রযোজনার নামে যা হয়েছে তা অবশ্যই প্রতারণা: আহমদ শরীফ

- প্রকাশের সময় : ০৬:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭
- / ১০১৩ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: পবিত্র ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত যৌথ প্রযোজনায় ‘নবাব ও বস-টু’ নামক ছবিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রখ্যাত ও শীর্ষ অভিনেতাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য বিশেষ করে প্রখ্যাত ও সিনিয়র অভিনেতা ফারুককে অপমানের প্রতিবাদে, শাকিব খানকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র থেকে আজীবন বহিঃস্কারের দাবি উঠে। এ ব্যাপারে অতি সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিত্র নায়ক আলমগীর, ফারুক ও চিত্রনায়িকা রোজিনা, জনিপ্রয় খল অভিনেতা ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর’সহ সবাই শাকিব খানের আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে সুপারস্টার অভিনেতা শাকিবের বর্তমান খামখেয়ালিপনা মনোভাবে ফুঁসে উঠেছে পুরো চলচ্চিত্র জগত তথা ঢালিউড। সিনিয়র অভিনেতাদের সম্পর্কে অযাচিত মন্তব্য করায় সাংবাদিক সম্মেলনে শাকিব খানকে অশিক্ষিত এবং বেয়াদব বলে আখ্যা দেন চিত্র নায়ক আলমগীর। আর ফারুক’সহ শীর্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা দেশের চলচ্চিত্রের দূরাবস্থার জন্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে দায়ী করেন। খবর ইউএনএ’র।
নায়ক শাকিব খানকে নিয়ে ঢালিউড-এর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত দেশের প্রবীন, শক্তিমান ও জনপ্রিয় অভিনেতা আহমদ শরীফ ইউএনএ প্রতিনিধিকে প্রদত্ত এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ঢালিউড-এর প্রবীণ অভিনেতা এবং শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে আমি একজন। তাছাড়া দীর্ঘদিন এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। আমারা অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই- আমি যেকোন দেশের সাথে যৌথ প্রযোজনায় ছবি করার পক্ষপাতি। আমি নিজেও একাধিক যৌথ প্রযোজিত ছবিতে অভিনয় করেছি। কিন্তু শাকিব খানের ছবি নিয়ে যৌথ প্রযোজনার নামে যা হয়েছে তা অবশ্যই প্রতারণা, মিথ্যাচার। এজন্য অভিনেতা বা শিল্পী নয়, আগে সংশ্লিষ্ট প্রযোজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা নেয় দরকার। কেননা, অভিনেতারা শিল্পী হিসেবে প্রযোজকদের সাথে চুক্তি মোতাবেক অভিনয় করে থাকেন। কোন চুক্তি ভঙ্গ করলে অভিনেতা নয়, প্রযোজকরাই আগে চুক্তি ভঙ্গ করেছেন।
আহমেদ শরীফ বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ধ্বংসের মুখে, তখন থেকে শুরু করে বিগত ১২ বছর ধরে শাকিব খানের মতো অভিনেতা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে। দর্শকদের সিনেমা হলে ফিরিয়ে নিয়েছে। অথচ এমন সময় ছিলো যখন সিলেমা হলে ১০জন দর্শকও দেখা যেতো না। তিনি বলেন, সবার মধ্যেই দোষ-ত্রুটি রয়েছে। তাই উচিৎ হবে সবাই মিলেমিশে সমস্যার সমাধান করা, নিজেদের শুধরে নেয়া।