নিউইয়র্ক ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মৃত্যুর দুদিন আগে যা বলেছিলেন নায়ক ফারুক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ৪৮ বার পঠিত

নায়ক ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক : মৃত্যুর দুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফারুকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। বলেছিল ভাই ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে দ্রুতই আমি বাড়ি ফিরব। বাড়ি ফিরলো ঠিকই কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে চিত্রনায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার আপন ফুফাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন মাস্টার এ কথা বলেন।

আরোও পড়ুন । ৫৭ বছরেও ‘পাঠান’ হতে শাহরুখ মেনেছেন যে ৫ কৌশল

তিনি বলেন, আমার মামা ও ফারুকের বাবা আজগর হোসেন পাঠান একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামার চাকরির সুবাদে ফারুকের জন্ম হয় মানিকগঞ্জের ঘিওরে। মায়ের কাছে শুনেছি আমার বয়স তখন ৬ মাস। আমার মা ফারুককে দেখতে আমাকে কোলে নিয়ে ঘিওরে গিয়ে ছিলেন। সে বয়সে আমার ৬ মাসের ছোট হলেও বাড়িতে আসলে আমাকে সবসময় ডাকতেন। আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল একেবারে বন্ধুর মতো। ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব নাটক প্রিয় ছিল। ঢাকায় কোনো কাজকর্ম না থাকলে গ্রামে চলে আসতেন নাটক করতে এবং গ্রামে বিভিন্ন চরিত্রে তিনি অভিনয় করে স্থানীয়দের মন জয় করে নিতেন।

ফারুকের ফুফাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন মাস্টার। ছবি : ইত্তেফাক

বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন মাস্টার আরও বলেন, গ্রামীণ পটভূমিতে তিনি খুব মানানসই ছিলেন। রুপালি পর্দায় তিনি গ্রামীণ চরিত্রে খুব সাবলীল ছিলেন। মিয়া ভাই, লাঠিয়াল, শিমুল-পারুল ও সুজন সখি সিনেমাসহ বেশ কিছু সিনেমায় তার গ্রামীণ চরিত্রগুলোই তার প্রমাণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বুবু হিসেবে ডাকতেন। যখনই তিনি স্থানীয়ভাবে কারও জন্য নৌকার ভোট চাইতেন বলতেন, ‘আমি আমনেগো পোলা, আমনেগো কাছে নৌকার ভোট চাইতে আইছি’।

চিত্রনায়ক ফারুক। ছবি : সংগৃহীত

উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও ছেলে রওশন হোসেন শরৎ পাঠান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্ত রেখে গেছেন। আজ (মঙ্গলবার) রাত নয়টায় সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে সন্ধ্যার দিকে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের পৈতৃক ভিটায় তার মরদেহ আনা হবে। সেখানে এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সূত্র দৈনিক ইত্তেফাক

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মৃত্যুর দুদিন আগে যা বলেছিলেন নায়ক ফারুক

প্রকাশের সময় : ০১:০০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : মৃত্যুর দুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফারুকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। বলেছিল ভাই ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে দ্রুতই আমি বাড়ি ফিরব। বাড়ি ফিরলো ঠিকই কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে চিত্রনায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার আপন ফুফাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন মাস্টার এ কথা বলেন।

আরোও পড়ুন । ৫৭ বছরেও ‘পাঠান’ হতে শাহরুখ মেনেছেন যে ৫ কৌশল

তিনি বলেন, আমার মামা ও ফারুকের বাবা আজগর হোসেন পাঠান একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামার চাকরির সুবাদে ফারুকের জন্ম হয় মানিকগঞ্জের ঘিওরে। মায়ের কাছে শুনেছি আমার বয়স তখন ৬ মাস। আমার মা ফারুককে দেখতে আমাকে কোলে নিয়ে ঘিওরে গিয়ে ছিলেন। সে বয়সে আমার ৬ মাসের ছোট হলেও বাড়িতে আসলে আমাকে সবসময় ডাকতেন। আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল একেবারে বন্ধুর মতো। ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব নাটক প্রিয় ছিল। ঢাকায় কোনো কাজকর্ম না থাকলে গ্রামে চলে আসতেন নাটক করতে এবং গ্রামে বিভিন্ন চরিত্রে তিনি অভিনয় করে স্থানীয়দের মন জয় করে নিতেন।

ফারুকের ফুফাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন মাস্টার। ছবি : ইত্তেফাক

বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন মাস্টার আরও বলেন, গ্রামীণ পটভূমিতে তিনি খুব মানানসই ছিলেন। রুপালি পর্দায় তিনি গ্রামীণ চরিত্রে খুব সাবলীল ছিলেন। মিয়া ভাই, লাঠিয়াল, শিমুল-পারুল ও সুজন সখি সিনেমাসহ বেশ কিছু সিনেমায় তার গ্রামীণ চরিত্রগুলোই তার প্রমাণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বুবু হিসেবে ডাকতেন। যখনই তিনি স্থানীয়ভাবে কারও জন্য নৌকার ভোট চাইতেন বলতেন, ‘আমি আমনেগো পোলা, আমনেগো কাছে নৌকার ভোট চাইতে আইছি’।

চিত্রনায়ক ফারুক। ছবি : সংগৃহীত

উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও ছেলে রওশন হোসেন শরৎ পাঠান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্ত রেখে গেছেন। আজ (মঙ্গলবার) রাত নয়টায় সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে সন্ধ্যার দিকে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের পৈতৃক ভিটায় তার মরদেহ আনা হবে। সেখানে এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সূত্র দৈনিক ইত্তেফাক

বেলী/হককথা