নিউইয়র্ক ০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিঠুন চক্রবর্তী’র কথা

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৪ বার পঠিত

আজ বলবো আর একজন বাঙালী সুপারস্টারের কথা। হ্যাঁ উনি হলেন আমাদের সবার প্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী। প্রকৃত নাম- গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। জন্ম ১৬ জুন ১৯৫০। গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী কলকাতার এক বাঙালী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বসন্তকুমার চক্রবর্তী এবং মাতার নাম শান্তিরাণী চক্রবর্তী। তাঁর শৈশব ও বাল্য বয়স কাটে তার কাকা কাকিমার কাছে নদীয়া জেলার শান্তিপুর এ। শান্তিপুর ওরিয়েন্টাল অ্যাকাডেমি স্কুলে ভর্তি হন এবং ওই স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও ফিল্ম অ্যাÐ টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই) থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন তিনি।
মিঠুন চক্রবর্তী জনপ্রিয় পরিচালক মৃণাল সেনের পরিচালনায় মৃগয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালী জগতে প্রবেশ করেন। অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য এ ছবির মাধ্যমে তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অভিষেকের পর তিনি দো আনজানে (১৯৭৬) এবং ফুল খিলে হ্যায় গুলশান গুলশান (১৯৭৭) ছবি দু’টোয় সহ-চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু তাতে তিনি কোন গুরুত্ব ও সফলতা পাননি।
মিঠুন চক্রবর্তী আর্ট হাউস নাট্য মৃগয়া (১৯৭৬) দিয়ে তার অভিনয়ে আতœপ্রকাশ করেন, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। ১৯৮২ সালের ডিস্কো ড্যান্সার চলচ্চিত্রে জিমির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যা ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বক্স অফিসে একটি বড় সাফল্য ছিল। তিনি সুরক্ষা, হাম পাঁচ, সহস, ওয়ারদাত, শৌকিন, ওয়ান্টেড, বক্সার, কসম প্যাদা করনে ওয়ালে কি, পেয়ার ঝুকতা না, গুলামি, দিলওয়ারসি, শেওয়ালা, সোয়ালা আন্ডার, অবিনাশ, ডান্স ডান্স, ওয়াতন কে রাখালে, পেয়ার কা মন্দির, ওয়াক্ত কি আওয়াজ, প্রেম প্রতিজ্ঞা, দাতা, মুজরিম, অগ্নিপথ, রাবন রাজ এবং জল্লাদ- এর মতো ছবিতে অভিনয়ের জন্য স্মরণীয়।
১৯৯০- এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে পতনের পর, তিনি গুরু, গোলমাল ৩, হাউসফুল ২, ওএমজি- ওহ মাই গড!, খিলাড়ি ৭৮৬, কিক, দ্য তাশখন্দ ফাইলস এবং দ্য কাশ্মীর ফাইলস চলচ্চিত্রের অভিনয় করেন।
১৯৯১ সালে, তিনি অগ্নিপথ চলচ্চিত্রে কৃষ্ণান আইয়ার নারিয়াল পানিওয়ালার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। পরে তিনি ‘তাহাদের কথা’ (১৯৯২) এবং ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ (১৯৯৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য আরও দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং পাঞ্জাবি ছবি সহ ৩৫০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ১৯৮৯ সালে প্রধান অভিনেতা হিসাবে ১৯টি চলচ্চিত্র মুক্তির রেকর্ডধারী।
মিঠুন চক্রবর্তী মোনার্ক গ্রæপের মালিক, প্রতিষ্ঠানটির আতিথেয়তা এবং শিক্ষা খাতে আগ্রহ রয়েছে। তিনি প্রোডাকশন হাউস পাপারাতিজ প্রোডাকশনও শুরু করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি দিলীপ কুমার এবং সুনীল দত্তের সাথে সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস এসোসিয়েশন নামে অভাবী অভিনেতাদের সাহায্য করার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। তিনি ছিলেন ফিল্ম স্টুডিও সেটিং অ্যান্ড অ্যালাইড মজদুর ইউনিয়নের চেয়ারপার্সন, যেটি সিনেমা কর্মীদের কল্যাণের যতœ নেয় এবং তাদের দাবি ও সমস্যার সমাধান করে। টেলিভিশন অনুষ্ঠান ড্যান্স ইন্ডিয়া ড্যান্স, যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী গ্র্যান্ড মাস্টার, সেটি ইতিমধ্যেই লিমকা বুক অব রেকর্ডস এবং গিনেস বুক অফ রেকর্ডে প্রবেশ করেছে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া। লেখা ও ছবি: সংগৃহীত

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিঠুন চক্রবর্তী’র কথা

প্রকাশের সময় : ০২:০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

আজ বলবো আর একজন বাঙালী সুপারস্টারের কথা। হ্যাঁ উনি হলেন আমাদের সবার প্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী। প্রকৃত নাম- গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। জন্ম ১৬ জুন ১৯৫০। গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী কলকাতার এক বাঙালী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বসন্তকুমার চক্রবর্তী এবং মাতার নাম শান্তিরাণী চক্রবর্তী। তাঁর শৈশব ও বাল্য বয়স কাটে তার কাকা কাকিমার কাছে নদীয়া জেলার শান্তিপুর এ। শান্তিপুর ওরিয়েন্টাল অ্যাকাডেমি স্কুলে ভর্তি হন এবং ওই স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও ফিল্ম অ্যাÐ টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই) থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন তিনি।
মিঠুন চক্রবর্তী জনপ্রিয় পরিচালক মৃণাল সেনের পরিচালনায় মৃগয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালী জগতে প্রবেশ করেন। অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য এ ছবির মাধ্যমে তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অভিষেকের পর তিনি দো আনজানে (১৯৭৬) এবং ফুল খিলে হ্যায় গুলশান গুলশান (১৯৭৭) ছবি দু’টোয় সহ-চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু তাতে তিনি কোন গুরুত্ব ও সফলতা পাননি।
মিঠুন চক্রবর্তী আর্ট হাউস নাট্য মৃগয়া (১৯৭৬) দিয়ে তার অভিনয়ে আতœপ্রকাশ করেন, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। ১৯৮২ সালের ডিস্কো ড্যান্সার চলচ্চিত্রে জিমির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যা ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বক্স অফিসে একটি বড় সাফল্য ছিল। তিনি সুরক্ষা, হাম পাঁচ, সহস, ওয়ারদাত, শৌকিন, ওয়ান্টেড, বক্সার, কসম প্যাদা করনে ওয়ালে কি, পেয়ার ঝুকতা না, গুলামি, দিলওয়ারসি, শেওয়ালা, সোয়ালা আন্ডার, অবিনাশ, ডান্স ডান্স, ওয়াতন কে রাখালে, পেয়ার কা মন্দির, ওয়াক্ত কি আওয়াজ, প্রেম প্রতিজ্ঞা, দাতা, মুজরিম, অগ্নিপথ, রাবন রাজ এবং জল্লাদ- এর মতো ছবিতে অভিনয়ের জন্য স্মরণীয়।
১৯৯০- এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে পতনের পর, তিনি গুরু, গোলমাল ৩, হাউসফুল ২, ওএমজি- ওহ মাই গড!, খিলাড়ি ৭৮৬, কিক, দ্য তাশখন্দ ফাইলস এবং দ্য কাশ্মীর ফাইলস চলচ্চিত্রের অভিনয় করেন।
১৯৯১ সালে, তিনি অগ্নিপথ চলচ্চিত্রে কৃষ্ণান আইয়ার নারিয়াল পানিওয়ালার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। পরে তিনি ‘তাহাদের কথা’ (১৯৯২) এবং ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ (১৯৯৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য আরও দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং পাঞ্জাবি ছবি সহ ৩৫০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ১৯৮৯ সালে প্রধান অভিনেতা হিসাবে ১৯টি চলচ্চিত্র মুক্তির রেকর্ডধারী।
মিঠুন চক্রবর্তী মোনার্ক গ্রæপের মালিক, প্রতিষ্ঠানটির আতিথেয়তা এবং শিক্ষা খাতে আগ্রহ রয়েছে। তিনি প্রোডাকশন হাউস পাপারাতিজ প্রোডাকশনও শুরু করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি দিলীপ কুমার এবং সুনীল দত্তের সাথে সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস এসোসিয়েশন নামে অভাবী অভিনেতাদের সাহায্য করার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। তিনি ছিলেন ফিল্ম স্টুডিও সেটিং অ্যান্ড অ্যালাইড মজদুর ইউনিয়নের চেয়ারপার্সন, যেটি সিনেমা কর্মীদের কল্যাণের যতœ নেয় এবং তাদের দাবি ও সমস্যার সমাধান করে। টেলিভিশন অনুষ্ঠান ড্যান্স ইন্ডিয়া ড্যান্স, যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী গ্র্যান্ড মাস্টার, সেটি ইতিমধ্যেই লিমকা বুক অব রেকর্ডস এবং গিনেস বুক অফ রেকর্ডে প্রবেশ করেছে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া। লেখা ও ছবি: সংগৃহীত